বৃহস্পতিবার, ১৯ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ৪ আশ্বিন ১৪৩১, ১৫ রবিউল আউয়াল ১৪৪৬  |   ৩১ °সে
আজকের পত্রিকা জাতীয়আন্তর্জাতিকরাজনীতিখেলাধুলাবিনোদনঅর্থনীতিশিক্ষাস্বাস্থ্যসারাদেশ ফিচার সম্পাদকীয়
ব্রেকিং নিউজ
  •   চাঁদপুর শহরের পাঁচ রাস্তার মোড়ে 'আল্লাহু চত্বর'
  •   চাঁদপুর কণ্ঠৈর কলামিস্ট এএসএম শফিকুর রহমানের ইন্তেকাল
  •   নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেটের দায়িত্ব পেল সেনাবাহিনী
  •   জুলাই শহীদ স্মৃতি ফাউন্ডেশনে’ প্রধান উপদেষ্টার ১০০ কোটি টাকার অনুদান
  •   মেঘনায় নিখোঁজ দুই ভাইয়ের মরদেহ উদ্ধার

প্রকাশ : ১৪ আগস্ট ২০২৪, ০০:০০

দুর্বৃত্তদের আগুনে ঢাকা পড়ে গেলো জেলা ক্রীড়া সংস্থার দুর্নীতি?

চৌধুরী ইয়াসিন ইকরাম ॥
দুর্বৃত্তদের আগুনে ঢাকা পড়ে গেলো জেলা ক্রীড়া সংস্থার দুর্নীতি?

দুর্বৃত্তদের দেয়া আগুনে ঢাকা পড়ে গেলো চাঁদপুর জেলা ক্রীড়া সংস্থার দুর্নীতি? দুর্বৃত্তরা একইদিনে (৫ আগস্ট) অনেক কিছু ভাংচুর ও আগুন দেয়ার ঘটনার সময়ে চাঁদপুর জেলা ক্রীড়া সংস্থার গেটসহ অনেক কিছু ভাংচুর করে। এমনকি তারা ক্রীড়া সংস্থার অফিস রুমের ভেতরে থাকা আলমারির এবং টেবিলে থাকা কাগজপত্রগুলো পুড়িয়ে ফেলে। আর বস্তুত এতেই পুড়ে যায় জেলা ক্রীড়া সংস্থার দুর্নীতি।

দুর্নীতির মূল দায়িত্বে ছিলেন জেলা ক্রীড়া সংস্থার সবচেয়ে প্রভাবশালী ব্যক্তি ও কেরানী নামে পরিচিত দীলিপ সরকারসহ পদ-পদবীধারী কর্মকর্তাগণ।

জেলা স্টেডিয়াম অফিসের কার্যক্রম শুরু হওয়ার পর থেকেই নাকি জেলা ক্রীড়া সংস্থার কেরানী হিসেবে দায়িত্ব পালন শুরু করেন দীলিপ সরকার। এখনও বহাল তবিয়তে রয়েছেন তিনি। জেলা ক্রীড়া সংস্থার অফিসে গেলেই দেখা গেছে, কেবল বিভিন্ন ভাউচার তিনি লেখালেখি করছেন। তার এমনই ক্ষমতা যে, জেলা ক্রীড়া সংস্থার অধীনে ইনডোরে যে সমস্ত খেলাধুলাগুলো হতো, সেই খেলাগুলোতে অফিসিয়াল দায়িত্বসহ ম্যাচ রেফারীর দায়িত্বও পালন করেছেন তিনি। জেলা ক্রীড়া সংস্থার সাথে বিভিন্ন সময়ে যারা জড়িত ছিলেন, তাদের মধ্যে অনেকেই এ প্রতিবেদককে বলতে থাকেন যে, জেলা ক্রীড়া সংস্থার সেক্রেটারী বীর মুক্তিযোদ্ধা মুনির আহমেদের আমল, মরহুম দেওয়ান আরশাদ আলী ও জাতীয় দলের সাবেক ফুটবলার গোলাম মোস্তফা বাবুর আমলে গত বেশ কয়েক বছর ধরে দীলিপ সরকার কেরানীর দায়িত্বে থেকে বিভিন্ন দুর্নীতি করেছেন। আর গত ১০ বছর ধরে তো জেলা ক্রীড়া সংস্থার অনেক হিসেব নিকেশ কখনোই দেখা যায়নি জেলা ক্রীড়া সংস্থার কার্যকরী কমিটির সভাগুলোতে উপস্থাপন করতে।

জেলা ক্রীড়া সংস্থার অধীনে স্টেডিয়ামের চার পাশে যে সমস্ত দোকান রয়েছে, সেগুলোর সাথেও ক্রীড়া সংস্থার তেমন কোনো চুক্তিপত্র নেই। আর এ সমস্ত দোকান বিভিন্ন ক্লাবের নামে দেয়া হলেও পরবর্তীতে শোনা গেছে, এই দোকানগুলো কয়েক হাত বদল হয়েছে। বিশেষ করে জেলা ক্রীড়া সংস্থার মাধ্যমে গত ১০ বছরে খেলাধুলার আয়োজনের চেয়ে খরচের পরিমাণ বাড়ানো ছিলো অনেক বেশি। বিভিন্ন খেলা শুরুর আগ থেকে শেষ পর্যন্ত ম্যাচের চেয়ে ভাউচারের সংখ্যাই হয়েছে বেশি।

বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ড, বাংলাদেশ ফুটবল ফেডারেশন, চট্টগ্রাম বিভাগীয় ক্রীড়া সংস্থা থেকে চাঁদপুরে বিভিন্ন ইভেন্টের খেলাধুলার আয়োজন ও চাঁদপুরের অংশগ্রহণ ছিলো খুবই কম। আর এই দায়িত্বের সাথে জড়িত ছিলেন পোস্ট- পদবী ব্যবহার করা জেলা ক্রীড়া সংস্থা পরিচালনকারী কর্মকর্তাগণ। খেলাধুলা তেমন জানে না এমন অনেককেই বিভিন্ন খেলাধুলার ম্যানেজার ও কোচ বানিয়ে পাঠানো হয়েছে ওই সময়ের সরকারি দলের প্রভাবশালী ব্যক্তিদের পছন্দের লোককে। খেলা পাগল অনেকেই বতর্মান সময়ের জেলা ক্রীড়া সংস্থার চিত্র দেখে বলতে থাকেন, দুর্বৃত্তরাই জেলা ক্রীড়া সংস্থার দুর্নীতিবাজদের রক্ষা করলো।

যারা বিভিন্ন ক্লাবের প্রতিনিধি হয়ে জেলা ক্রীড়া সংস্থার পরিচালনা কমিটির বিভিন্ন পদে আসীন হয়েছেন, তাদের মধ্যে মূল দায়িত্বে থাকা অনেকেই এখন পলাতক রয়েছেন।

চাঁদপুর স্টেডিয়ামের আশেপাশের বিভিন্ন এলাকা ঘুরে বিভিন্ন জন থেকে জানা যায় যে, জেলা ক্রীড়া সংস্থার যে আয় হতো সেগুলোর ঠিকমতো হিসেবও নাকি অনেক সময় পাওয়া যেতো না। বর্তমান সময়ে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনকারী মানব সেবায় নিয়োজিত বীর সেনানীদের হস্তক্ষেপ এবং অন্তর্র্বতীকালীন সরকারের সময়ে যদি স্টেডিয়ামের হিসেব নিকেশসহ বিভিন্ন ক্লাবের হয়ে যারা পরিচালনা কমিটির কার্যক্রম সম্বন্ধে জানেন, তাদের সাথে কথা বলেন, তাহলে অনেক দুর্নীতির চিত্রই ফুটে উঠতো।

  • সর্বশেষ
  • পাঠক প্রিয়