প্রকাশ : ০৯ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ০০:০০
মিজানুর রহমান রানার মুক্তিযুদ্ধের ধারাবাহিক উপন্যাস
এই জনমে
(পূর্ব প্রকাশিতের পর)
পনেরো.
গাড়িতে বসে মেহের জল্লাদের মনে হলো, স্বাধীনতার পর অনেক বছর ধরে গ্রামের বাড়িতে যাওয়া হয় না। কেমন যেনো একটা টান অনুভব করলো সে। গাড়ি চালক ওসমান মিয়াকে নির্দেশ দিলো, ‘চলো, গ্রামের বাড়িতে চলো।’
‘আমি তো চিনি না স্যার।’
‘আমি তোমাকে পথ দেখিয়ে নিয়ে যাবো। তারপর সেখানে গিয়ে গ্রামের মানুষকে দেখাবো, আজ মেহের আলী কতো বড়ো মন্ত্রী হয়েছে, তার কতো বড়ো ক্ষমতা। মানুষকে এসব না দেখানো পর্যন্ত আমার শান্তি নেই।’
মেহের জল্লাদ গ্রামের বাড়িতে ঢোকার আগেই মসজিদটা চোখে পড়লো। গাড়ির চালক ওসমান মিয়াকে বললো, ‘ওসমান ওই মসজিদের কাছে গাড়িটা রাখো। এখানে একজন আমার খুবই কাছের মানুষ থাকে, তাকে একটু আমার শান-শওকত দেখাবো।’
ওসমান মিয়া মসজিদের কিনারে গাড়ি রাখলো। গাড়ি থেকে নেমে ধীরে ধীরে মেহের জল্লাদ মসজিদের ইমাম হেকমত মিয়ার কামরায় প্রবেশ করলো।
শুয়ে শুয়ে বিগত দিনগুলোর কথা ভাবছিলো হেকমত। এ সময়ই হঠাৎ করে খোলা দরজা দিয়ে ভেতরে প্রবেশ করে মেহের জল্লাদ। হঠাৎ করে সামনে তাকে দেখে চমকে উঠলো হেকমত। তারপর চিনতে পেরে তাকে সালাম করে বললো, ‘ওস্তাদ কী মনে করে হঠাৎ আমার গরিবখানায় হাজির হলেন?’
হাসলো মেহের। তারপর বললো, ‘তুই তো একদম পাক্কা হযরতে মাওলানা হয়ে গেছিস রে হেকমত। দুনিয়ার কোনো আকাঙ্ক্ষাই তোর মনে আর নেই?’
‘কী করবো ওস্তাদ। মরণের তো আর বেশিদিন নাই। বাকি জীবনটা আল্লাহর কাছে বিগত দিনের কৃতকর্মের জন্য অনুতপ্ত হয়ে মাগফেরাত কামনা ছাড়া আর কোনো রাস্তা আমার জানা নাই।’
আবারও হাসলো মেহের। তারপর বললো, ‘তুই তো একদম কামলেওয়ালা হয়ে গেছিস রে। চাইলেই আমার দপ্তরে ভালো একটা চাকুরি দিতে পারি তোকে। তুই জানস না, আমি এখন পূর্ণ মন্ত্রী। আমি চাইলেই সারাদেশের যে কোনো জেলা, থানায় তোর ভালো চাকুরির ব্যবস্থা করে দিতে পারি। কী লাভ এখানে মসজিদের ভেতরে পড়ে জীবনটা নষ্ট করে দিয়ে?’
‘মসজিদের ভেতরে কী যে প্রশান্তি তা আপনে বুঝবেন না ওস্তাদ। যখন সেজদায় যাই, তখন আল্লাহর নিকটবর্তী হই। ক্ষমা চাই। জানি না বিগত দিনের কৃতকর্মের ক্ষমা পাবো কি-না, তবে আমার কাজ আমি করে যাচ্ছি, আল্লাহর ইচ্ছা হলেই তো ক্ষমা পাবো।’
এমন সময় হঠাৎ গাড়ির চালক বাইরে থেকে দৌড়ে ভেতরে প্রবেশ করলো। তারপর হাঁপাতে হাঁপাতে বললো, স্যার বাইরে দেখেন একটা লোক বড়ো একটা দা নিয়ে ছুটে আসছে এদিকেই।’
খুবই দ্রুত জানালা দিয়ে বাইরে চোখ ফেললো মেহের ও হেকমত। তারপর তারা দেখতে পেলো, ইরফান লম্বা একটা চকচকে দা নিয়ে এদিকেই আসছে।
জীবনে কোনো দিন এমন ভয় পায়নি মেহের। তার পুরো শরীর ভয়ে কেঁপে উঠলো। সে দ্রুত হেকমতকে বললো, ‘হেকমত পেছন দিয়ে কোনো দরজা আছে? আমাকে তো বাঁচতে হবে।’
গভীর নিঃশ্বাস ছেড়ে হেকমত বললো, ‘ওস্তাদ, এটা আল্লাহর ঘর। এখানে শুধু যারা সেজদা দেয়, তাদেরকেই আল্লাহ রক্ষা করেন। কিন্তু যারা আল্লাহর পথ থেকে যোজন যোজন দূরে, যারা আল্লাহর কাছে গুনাহের ভয়ে সেজদা করে না, ক্ষমা চায় না, দম্ভ করে অহঙ্কার করে তাদের আর পালাবার পথ এখানে নেই।’
ইরফান চকচকে দা নিয়ে দ্রুত ধেয়ে আসছে এদিকেই। বাইরে নজর দিয়ে এ সময় হেকমতকে ধাক্কা মেরে সরিয়ে দিয়ে বামের দরজা দিয়ে মসজিদের ভেতরে ঢুকে গেলো মেহের জল্লাদ। আর পেছনে পেছনে তাকে দৌড়াচ্ছে ইরফান। এবার উপায়ন্তর না পেয়ে জীবন বাঁচাতে মসজিদের সামনের দরজা দিয়ে রাস্তায় দ্রুত বেরিয়ে গেলো মেহের। ইরফানও দৌড়ে তার পেছনে পেছনে যাচ্ছে।
হেকমত শুধু চেয়ে আছে মেহের জল্লাদের দৌড়ানির দিকে। যেনো একটা হিংস্র কুকুরকে গ্রামবাসী মিলে তাড়িয়ে বেড়াচ্ছে মেরে ফেলার জন্যে।
সে ভাবে, ইরফান সামনে পেয়ে তাকে কেনো আঘাত করলো না? তাকে কোনো টার্গেট করলো না? তাহলে, তাহলে আল্লাহ কি তাকে অনুতাপের জন্যে ক্ষমা করেছেন? হেকমত আবারও শোকরিয়া আদায় করার জন্যে সেজদায় লুটিয়ে পড়লো। তারপর বললো, ‘হে আল্লাহ, আমি জানি মেহের জল্লাদের সাথে থেকে আমি অনেক পাপ করেছি, তার দোসর হয়ে অনেক গুনাহ করেছি। এসব আমি শয়তানের প্ররোচনায় করেছি আমার রব। আমাকে ক্ষমা করুন। আমি বাকি জীবনটা আপনার গোলামি করেই কাটিয়ে দিতে চাই।’
মেহের জল্লাদ প্রাণভয়ে দৌড়াচ্ছে, তার পেছনে আরও কিছু মানুষ তাকে ধরার জন্যে দৌড়াচ্ছে। জনতার পেছনে পেছনে ইরফান তার চকচকে দা নিয়ে ধেয়ে যাচ্ছে। সূর্যের প্রখর আলো সেই দায়ের উপর প্রতিফলিত হয়ে ভয়ঙ্কর দেখাচ্ছে।
অধরা বাসায় বসে ইরফানের পথ চেয়ে আছে। এ সময় বাসায় প্রবেশ করলো ইরফান। তার হাতে রক্তমাখা সেই চকচকে দা। দায়ের দুপাশে তাজা রক্ত বেয়ে বেয়ে পড়ছে।
অধরা উৎকণ্ঠিত হয়ে উঠলো, তারপর ইরফানকে প্রশ্ন করলো, ‘কী হয়েছে তোমার? কাউকে খুন করোনি তো?’
এমন সময় বাসায় প্রবেশ করলেন ডা. প্রলয় কুমার মজুমদার। অধরাকে বললেন, ‘আমার নাম ডা. প্রলয় কুমার মজুমদার। আমি এসেছি ইরফান সাহেবের সাথে একটি বিষয়ে কথা বলতে।’
অধরা নির্বাক। সে জানে এই ডাক্তার মুক্তিযুদ্ধকালীন সময়ে মুক্তিযোদ্ধাদের সাথে থেকে তাদের সেবা দিয়েছিলেন। একজন চিকিৎসকের মানবীয় যেসব গুণাবলি তা’ এই মানুষটার আছে। মুক্তিযুদ্ধ শেষে বর্তমানে তিনি সাধারণ মানুষের ডাক্তার হিসেবে বেশ পরিচিত। মানুষের সেবায় দিনরাত তিনি ব্রত আছেন। সে কারণে সারাদেশে তাঁর বেশ ডাকনাম হয়ে গেছে। অধরাও তাঁকে বেশ পছন্দ করে।
অধরাকে চুপ থাকতে দেখে ডা. প্রলয় কুমার মজুমদার ইরফানের হাত থেকে রক্তাক্ত দা’টি হাতে নিলেন। তারপর সেটি পাশে রেখে ইরফানকে প্রশ্ন করলেন, ‘আপনি কি মেহের জল্লাদকে হত্যা করেছেন?’
ইরফান হাসলো। কিছুই বললো না।
আবারও ডা. প্রলয় কুমার মজুমদার একই প্রশ্ন করলেন। এবার ইরফানের মুখ খুললো, ‘আমি তো চেয়েছিলাম তাকে ইহজীবনেই শাস্তি দিতে। কিন্তু দা’টি ছিলো আমার, আর প্রতিশোধ নিয়েছে সাধারণ জনতা। আমার হাত থেকে দা’টি কেড়ে নিয়ে তারাই তাকে কুচি কুচি করে কেটেছে।’
ডা. প্রলয় কুমার মজুমদার বললেন, ‘কুখ্যাত মেহের জল্লাদরা মরে না। তাদের ছায়ারা থেকে যায়, তাদের শিষ্যরা থেকে যায়। এরাই মেহের জল্লাদদের শূন্যস্থানটা পূরণ করে নেয়। দেখবেন একটি জল্লাদ মরেছে, কিন্তু দেশে হাজার হাজার জল্লাদ আছে, যারা মাঝে মাঝে জিনিসপত্রের দাম বহু গুণ বাড়িয়ে সাধারণ মানুষের পকেট কাটবে, তাদের ভাগ্য নিয়ে ছিনিমিনি খেলবে, দেশের মানুষকে অস্থিতিশীল করে তুলবে। সাধারণ মানুষ আরো গরিব হবে, আর তারা ফুলতে ফুলতে বিরাট অট্টালিকা বানাবে, ধনসম্পদ গড়তে থাকবে।’
‘তাহলে আমরা কি অন্যায়ের প্রতিকার চাইবো না? আমরা কি অন্যায়ের বিরুদ্ধে রুখে দাঁড়াবো না? অন্যায় দেখেও নিশ্চুপ বসে থাকবো?’ উত্তর দিলো ইরফান। তার চোখেমুখে একটা ড্রাগনের মুখের আগুনের ফুলকি যেনো বেরিয়ে এসেছে।
ইরফানের কথা শুনে ডা. প্রলয় কুমার মজুমদার কেঁদে উঠলেন। তারপর বললেন, ‘ভার্সিটিতে পড়ুয়া স্বস্তিকা নামের যে মেয়েটি গতকাল একটা চিরকুট লিখে আত্মহত্যা করেছে, আমিই তার বাবা। আমি যদি আপনার মতো হতে পারতাম, তাহলে আমার মেয়েটি হয়তো এভাবে মৃত্যুর কোলে ঢলে পড়তে পারতো না। আমার মেয়েটি বেঁচে থাকতে চেয়েছিলো, কিন্তু শেষ পর্যন্ত আর পারলো না! তাকে নিয়ে আমার যতোসব আশা-ভরসা শেষ হয়ে গেলো। এখন আমি বাঁচবো কেমন করে?’
ডা. প্রলয় কুমার মজুমদারের কান্নারত হৃদয় নিংড়ানো শেষ কথাটা ইরফানের মস্তিষ্কের নিউরনে একটা চরম ধাক্কা মারলো। সে আর বসে থাকতে পারলো না। ইরফান আবারও সেই দা’টি হাতে নিলো। তারপর শত বাধা সত্ত্বেও বাইরে বেরিয়ে পড়লো।
একটা গভীর নিঃশ্বাস ছাড়লেন ডা. প্রলয় কুমার মজুমদার। তারপর অধরাকে লক্ষ্য করে বললেন, ‘এরা এমনই হয়, এদেরকে কোনো মানুষ রুখতে পারে না।’
অধরা জানে এরপর কী হবে? ইরফানের রক্তে নির্যাতিত মানুষের প্রতিশোধের নেশা। এই রক্ত একবার গরম হলো চরম মুহূর্ত না দেখা পর্যন্ত নরম হয় না।
পরদিন পত্রিকায় খবর এলো, ‘গতকাল রাতে স্বস্তিকা নামের ভার্সিটি পড়ুয়া ছাত্রীর ওপর কলঙ্ক লেপনকারী সেই ক্ষমতাধর ছাত্র রাসেলের মৃত্যু। জানা যায়, রাত দশটার পর একটি রক্তাক্ত দা’ হাতে কালো এক মুখোশধারী ভার্সিটিতে প্রবেশ করে তারপর সেই রাসেল নামের ছাত্রটিকে খুঁজে কুপিয়ে কুপিয়ে হত্যা করে..। রাসেল স্বস্তিকার ক্লাসমেট ছিলো। দীর্ঘদিন ধরে স্বস্তিকাকে উত্ত্যক্ত করে আসছিলো। কিন্তু স্বস্তিকা তাকে পাত্তা দিতো না। তবুও ছেলেটি নানা কুৎসা রটায় স্বস্তিকার নামে। এরপর তার ক্লাসমেটরা মিলে তাকে রাস্তাঘাটে নানাভাবে নাজেহাল করতে থাকে। স্বস্তিকা এসব বিষয় বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষকে জানায়। কিন্তু কর্তৃপক্ষ দলীয় কারণে চুপ থাকে। তারপরও রাসেল তার বিরুদ্ধে নানারকম চক্রান্ত শুরু করে। এক সময় স্বস্তিকা হোস্টেল ছেড়ে মেসে গিয়ে উঠে। সাথে এক ক্লাসমেট বান্ধবী। তার কাছে সে সব খুলে বলে। বান্ধবী রাসেলকে নানাভাবে বুঝায় এসব না করার জন্যে। কিন্তু সে আরো বেপরোয়া হয়ে উঠে। এবার আর সহ্য করতে পারেনি স্বস্তিকা। সে মানসিক চাপে পড়ে আত্মহননের পথ বেছে নেয়।’
পরদিন ইরফান ও অধরা পত্রিকায় রাসেল খুনের সেই সংবাদ পড়ে। অধরা প্রশ্ন করে, ‘কে খুন করলো ছেলেটাকে, কে প্রতিশোধ নিলো স্বস্তিকার?’
ইরফান বসেছিলো বেলকনিতে। সে অধরার দিকে তাকিয়ে মৃদু হাসে। তারপর বলে, ‘যে মানুষটি সমাজের বুকে নির্যাতিত মানুষের পক্ষে, সম্ভবত সে-ই খুন করেছে রাসেলকে। রাসেল নিজকে ধরাছোঁয়ার বাইরে মনে করেছিলো। কিন্তু মানুষ যখন বাড়তে বাড়তে বেশি বেড়ে যায়, তখন সে ঝরে পড়ে যায়। এই কথাটি মানুষ ভুলে যায়। দেখোনি রাজাকার মেহের জল্লাদের মৃত্যুটা হলো কীভাবে? দা আমার, অথচ অ্যাকশন জনতার। জনতা যখন খেপে
যায় তখনই যুদ্ধে জিতে যায়। শুধু তাদেরকে একটু জাগিয়ে দিতে হয়, তাহলেই অনায়াসেই যুদ্ধে জেতা যায়। তুমি দেখোনি বাঙালিকে দিনের পর দিন, মাসের পর মাস, বছরের পর বছর কীভাবে পশ্চিম পাকিস্তানিরা দাবিয়ে রেখে জুলুম, নির্যাতন আর শোষণ করেছিলো? বাংলার বীর শেখ মুজিব যখন জনতাকে জাগিয়ে দিলো, তখন তাঁকে বন্দি করা সত্ত্বেও দেশের জনতাই যুদ্ধে জয়লাভ করলো?’
অধরা ইরফানের জন্যে চা করে নিয়ে আসে। তারপর বলে, ‘আমাকে তুমি যে ফুলটি দিয়েছিলে ভালোবেসে, সেই ফুলটির ঘ্রাণ এখানো ভেসে বেড়ায় বাতাসে বাতাসে।’
অধরার মধুময় আবৃত্তি শুনে ইরফান হাসে। তারপর বলে, ‘চলো। এই জনমের অনেক সময়ই তো শেষ করে তোমার দেখা পেলাম। নতুন করে আজ আনুষ্ঠানিক বিয়ে করে আমরা নতুন প্রজন্মকে জানিয়ে যাবো, যেখানে অন্যায়, জলুম, নির্যাতন সেখানেই করতে হয় প্রতিবাদ ও প্রতিরোধ। জীবন যুদ্ধে যে ভয় পায় সে কখনো জয়ী হতে পারে না। ভয়কে জয় করতে হয়, তা না হলেই পরাজয়।
পরদিন ভার্সিটিতে পুলিশ আসে। তন্ন তন্ন করে রাসেল হত্যাকারীর ক্লু খুঁজে, তারা জানতে পারে একজন কালো ড্রেস পরা লোক একটি প্রকাণ্ড দা হাতে করে এসে রাসেলকে কুপিয়ে মেরেছে। কিন্তু কেউ তার মুখটি দেখতে পায়নি। পুলিশ অনেক চেষ্টা করে, কিন্তু কোনো সাক্ষ্য-প্রমাণ পায়নি।
তারপর দীর্ঘদিন চলে যায়। কেউ জানে না, কে তাকে হত্যা করেছে। রাসেল হত্যাকারীকে এখনও পুলিশ খুঁজছে। তবে আমরা কথা দিচ্ছি, তার খুনিকে পেলে আপনাকে জানাবো নিঃসন্দেহে।
এক বছর পর ইরফান-অধরার একটি কন্যাসন্তান জন্ম নেয়, ওরা তার নাম রাখে স্বস্তিকা।
আবারও পৃথিবীতে নতুন এক স্বস্তিকার জন্ম হয়েছে। এই স্বস্তিকা কি আগের স্বস্তিকার মতোই নিজকে শেষ করে দেবে? নাকি ইরফান-কন্যা স্বস্তিকা বাবার মতোই মচকাবে, তবে ভাঙ্গবে না, বরং ইরফানের মতোই দৃঢ় মনোবল নিয়ে শত্রুদের ঘায়েল করে জীবনের পথচলায় বিজয়ী হবে? (চলবে)