প্রকাশ : ০৪ নভেম্বর ২০২৩, ০০:০০
বন্ধু মিঠুনের ঘরের সোকেসটা হাজারো রকমের দেশি-বিদেশি দামি সব তেল আর শ্যাম্পুর শিশি দিয়ে ভরানো। কিন্তু সব ব্যর্থ। কিছুতেই কিছু হচ্ছে না। মাথার মাঝখানের টাকটা তার দিনকে দিন বেড়েই যাচ্ছে। অনেক টোটকাণ্ডফোটকা করেও কোন লাভ হচ্ছে না। এদিকে বন্ধুদের সবার বিয়ে হয়ে গেলেও ওর বিয়ে হচ্ছে না। টাক মাথার কারণে। রাস্তা দিয়ে হাঁটলেও অনেকে অনেক কিছু বলে। এর আগে বেশ কয়েকটা বিয়ের সম্বন্ধ ভেস্তে গেছে মাথায় চুল না থাকার কারণে। মেয়েরা তাকে পছন্দ করছে না । এখন সে লজ্জায় ক্যাপ পরে থাকে সবসময়। কখনো খোলে না একমাত্র ঘুমানোর সময় ছাড়া। বন্ধুদের সঙ্গে থাকলে তাকেই সবচেয়ে বেশি বয়স্ক মনে হয়। ইদানীং কোন মেয়ে ওকে পাত্তাই দেয় না। হীনমন্যতায় ভোগে সে। মিঠুন ভেবেই নিয়েছে ভালো কোন মেয়ের সাথে হয়তো তার বিয়ে হবেনা। এখন ধর্মের পথে মতি হয়েছে তার। পাঁচ ওয়াক্ত নামাজ পড়ে । সারাক্ষণ মাথায় টুপি পড়ে থাকে। টুপি পড়ার ফলে মাথার টাকটা তার ঢাকা পড়ে। এখন কেউ দেখলে তার টাক আর দেখতে না। হঠাৎ মিঠুনের ছোট মামা একটা বিয়ের সম্বন্ধ আনলেন। মেয়ে দেখতে শুনতে খুবই ভালো। সবকিছু দেখেশুনে উভয় পক্ষের খুব পছন্দ হলো। নির্ধারিত তারিখে দুজনের বিয়েও সুসম্পন্ন হলো। ফুলশয্যার রাতে সজিব যখন বৌয়ের ঘোমটা খুলে দেখলো এ যেন এক রাজকন্যা তার জন্য বসে আছে। সে যখন সজিবের টুপিটা খুলে দিল, তখনই তার চক্ষুস্থির হয়ে গেল। কিন্তু সে কিছু বললো না। মেনে নিল সব কিছু। সজিবের সঙ্গে যখন কথা বলতে লাগলো তখন সে বুঝলো তার বউটাও তোতলা। কথা বলার সময় আটকে যায় যাচ্ছে। তবুও সে সুন্দরী বউ পেয়ে খুব খুশি হলো। কোন কিছু না পাওয়ার চেয়ে সামান্য একটু পাওয়াও তো ভালো। এটা ভেবেই সানন্দে মেনে নিলো মিঠুন।