প্রকাশ : ১৯ জানুয়ারি ২০২৫, ১৯:০৭
ক্লাস চলাকালীন বিদ্যালয়ের মাঠ ঝাড়ু দিচ্ছে শিক্ষার্থীরা, নেই মাস্ক
শ্রেণিশিক্ষা (ক্লাস) চলাকালীন শিশুরা হয় শিক্ষকদের কথা শুনবে, না হলে খেলাধুলায় মাতোয়ারা থাকবে। কিন্তু তা না করে প্রধান শিক্ষকের নির্দেশে স্বাস্থ্যঝুঁকি নিয়ে বিদ্যালয়ের মাঠ ঝাড়ু দিচ্ছে। সেই সময় তাদের মুখে ছিলো না কোনো মাস্ক। ঘটনাটি ফরিদগঞ্জ উপজেলার দক্ষিণ কড়ৈতলী সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের।
|আরো খবর
রোববার (১৯ জানুয়ারি২০২৫) বেলা সাড়ে ১১ টায় বিদ্যালয়টিতে গিয়ে এই দৃশ্য দেখা গেছে। যদিও এই বিষয়ে জানতে চাইলে নির্দেশদাতা প্রধান শিক্ষক কোনো সদুত্তর দেননি। এ পরিস্থিতি দেখে বিদ্যালয়ের অভিভাবক ও স্থানীয় সচেতন মানুষদের মাঝে ক্ষোভের সৃষ্টি হয়েছে।
সরেজমিনে দেখা যায়, বিদ্যালয়টির মাঠে উড়ছে ধূলাবালি, শিক্ষার্থীদের হাতে নেই হ্যান্ড গ্লাভস, মুখে নেই মাস্ক। প্রধান শিক্ষকের নির্দেশনা মোতাবেক কোমলমতি শিক্ষার্থীরা মাঠ ঝাড়ু দিচ্ছে। শ্রেণিশিক্ষা রেখে প্রধান শিক্ষকের নির্দেশে তারা এই কাজ করছে।
স্থানীয় বাসিন্দা মো. ইয়াকুব মিয়া, নুরুল ইসলামসহ আরো কয়েকজন ক্ষোভ প্রকাশ করে বলেন, সবে মাত্র বছর শুরু হয়েছে। এখনো বইয়ের থেকে নতুন ঘ্রাণ যায়নি। কিন্তু এ বিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ কাণ্ডজ্ঞানহীনের মতো ধূলাবালিতে স্বাস্থ্যঝুঁকির কথা না ভেবে কোমলমতি শিক্ষার্থীদের দিয়ে মাঠ ঝাড়ু দেয়াচ্ছে, যা অনুচিত।
নাম প্রকাশ্যে অনিচ্ছুক বিদ্যালয়ের এক শিক্ষার্থীর অভিভাবক বলেন, বিগত সরকারের আমলেও বিদ্যালয়ের এই প্রধান শিক্ষক স্বেচ্ছাচারিতার মধ্য দিয়ে বিদ্যালয়টি চালিয়েছেন। এখনো তার স্বেচ্ছাচারিতা যায়নি।
বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক মো. ইসমাইল হোসেন বলেন, পরিচ্ছন্নতা কার্যক্রমে সরকারি নির্দেশনা আছে। ক্লাস চলাকালীন সময়ে শিশুদের স্বাস্থ্য ঝুঁকি নিয়ে মাঠ পরিষ্কারের বিষয়ে তাকে কোনো প্রকারের অনুশোচনা করতে দেখা যায়নি বা সদুত্তর দেননি।
উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের আবাসিক চিকিৎসক ডা. মুজাম্মেল হোসেন বলেন, শিশুরা ধূলাবালি গ্রহণের কারণে এলার্জি, শ্বাসকষ্টসহ বিভিন্ন প্রকারের রোগ ব্যাধির আশঙ্কা রয়েছে। উপজেলা প্রাথমিক শিক্ষা কর্মকর্তা শিরিন সুলতানা বলেন, শিক্ষার্থীদের দিয়ে স্কুল মাঠ পরিষ্কারের ব্যাপারে আমাদের কোনো অনুমতি নেই। এ বিষয়ে আমি খোঁজখবর নিয়ে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করবো।