বৃহস্পতিবার, ৩১ জুলাই, ২০২৫  |   ২৮ °সে
জাতীয়আন্তর্জাতিকরাজনীতিখেলাধুলাবিনোদনঅর্থনীতিশিক্ষাস্বাস্থ্যসারাদেশ ফিচার সম্পাদকীয় অন্যান্য

প্রকাশ : ৩০ জুলাই ২০২৫, ২২:০৭

ফরিদগঞ্জে এলপিজি স্টেশনে গ্যাস লিকেজ

অল্পের জন্যে বড়ো ধরনের দুর্ঘটনা থেকে রক্ষা

ফরিদগঞ্জ ব্যুরো
ফরিদগঞ্জে এলপিজি স্টেশনে গ্যাস লিকেজ

ফরিদগঞ্জ পৌর এলাকার ভাটিয়ালপুরস্থ এলপিজি গ্যাস ফিলিং স্টেশনে গ্যাস লিকেজের ঘটনা ঘটেছে। নিকটবর্তী ফায়ার সার্ভিস স্টেশনের লোকজনের দ্রুত পদক্ষেপে বড়ো ধরনের দুর্ঘটনা থেকে রক্ষা পেলো আশপাশের শতাধিক পরিবার। বুধবার (৩০ জুলাই ২০২৫) বিকেলে এ ঘটনা ঘটে।

জানা গেছে, বুধবার (৩০ জুলাই) বিকেল ৫টার দিকে ভাটিয়ালপুর জে. কে. এলপিজি ফিলিং স্টেশনে একটি সিএনজি অটোরিকশাতে গ্যাস দেয়ার সময় হঠাৎ করে গ্যাস ট্যাংকের মুখের নজেল খুলে যায়। মুহূর্তের মধ্যে প্রায় ৬ হাজার লিটার গ্যাস বাতাসে ছড়িয়ে পড়ে। চারপাশে ছড়িয়ে পড়ে গ্যাসের ঝাঁঝালো গন্ধ, সৃষ্টি হয় তীব্র আতঙ্ক।ফিলিং স্টেশনের পেছনেই ছিলো সাড়ে ৮ হাজার লিটারের গ্যাস ট্যাংক। এর পাশেই রাখা ছিলো আরো দুই-তিন হাজার এলপিজি বোতল।

ফায়ার সার্ভিসের স্টেশন কর্মকর্তা কামরুল হাসান জানান, খবর পেয়ে তারা দ্রুত ঘটনাস্থলে ছুটে যান। পানি ছিটিয়ে ট্যাংকের কাছে গিয়ে নজেলটি বন্ধ করা হয়।

তিনি বলেন, কেউ যদি অসাবধানতাবশত একটি সিগারেটও জ্বালাতো, তাহলে পুরো এলাকা ছাই হয়ে যেতো। এতো গ্যাস একসঙ্গে লিক হওয়া অত্যন্ত বিপজ্জনক।

জে. কে. এলপিজি ফিলিং স্টেশনের ম্যানেজার সজিব বলেন, আমি নিজেই গ্যাস দিচ্ছিলাম। হঠাৎ গ্যাস ট্যাংকের একটি নজেল খুলে গিয়ে প্রচণ্ড শব্দে গ্যাস বের হতে থাকে। চোখের সামনেই এলাকা সাদা ধোঁয়ায় ঢেকে যায়।

এলপিজি পাম্পের মালিক তোফাজ্জল হোসেন জানান, সকালে নতুন করে সাড়ে আট হাজার লিটার গ্যাস আনা হয়েছিল। বিকেলের দুর্ঘটনায় প্রায় ছয় হাজার লিটার গ্যাস বাতাসে ছড়িয়ে যায়।

স্থানীয় বাসিন্দাদের অভিযোগ, পাম্প কর্তৃপক্ষ নিয়মিত নিরাপত্তাবিধি মানেন না। আগুন নিয়ন্ত্রণে প্রয়োজনীয় যন্ত্রপাতিও অপ্রতুল।

  • সর্বশেষ
  • পাঠক প্রিয়