প্রকাশ : ০৪ ফেব্রুয়ারি ২০২২, ১৮:২৯
মতলবে সড়ক দুর্ঘটনায় নিহত ৪ জনের দাফন
চাঁদপুরের বাবুরহাট - মতলব - পেন্নাই সড়কের বরদিয়া বাজার এলাকায় মাইক্রো বাসের সাথে মুখোমুখি সংঘর্ষে নিহত
|আরো খবর
৪ জনের দাফন হয়েছে।
শুক্রবার জুমার নামাজের পর পুরান বাজার জামে মসজিদ প্রাঙ্গনে নিহত হানিফ বেপারীর জানাজা অনুষ্ঠিত হয়।পরে মধ্য শ্রীরামদী কবরস্থানে তাকে দাফন করা হয়েছে। অপরদিকে শহরের জেডিসি কুলি বাগান এলাকায় নুপুর আক্তার ও মতলবের নিহত জনের লাশ নিজ নিজ এলাকায় দাফন করা হয়।
৩ ফেব্রুয়ারী বৃহস্পতিবার বিকাল সাড়ে ৫টায় এ বরদিয়া বাজারের জামে মসজিদ লাগোয়া স্থানে বাবুরহাট থেকে মতলব গামী সিএনজি স্কুটারের সাথে বিপরীত দিক থেকে আসা চাঁদপুর গামী হাইস মাইক্রোবাসের মুখোমুখি সংঘর্ষ হয়। মর্মান্তিক এ সড়ক দুর্ঘটনায় চালকসহ সিএনজি স্কুটারের চারজন যাত্রীর মৃত্যু ঘটে।
পরে পুলিশ হাসপাতাল ও ঘটনাস্থল থেকে লাশ উদ্ধার ও সুরতহাল তৈরি করে ময়না তদন্তের জন্য উদ্যোগ নেয়। কিন্তু নিহতদের পরিবারের পক্ষ থেকে লাশ পোস্ট মডেম না করার লিখিত আবেদন করলে অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিস্ট্রেটের আদেশে ময়না তদন্ত না করে রাত দুইটার পর মৃতদেহ গুলো তাদের স্বজনদের কাছে
হস্তান্তর করা হয় বলে জানা যায়।
চাঁদপুর সদর হাসপাতাল সূত্রে নিহতদের পরিচয় প্রসঙ্গে জানা যায়, চাঁদপুর শহরের পুরাণবাজার পশ্চিম শ্রীরামদীর হারুন বেপারির ছেলে হানিফ বেপারী (২৮), শহরের ৭নং ওয়ার্ডের জেটিসি কুলিবাগানের আজিম দেওয়ানের মেয়ে তানিয়া আক্তার নুপুর(১৮) এবং অজ্ঞাত ৭০ বয়স্ক বৃদ্ধা নারী। এছাড়াও সিএনজি চালক মতলব উত্তর উপজেলার ঘনিয়ারপাড়ের বাসিন্দা জালাল উদ্দীন মোল্লা(৪৯) ও মতলব উত্তরে নুরুর কান্দি গ্রামের নুরজাহান বেগম(৭০)।
ঘটনার প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, সিএনজিটি বাবুরহাট থেকে ছেড়ে মতলবের উদ্দেশ্যে যাচ্ছিলো এবং মাইক্রো বাসটি বাবুরহাট- পেন্নাই সড়ক পথে চাঁদপুরের দদিকে আসছিলো। পরবর্তীতে সিএনজি (চাঁদপুর-থ-১১-২৭৯৬) ও মাইক্রো বাসটি (ঢাকা মেট্রো-চ -১৯-৮০১২) মুখোমুখি সংঘর্ষে সিএনজিটি দুমড়ে মুচড়ে যায় এবং এ হতাহতের ঘটনা ঘটে। এতে স্থানীয় বিক্ষুব্ধ জনতা প্রায় ঘন্টাখানেক সড়কে যান চলাচল বন্ধ করে দেয়। পরে মতলব থানা পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌছে উত্তেজিত জনতাকে শান্ত করে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে।
হাসপাতালে চিকিৎসাধীন আহত ওয়ানমিনিটের পাশের ভাড়াটিয়া শাহজাহান তপাদারের মেয়ে জান্নাত আক্তার পপি(১৯) বলেন, আমরা চাঁদপুর থেকে বাবুরহাট নেমে সিএনজি বদল করে মতলব বাজারের দিকে যাচ্ছিলাম। সিএনজিতে আমি এবং আমার বান্ধবী নুপুর পিছনে ছিলাম। আর সামনে হানিফ ও সিএনজি চালক ছিলো। বাবুটহাটের একটু সামনে বৃদ্ধা মহিলাটি সিএনজিতে উঠে। তাকে আমরা কেউ চিনি না। কিভাবে কি হলো তাও আমি বলতে পারছি না।
খোঁজ-খবর নিয়ে জানা যায়, আহত পপি এবং নিহত নুপুর ও হানিফ বিয়ে বাড়ীর অনুষ্ঠানের নৃত্যশিল্পী। ধারনা করা হচ্ছে মতলবে কোন এক বিয়ে বাড়ীতে তারা নাচের উদ্দ্যেশ্যে রওনা হয়েছিলো।
নিহত নুপুর ও হানিফ এবং আহত পপি চাঁদপুর স্বপ্নপুরী সাংস্কৃতিক সংগঠনের নৃত্যশিল্পী বলে জানা যায়।