প্রকাশ : ১৪ আগস্ট ২০২১, ০০:০০
দুরন্ত কিশোরের মতো,
দাঁড়িয়ে থাকি জল আর জলোচ্ছ্বাসের মাঝে
আমিও ভয়ংকর রূপে হেঁটে যেতে চাই আতঙ্কের মুখোমুখি
বিলের জলে পদ্ম ঢেউ পর পর ভাসে,
নিয়মিত খেলে যায় আপন নিয়মে...
আমাকে ছুঁয়ে যায় বাতাস।
আমি মুগ্ধ শ্বাসে একবুক স্বস্তি নিয়ে অন্ততকাল বাঁচতে চাই বলে,
বার্ধক্য আমায় ফিরিয়ে দেয়।
.
সর্বশেষ
উদ্দেশ্যহীন চলন নিতান্তই বোকামি।
শ্রমহীন ফলাফল সর্বদাই বিপদের আভাস,
জীবনের কাছে যতোটুকু চাওয়ার চেয়ে দেখো।
লক্ষ্য রাখো, কতটুকু পেলে বা কতটুকুর যোগ্য।
ভেলা ভাসানোর উদ্দেশ্য পাড়ে ভিড়িনো,
সাগরমুখি নদীর গোলকধাঁধায় পড়ে
প্রাণসমেত অস্তিত্ব হারানো নয়।
অতিউৎসাহ সর্বদাই খারাপ, অসময় ঘেরা প্রহরে,
মৃত্যুকে স্বাদও চেটে দেখতে চায়,
অথচ জানা নেই, মৃত্যুর স্বাদ চাটার ইচ্ছে মানে ‘সর্বশেষ’।
.
দীর্ঘ সাত বছর
সে কখনোই কাছাকাছি না আসুক,
অবরুদ্ধ না হোক আমাদের প্রেম।
জীবনের কাছে জমা থাক শঙ্কিত মৃত্যু
বিশ্বাস হোক বাঁচার চেষ্টায়।
একদিন দেখা না হোক; ক্ষতি নেই!
ভালোবাসি শব্দে সঙ্কোচের জোয়ার,
দীর্ঘ ব্যাখ্যায় জমা ছিলো নিভৃত লজ্জা
পাশাপাশি হাঁটা হলো বহুদূর...।
‘তুমি’ হোক অবাধ্যতা জড়ো শব্দ; না বললেও চলে!
আমি রোজ মাটি মাখি গায়ে, অথচ
দুর্গন্ধময় আবশ্যিক ঝাঁঝে শোধন হতে পারি না
তবুও এক-এ এক-এ কেটে গেলো সাতটি বছর ।
মন আর দেহের ভিন্নতায়।
অথচ ভালোবাসার পরিমাণ,
এতোটুকুও কমেনি...