বুধবার, ৩০ অক্টোবর, ২০২৪  |   ৩২ °সে
আজকের পত্রিকা জাতীয়আন্তর্জাতিকরাজনীতিখেলাধুলাবিনোদনঅর্থনীতিশিক্ষাস্বাস্থ্যসারাদেশ ফিচার সম্পাদকীয়
ব্রেকিং নিউজ
  •   চাঁদপুরে রাজনৈতিক মামলায় আসামীদের আটক অভিযান অব্যাহত। যুবলীগ, কৃষকলীগ ও স্বেচ্ছাসেবক লীগের ৫ নেতা-কর্মী আটক
  •   ছেঁড়া তারে প্রাণ গেল যুবকের
  •   চাঁদপুরে গণঅধিকার পরিষদের ৩য় প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী পালন
  •   রাজধানীতে কচুয়ার কৃতী সন্তানদের সংবর্ধনা
  •   সম্প্রীতির চমৎকার নিদর্শন আমাদের বাংলাদেশ --------------জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ মোহসীন উদ্দিন

ফরিদগঞ্জে ভুমিহীনদের জন্য নির্মাণ করা ঘরগুলো অনেক ভাল হয়েছে : জেলা প্রশাসক অঞ্জনা খান মজলিস

প্রকাশ : ১১ জুলাই ২০২১, ২০:৪৮

ফরিদগঞ্জ ব্যুরো

চাঁদপুর জেলা প্রশাসক অঞ্জনা খান মজলিস বলেছেন, সরকার মুজিববর্ষ উপলক্ষে সারাদেশে ভুমিহীনদের ঘর প্রদানের যে কর্মসূচি নিয়েছে, সেই প্রকল্পের ঘর চাঁদপুরে প্রতিটি উপজেলায় তা' বাস্তবায়িত হয়েছে এবং চলমান রয়েছে। আমি নিজে চাঁদপুরের প্রতিটি উপজেলা পর্যায়ে নির্মাণ করা ঘরগুলো সর্ম্পকে জানি, সেগুলো অনেক ভাল হয়েছে।

নিশ্চিত থাকার পরও স্থানীয় একটি পত্রিকায় রির্পোটের কারণে তারপরও আমি আজ নিজে আজ রোববার ফরিদগঞ্জ উপজেলার বাগড়া বাজারের ঘরগুলো দেখতে এসেছি। বাস্তব পরিস্থিতি দেখে আমি অভিভূত। আমি নিজে প্রতিটি স্থান ঘুরে দেখেছি, বরাদ্দপ্রাপ্ত লোকজনের সাথে কথা বলেছি। স্থানীয় প্রশাসন ও জনপ্রতিনিধিরা এসব ভুমিহীন লোকজনের জন্য ঘর প্রতি বরাদ্দ হওয়া ১ লক্ষ ৭১ হাজার টাকারও বেশি কাজ করেছেন।

তিনি বলেছেন, স্থানীয় পত্রিকায় যে তথ্যগুলো সর্ম্পকে বলা হয়েছে, যেমন পানি, বিদ্যুৎসহ তার সবকিছুই রয়েছে। তাই এসব অভিযোগ সঠিক নয়। আজ ১১ জুলাই রোববার বিকালে জেলা প্রশাসক ফরিদগঞ্জ উপজেলার বাগড়া বাজারের ঘরগুলো দেখতে এসে একথা বলেন। এ সময় তার সাথে অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক ইমতিয়াজ হোসেন, ফরিদগঞ্জ উপজেলা নিবার্হী কর্মকর্তা শিউলী হরি, সহকারি কমিশনার (ভুমি) শারমনি আক্তার, উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা মিল্টন দস্তিদার প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।

পরে বিকালে উপজেলা নিবার্হী কর্মকর্তা শিউলী হরি তার কার্যালয়ে ভুমিহীন জন্য তৈরি ২০টি ঘর নিয়ে প্রেসব্রিফিং করেন। এসময় তিনি বলেন, ভুমিহীনদের জন্য ফরিদগঞ্জ উপজেলায় ২য় পর্যায়ে বাগড়া বাজারে ১৩টি এবং সাহেবগঞ্জ গ্রামে ৭টিসহ মোট ২০টি ঘর তৈরি করা হয়েছে। ঘর তৈরি শেষ হয়েছে। ঘর প্রাপ্তদের কাছে ঘরের চাবি হস্তান্তর করা হয়েছে। সেই সময়েই তাদের বলা হয়েছে, ঘরগুলোতে কোনো ত্রুটি থাকলে আমাদের জানালে আমরা তা' সারিয়ে দিবো।

পল্লী বিদ্যুৎ কর্তৃপক্ষ ইতিমধ্যেই প্রতিটি ঘরে বিদ্যুতের সংযোগ এবং জনস্বাস্থ্য অধিদপ্তর গভীর নলকূপ বসিয়ে দিয়েছে। ঘরের বাইরে আনুসাঙ্গিক কাজগুলো যেমন ইটের সলিং ও শেষ পর্যায়ে। কিন্তু ঘর নিয়ে যেভাবে একটি পত্রিকায় লেখা হয়েছে, তার বাস্তবতা নেই। আমরা সকলে মিলে চেষ্টা করেছি ভুমিহীনদের এই ঘরগুলো যেন ভাল ও মানসম্পন্ন হয়। আমরা অন্য প্রজেক্ট থেকে টাকা এনে কাজ করেছি। তা অব্যাহত থাকবে।

তিনি বলেন, আমরা চাই সাংবাদিকরা সঠিক তথ্যই তুলে ধরুক। বস্তুনিষ্ঠ তথ্য বহুল হলে আমাদের সহায়ক হয়। এ সময় ফরিদগঞ্জ প্রেসক্লাবের সভাপতি কামরুজ্জামান, সাধারণ সম্পাদক আব্দুস ছোবহান লিটনসহ প্রেসক্লাব নেতৃবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।

  • সর্বশেষ
  • পাঠক প্রিয়