শুক্রবার, ২০ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ৫ আশ্বিন ১৪৩১, ১৬ রবিউল আউয়াল ১৪৪৬  |   ২৯ °সে
আজকের পত্রিকা জাতীয়আন্তর্জাতিকরাজনীতিখেলাধুলাবিনোদনঅর্থনীতিশিক্ষাস্বাস্থ্যসারাদেশ ফিচার সম্পাদকীয়
ব্রেকিং নিউজ
  •   চাঁদপুর শহরের পাঁচ রাস্তার মোড়ে 'আল্লাহু চত্বর'
  •   চাঁদপুর কণ্ঠৈর কলামিস্ট এএসএম শফিকুর রহমানের ইন্তেকাল
  •   নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেটের দায়িত্ব পেল সেনাবাহিনী
  •   জুলাই শহীদ স্মৃতি ফাউন্ডেশনে’ প্রধান উপদেষ্টার ১০০ কোটি টাকার অনুদান
  •   মেঘনায় নিখোঁজ দুই ভাইয়ের মরদেহ উদ্ধার

প্রকাশ : ২৯ মে ২০২৪, ০০:০০

চাঁদপুর কণ্ঠকে নিয়ে আমার অর্ধেক জীবন

মাহমুদা খানম
চাঁদপুর কণ্ঠকে নিয়ে আমার অর্ধেক জীবন

চাঁদপুর কণ্ঠ! কী লিখি তোমায় নিয়ে। তোমার সাথে আমার সম্পর্কের বয়স ২৫, আর তোমার বয়স ৩০। তোমার আমার জীবন ঘিরে চাঁদপুর কণ্ঠ, সে আবার কেমন কথা? কারণ পাঠক এই পত্রিকার যিনি নির্বাহী প্রধান, আমি তার সহধর্মিণী। এই চাঁদপুর কণ্ঠের সাথে সুখে-দুঃখে ওতপ্রোতভাবে মিলে আছি। আমার বৈবাহিক জীবনের প্রথমে চাঁদপুর কণ্ঠ থেকে চাঁদপুর কণ্ঠের বিভিন্ন প্রতিযোগিতা, পিকনিকসহ অনেক অনুষ্ঠানের সাথে ছিলাম। প্রথমে গিয়েছিলাম মেঘনায় এক আকর্ষণীয় নৌবিহারে। শীতের ভেতরে লঞ্চে কালচারাল অনুষ্ঠানে, র‌্যাফেল ড্রসহ বিভিন্ন অনুষ্ঠানে অংশগ্রহণ করি। সেই দিনগুলো এখনো ভুলতে পারি না। এখন সেসব শুধু স্মৃতি আর স্মৃতি হয়ে আছে।

আমার বৈবাহিক ২৫ বছরের জীবনে চাঁদপুর কণ্ঠের আরেকটি স্মৃতি খুব মনে পড়ছে। আমরা চাঁদপুর কণ্ঠ পরিবার কুমিল্লার রাজেশপুর ফরেস্ট বিটে ঘুরতে গিয়েছিলাম। তখন আমাদের সফরসঙ্গী ছিলেন সফিক সরকার, দেওয়ান আরশাদ আলী, জ্যোতিষী চন্দন আচার্যী, নূর নবী পাটওয়ারীসহ আরো অনেকে। এরা আমাদের সাথে সেই আনন্দঘন সময়ে ছিলেন, এখন তারা আমাদের ছেড়ে না ফেরার দেশে চলে গেছেন। যখন আমি অনেক স্মৃতি পুরানো এলবামের ছবিতে দেখি, তখন আর চোখের পানি রাখতে পারি না। এর মধ্যে হচ্ছে জ্যোতিষী চন্দন আচার্যীর হাত দেখার ছবি আর সফিক সরকার আর নবী পাটওয়ারীর সেই শীতের সকালে গাছে মুখ দিয়ে রস খাওয়ার দৃশ্য। এসব লোক ছিলো আমাদের চাঁদপুর কণ্ঠ পরিবারের সাথে অনেক ঘনিষ্ঠ। এখন তারা শুধুই স্মৃতি। মানুষ এখন এতো ব্যস্ত হয়ে গেছে যে, মৃত মানুষকে মনে রাখতে চায় না একান্ত পরিবারের মানুষ ছাড়া।

আমার আর একটা কথা মনে পড়ে, আমার বিয়ের ৪ থেকে ৫ বছর পরে চাঁদপুর কণ্ঠে একটি লেখা প্রতিযোগিতায় প্রথম হয়েছিলাম। তবে সেই লেখাটা জমা দিয়েছিলাম আমার ছাত্র ও প্রতিবেশী আল-আমিনের নামে। চাঁদপুর কণ্ঠে অনেক লেখার ইচ্ছা হয়, কিন্তু চাকুরি, সামাজিক ও সাংগঠনিক কাজের জন্যে লিখা হয় না। আমি কিছুদিন ‘নারীকণ্ঠে’ কাজ করেছিলাম, কয়েকটি সংখ্যা বের করেছিলাম। আল্লাহ যদি সহায় হোন তবে আশা করি কিছু কিছু নারীকে দিয়ে আমি আবার ‘নারীকণ্ঠ’ পাতা বের করবো।

আমাদের আরো কিছু লেখক ছিলেন, যাদের কথা না লিখলে অন্যায় হয়ে যাবে। প্রথম হলো দেলোয়ার ভাই এবং বাতেন ভাই। তারা ছিলেন আমাদের আত্মার আত্মীয়, প্রাণের প্রিয় ভাই। তাদের কথা কোনোদিন ভুলবো না, ভোলারও না।

চাঁদপুর কণ্ঠকে কী করে ভুলবো প্রিয় পাঠক!

চাঁদপুর কণ্ঠের প্রধান সম্পাদক আমার প্রিয় মানুষ, আমার ভালো লাগার মানুষ; আর আমার প্রিয় মানুষের প্রিয়, মানুষদের প্রিয় চাঁদপুর কণ্ঠ। আমাদের জীবনে অনেক অনেক সাফল্য, আশা-আনন্দ উপভোগ করার মাধ্যমই হচ্ছে চাঁদপুর কণ্ঠ। চাঁদপুর কণ্ঠ অনেক দিন বেঁচে থাকুক। চাঁদপুর কণ্ঠ পরিবারের সবার দীর্ঘায়ু কামনা করছি।

এই পরিবারের প্রধান যার কথা না বললেই নয়, তিনি হলেন অ্যাডভোকেট ইকবাল-বিন-বাশার। তাঁর সর্বাঙ্গীণ মঙ্গল কামনা করি, যাঁর তুলনা তিনিই। তাঁর জন্যে আল্লাহর রহমতে এই ৩০ বছরে অনেক মানুষের উন্নতি, পদোন্নতি হয়েছে, কর্মসংস্থানের সুব্যবস্থা আল্লাহ পাক করে দিয়েছেন।

লেখক : অধ্যক্ষ, রেলওয়ে কিন্ডারগার্টেন, চাঁদপুর; সাবেক বিভাগীয় সম্পাদক, ‘নারীকণ্ঠ’ দৈনিক চাঁদপুর কণ্ঠ; পাঁচবারের সাবেক সভাপতি, চাঁদপুর সেন্ট্রাল ইনার হুইল ক্লাব।

  • সর্বশেষ
  • পাঠক প্রিয়