শুক্রবার, ২০ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ৫ আশ্বিন ১৪৩১, ১৬ রবিউল আউয়াল ১৪৪৬  |   ২৯ °সে
আজকের পত্রিকা জাতীয়আন্তর্জাতিকরাজনীতিখেলাধুলাবিনোদনঅর্থনীতিশিক্ষাস্বাস্থ্যসারাদেশ ফিচার সম্পাদকীয়
ব্রেকিং নিউজ
  •   চাঁদপুর শহরের পাঁচ রাস্তার মোড়ে 'আল্লাহু চত্বর'
  •   চাঁদপুর কণ্ঠৈর কলামিস্ট এএসএম শফিকুর রহমানের ইন্তেকাল
  •   নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেটের দায়িত্ব পেল সেনাবাহিনী
  •   জুলাই শহীদ স্মৃতি ফাউন্ডেশনে’ প্রধান উপদেষ্টার ১০০ কোটি টাকার অনুদান
  •   মেঘনায় নিখোঁজ দুই ভাইয়ের মরদেহ উদ্ধার

প্রকাশ : ০২ জুন ২০২৪, ০০:০০

চাঁদপুর কণ্ঠ আর আমার সাংবাদিকতা

কামরুজ্জামান টুটুল
চাঁদপুর কণ্ঠ আর আমার সাংবাদিকতা

‘চাঁদপুরের প্রথম আলো’ হিসেবে অভিহিত দৈনিক চাঁদপুর কণ্ঠের মাধ্যমে আমার সাংবাদিকতার সৃষ্টি। বলা চলে এই জগতে কামরুজ্জামান টুটুলকে তৈরি করেছে এই পত্রিকাটি। এ নিয়ে আমি গর্ব করি আর এতে কাজ করতে পেরে নিজেকে সবসময় ভাগ্যবান মনে করে থাকি।

চাঁদপুর কণ্ঠের ৩০ বছর পূর্তিতে আমি লিখতে বসছি আমার ২৩ বছরের সাংবাদিকতার নানান অভিজ্ঞতার কথা। সত্যি বলতে কি, আমি নিজে ব্যক্তিগতভাবে শিখতে পারি না কিছুই। যেটুকু সঞ্চয় করেছি তার একক দাবিদার আমার এ জগতের একমাত্র শিক্ষক প্রধান সম্পাদক কাজী শাহাদাত। যতোটুকু মনে পড়ে, খুব সম্ভবত ২০০০ সাল কিংবা ১৯৯৯ সাল হবে। তখন আমি চাঁদপুর শহরের চৌধুরী ঘাটের একজন ছোটখাট ব্যবসায়ী। সেই ব্যবসার সুবাদে নিজ এলাকায় বাকিলায় জামান স্টীল নামে একটি শো-রুম দিলাম। তার আগে বাকিলা বাজারের জামান ফার্মেসীর মালিক তথা ঔষধের ব্যবসায়ী ছিলাম।

মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের গণ্ডিতে থাকতেই আমি পত্রিকা পড়ায় অভ্যস্ত ছিলাম। জাতীয় দৈনিকের নিয়মিত ক্রেতা আর পাঠক ছিলাম। পত্রিকার নিয়মিত গ্রাহক হওয়ার কারণে পত্রিকায় কাজ করার ইচ্ছে হয়। এরই মধ্যে ২০০০ সালের দিকে ছোট্ট একটি বিজ্ঞাপনে আকৃষ্ট হয়ে বাকিলা বাজারের প্রতিনিধি হওয়ার ইচ্ছায় চাঁদপুর কণ্ঠে আবেদন করি। চাঁদপুর কণ্ঠ কার্যালয় ছিলো গুয়াখোলা রোডের মাথায়। চাঁদপুর সরকারি কলেজে পড়ুয়া আমার এলাকার এক ছোট ভাইকে ২০ টাকা ভাড়া দিয়ে সেই আবেদনটি চাঁদপুর কণ্ঠ কার্যালয়ে পাঠাই। নির্দিষ্ট সময়ে ইন্টারভিউ দিতে গিয়ে দেখি, আমার এলাকার ৫ জন গিয়েছে চাঁদপুর কণ্ঠে কাজ করার জন্যে। যথাসময়ে ইন্টারভিউর জন্যে রুমে ডাক পড়লো। সেই সময় অবশ্য কণ্ঠ পরিবারের একজনকেও চিনতাম না। সেই ইন্টারভিউ বোর্ডে ছিলেন প্রধান সম্পাদক কাজী শাহাদাত, আর সেই সময়ের বার্তা সম্পাদক শহীদ পাটোয়ারী। আমি রুমে ঢোকার পরেই আমাকে বসার জন্যে বলেই প্রশ্ন করলেন শহীদ পাটোয়ারী ভাই। প্রশ্নটি ছিলো, জনগুরুত্বপূর্ণ সংবাদ বলতে কী বুঝি। আমি যথাযথ উত্তর দিলাম। আরো কয়েকটি প্রশ্নের উত্তর দেবার পরেই শহীদ পাটোয়ারী ভাই আমাকে বললেন, আমরা আপনাকে নেবো, যথাসময়ে আপনি ডাক মারফত চিঠি পেয়ে যাবেন। এর ক’দিন পর সেটি পেলাম আর সংবাদ পাঠানো শুরু করলাম।

কাজ করতে গিয়ে বুঝতে পারলাম চাঁদপুর কণ্ঠ একটি পত্রিকা নয় একটি পরিবার। একটি সংসারে মিলেমিশে কাজ না করলে যেমন পূর্ণতা আসে না, তেমনি কণ্ঠ পরিবার মিলেমিশে কাজ করতে করতে আজ ৩০ বছরের তরতাজা যুবকের পূর্ণতা এসেছে। আর এই মিলমিশকে টিকিয়ে রেখেছেন বা সমন্বয় করে আসছেন প্রধান সম্পাদক কাজী শাহাদাত। সেই কাজী শাহাদাতের হাত ধরে চাঁদপুর কণ্ঠে কাজ করেছি প্রায় ২৩ বছর ধরে। অনেক কিছু শিখেছি, জেনেছি আর কাঙ্ক্ষিত অর্থ ছাড়া পেয়েছি অনেক। উল্লেখ করার বিষয় হলো, সাংবাদিকতা করছি ঠিকই অথচ সাংবাদিকতা শুরুর সময় এ সংক্রান্ত আমার পুঁথিগত কোনো বিদ্যা ছিলো না।

চাঁদপুর কণ্ঠে বাকিলা বাজার প্রতিনিধি হিসেবে যাত্রা শুরুর সময়কার সংবাদ লিখা আর পাঠানোর কথা ভাবলে এই সময়ে এসে অসম্ভব মনে হয়। অফিসের কাউকে চিনতাম না, চাঁদপুর কণ্ঠে কারা হাজীগঞ্জে কাজ করতো তাদের কাউকে চিনতাম না। অফিসের নির্দেশনা অনুযায়ী মিডিয়াম টাইপের সাদা কিংবা নিউজপ্রিন্ট কাগজের প্যাডে হাতে নিউজ লিখে পাতায় নাম্বার দিয়ে সন্ধ্যার পর চাঁদপুরগামী সেই সময়ের ম্যাক্সি বা বাসে করে চাঁদপুর বাসস্ট্যান্ডে পাঠাতাম। এখনকার সময়ের ছবির কথা আর সেই সময়ের ছবির কথা ভাবলে গা শিউরে উঠে। ইয়াসিকা ক্যামেরায় ফুজি ফিল্ম কিনে কাজ করতে হতো। একটি ফিল্মে ৩২টি ছবি পেতাম আর এর মাঝে যদি ফিল্ম কেটে কাজ করা লাগতো, তাহলে প্রতি কাটায় ৩টি ¯œ্যাপ নষ্ট করে ফিল্ম নষ্ট করতে হতো। আবার একটি ছবি প্রিন্ট করতে গেলে ল্যাবে কয়েক ঘন্টা অপেক্ষা করতে হতো। এরপরেই ছবির সাথে একটি নিউজ পাঠাতে হতো। অফিসের কেউ একজন চাঁদপুর বাসস্ট্যান্ড থেকে প্রেরিত নিউজ নিয়ে নিতেন। প্রথম দিকে নিজস্ব সংবাদদাতা দিয়ে নিউজ প্রকাশ হতো। নিউজের সাথে নাম প্রকাশ তো রীতিমতো ভাগ্যের ব্যাপার ছিলো আর অনেক আনন্দের। বেশ কিছুদিন পর নিজের নামে একটি সংবাদ ছাপা হওয়ায় মনে অনেক আনন্দ লাগলো। সেই আনন্দ ধরে রাখতেই আজও জোঁকের মতো আঁকড়ে আছি চাঁদপুর কণ্ঠসহ কয়েকটি গণমাধ্যমকে। চাঁদপুর কণ্ঠে আমার সাংবাদিকতা হাতেখড়ি হলেও এখন আমি কাজ করি দেশসেরা টিভি নিউজ চ্যানেল ৭১ টেলিভিশন আর দৈনিক কালের কণ্ঠ পত্রিকায়। ৭১ টিভিতে কাজ করার জন্যে বিশেষভাবে কৃতজ্ঞ যমুনা টেলিভিশনের জেলা প্রতিনিধি কাদের পলাশ ভাই আর কালের কণ্ঠে কাজ করার জন্য বিশেষভাবে কৃতজ্ঞ জেলা প্রতিনিধি ফারুক ভাইয়ের কাছে। এই দুজনের সুদৃষ্টি না থাকলে প্রথম শ্রেণির টিভি চ্যানেল আর পত্রিকায় কাজ করার সুযোগ আমার হতো না। অবশ্য এর আগে আমি বাংলা টিভির চাঁদপুর জেলা প্রতিনিধি হিসেবে কাজ করেছি, আর জাতীয় পত্রিকা দৈনিক ইনকিলাবে কাজ করেছি প্রায় এক যুগের বেশি সময় ধরে।

খুব সম্ভবত ২০০৪ সালে দেশে বন্যা হলো। প্রায় ১ মাস ধরে এলাকায় জলাবদ্ধতা। চাঁদপুর-কুমিল্লা মহাসড়ক, হাজীগঞ্জ বাজার, বাকিলা বাজার, বলাখাল বাজার সবই পানির নিচে। চারদিকে পানি শুকিয়ে যাচ্ছে, মহাসড়কে বড় বড় গর্ত। বন্যা পরবর্তী এলাকার ক্ষয়ক্ষতির ব্যাপকতা নিয়ে হাতে লিখা একটি সংবাদ সাথে করে চাঁদপুর যাওয়ার পথে ঘোষের হাট এলাকায় বাস দুর্ঘটনায় পতিত হই। সেই সংবাদটি হাত থেকে ছিটকে পড়ে যায় আর সামান্য আহত হয়ে এলাকায় ফিরে আসি। সেই সংবাদটি আর করা হয়নি, সেই বন্যা পরবর্তী সংবাদটি ছাপা হয়নি। সেটি ছিলো মনে রাখার মতো আমার জীবনের একটি ঘটনা।

২০০৪ সালের দিকে বাকিলা বাজার প্রতিনিধি থাকাবস্থায় নিজের সীমানা পেরিয়ে ধীরে ধীরে উপজেলার বিভিন্ন বিষয় নিয়ে হালকা লেখালেখি শুরু করি। উপজেলাভিত্তিক লেখা প্রকাশ পেলে উপজেলা পর্যায়ের সেই সময়কার সহকর্মী বড়োভাই অফিসে বিচার দিতে শুরু করেন। আমি কেন আমার সীমা লঙ্ঘন করি। একবার বাকিলা বসে উপজেলার ভালো একটা থিম পাই সংবাদ করার। জানি সংবাদটি পাঠালে অফিসের এক বড়োভাই আমাকে সীমানার কথা মনে করিয়ে দিবেন হাজীগঞ্জের সেই বড়োভাইয়ের কল্যাণে। এ বিষয়গুলো নিয়ে অফিসের আরেক বড়োভাই মির্জা জাকির ভাইয়ের পরামর্শ চাই। তখন তিনি বললেন, বিষয়টি নিয়ে সরাসরি শাহাদাত ভাইয়ের সাথে কথা বলো। পরক্ষণে শাহাদাত ভাইয়ের সাথে কথা বলতে গেলে তিনি সরাসরি বললেন, তুমি নিউজ পাঠাও। একই সমস্যা বারবার হচ্ছিল আর বারবার শাহাদাত ভাইয়ের দ¦ারস্থ হলেই তিনি একবাক্যে নিউজ পাঠানোর জন্যে নির্দেশনা দিয়ে দিতেন। আর এভাবেই আমি উপজেলার সকল সংবাদ লিখা শুরু করি আর ছাপানো শুরু হয়। স্পর্শকাতর সংবাদ করার জন্যে থিম নিয়ে প্রধান সম্পাদকের সাথে কথা বলতে গেলেই তিনি বলে দেন, হ্যাঁ হ্যাঁ তুমি নিউজ পাঠাও। এভাবেই বাকিলা বাজারের প্রতিনিধি থেকে হাজীগঞ্জ পশ্চিম উপজেলা সংবাদদাতা, উপজেলা সংবাদদাতা এবং সর্বশেষ ২০১৩ সাল থেকে ব্যুরো ইনচার্জ হিসেবে আমাকে চাঁদপুর কণ্ঠ সুযোগ দেয়।

সম্ভবত ২০১২ সালে পাঞ্জেরী-চাঁদপুর কণ্ঠ বিতর্ক প্রতিযোগিতার নিবন্ধন নিয়ে চাঁদপুর কণ্ঠ অফিসের সাথে সেই সময়ের হাজীগঞ্জ ব্যুরো ইনচার্জের সমস্যা দেখা দেয়। সেই সমস্যার কারণে আমাকে ও আমার ব্যুরো ইনচার্জকে হঠাৎ করে একদিন রাতে অফিস থেকে শোকজ দেয়া হয়। দোষ না করে দোষী এমন ভাবনার মধ্যে নিজে যা জানি, যা করেছি তা-ই শোকজের উত্তরে মেইল করলাম। এর প্রায় ১৫ দিন পর আমাকে হাজীগঞ্জ উপজেলা ব্যুরো ইনচার্জের সাময়িক দায়িত্ব দেয়া হয়। একই সাথে অনেক বিষয়ে কাজ করার নির্দেশনা দেয়া হয়।

ব্যুরো ইনচার্জের দায়িত্ব কাঁধে নিয়ে মনে হচ্ছে নিজের দায়িত্বটুকু এখনও ঠিকমতো পালন করতে পারছি না। তবে আমার আজকের এই অবস্থানের জন্যে আমি এককভাবে কৃতজ্ঞ আমার প্রধান সম্পাদক কাজী শাহাদাতের কাছে। সংবাদ সংক্রান্ত আমার যা কিছু শিক্ষা তার সবটুকু কাজী শাহাদাতের কাছে। তিনি না থাকলে হয়তো এতো দিনে চাঁদপুর কণ্ঠের সাথে থাকতে পারতাম না। দৈনিক চাঁদপুর কণ্ঠে কাজ শুরুর পরে বেশ কিছু পত্রিকা চাঁদপুর শহর থেকে বের হয়, যার প্রতিটিতে কাজ করার প্রস্তাব আসে আবার জাতীয় পত্রিকায় কাজ করার প্রস্তাব আসে। পরামর্শ চাইলাম আমার প্রধান সম্পাদকের কাছে। একবাক্যে তিনি বললেন, যেখানে গেলে কিছু শিখবে, সেখানে যাও।

চাঁদপুর কণ্ঠে কাজ করতে গিয়ে অনেক সম্মান পেয়েছি। সংবাদের জন্যে বাহবা পেয়েছি, বহু গুণীজনের সাথে, রাজনৈতিক উঁচু মানের ব্যক্তির সাথে ভালো সম্পর্ক তৈরি হয়েছে, সমাজে অবস্থান তৈরি করেছি। ব্যক্তি জীবনে টাকা ছাড়া এই বয়সে অনেক কিছু পেয়েছি চাঁদপুর কণ্ঠে কাজ করার কল্যাণে। বহু সংবাদের ক্ষেত্রে পাঠকরা ব্যক্তি টুটুলকে খোঁজেন না, চাঁদপুর কণ্ঠের প্রতিনিধি খোঁজেন।

হাজীগঞ্জ প্রেসক্লাবে সাধারণ সম্পাদক ও সহ-সভাপতি পদে নির্বাচন সরাসরি ভোটের মাধ্যমে করেছি। দুটো নির্বাচন করতে গিয়ে চাঁদপুর কণ্ঠের হাজীগঞ্জের প্রতিনিধিসহ শাহাদাত ভাইয়ের যে সহযোগিতা পেয়েছি তা কখনো ভোলার নয়। এই প্রাপ্তি আমার প্রত্যাশার চেয়ে অনেক বেশি। চাঁদপুর কণ্ঠে সংবাদের ক্ষেত্রে হাজীগঞ্জের বেশ ক’জন ভিআইপির ফোনে ও প্রকাশ্যে এমনকি লোক মাধ্যমে বহু গালমন্দসহ হুমকি-ধমকি পেয়েছি, মামলার ভয় পেয়েছি। সবই প্রধান সম্পাদক কাজী শাহাদাত ভাইয়ের কল্যাণে সমাধান করা সম্ভব হয়েছে। এজন্যে আমার অনেক সহকর্মী আমাকে বলেন, এমন প্রধান সম্পাদকের অধীনে কাজ করা ভাগ্যের বিষয়। অনেকেই হয়তো জানেন না, চাঁদপুর কণ্ঠের পরম শ্রদ্ধেয় প্রতিষ্ঠাতা সম্পাদক রোটাঃ আলহাজ্ব অ্যাডঃ ইকবাল-বিন-বাশার, প্রধান সম্পাদক কাজী শাহাদাত, এমনকি বার্তা সম্পাদক এএইচএম আহসান উল্লাহর বাড়ি হাজীগঞ্জে। এতদ্সত্ত্বেও কখনো কোনো সংবাদ বন্ধে এই তিনজনকে মাথা ঘামাতে দেখিনি বা আমার পাঠানো কোনো সংবাদ অফিস থেকে বন্ধ রেখেছে এমনটি কখনোই দেখিনি। এটাতেই কাজের আলাদা মজা। ঠিক এভাবেই যতোদিন এই জগতে আছি, থাকবো ততোদিন অকুণ্ঠ ভালোবাসা নিয়ে চাঁদপুর কণ্ঠের সাথে- এটাই আমার মনের প্রত্যাশা।

লেখক : ব্যুরো ইনচার্জ (হাজীগঞ্জ), দৈনিক চাঁদপুর কণ্ঠ; উপজেলা প্রতিনিধি, ৭১ টেলিভিশন ও দৈনিক কালের কণ্ঠ; সভাপতি, চাঁদপুর কণ্ঠ বিতর্ক ফাউন্ডেশন, হাজীগঞ্জ উপজেলা শাখা, চাঁদপুর।

  • সর্বশেষ
  • পাঠক প্রিয়