ছয় দফা দাবিতে চাঁদপুরে স্বাস্থ্য সহকারীদের অবস্থান কর্মসূচি

ছয় দফা দাবির প্রেক্ষিতে বৈরী আবহাওয়া উপেক্ষা করে অবস্থান কর্মসূচি পালন করেছেন চাঁদপুর জেলার স্বাস্থ্য সহকারীরা। বাংলাদেশ হেলথ অ্যাসিস্ট্যান্ট অ্যাসোসিয়েশনের কেন্দ্রীয় কর্মসূচির অংশ হিসেবে মঙ্গলবার (৮ জুলাই) সকাল ৮টা থেকে ১১টা পর্যন্ত চাঁদপুর জেলা সিভিল সার্জন কার্যালয়ের সামনে এই অবস্থান কর্মসূচি পালন করা হয়। কর্মসূচিতে সভাপতিত্ব করেন জেলা হেলথ অ্যাসিস্ট্যান্ট অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি মো. জাহাঙ্গীর আলম এবং সঞ্চালনায় ছিলেন সাধারণ সম্পাদক আরিফ মোহাম্মদ রুহুল ইসলাম। বক্তব্য রাখেন সংগঠনের সাবেক সভাপতি মাসুদুর রহমান, সহ-সভাপতি গোলাম কিবরিয়া স্বপন, মো. ওমর ফারুক, মো. জসীমউদ্দিন, ইউসুফ পাটওয়ারী, মাসুদ আলম, আলমগীর কবির, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক আবুল বাসার, সাইফুল ইসলাম, ইয়াছিন মোল্লা, গাজী মো. খোরশেদ আলম, ফরহাদ হোসেন, সাংগঠনিক সম্পাদক জসিমউদ্দিন গাজী, দপ্তর সম্পাদক গিয়াসউদ্দিন মজুমদার, অর্থ সম্পাদক বি. এম. রোকনুল ইসলাম, মহিলা সম্পাদক রাবেয়া আক্তার, সহ-মহিলা সম্পাদক তাহমিনা, ইয়াছিন আক্তার এবং সদস্যবৃন্দের মধ্যে নিজামুদ্দিন, কবির হোসেন মোল্লা, মামুনুর রশীদ ও কবির হোসেন।

কর্মসূচিতে জেলার সকল স্বাস্থ্য সহকারী, স্বাস্থ্য পরিদর্শক এবং সহকারী স্বাস্থ্য পরিদর্শকগণ উপস্থিত ছিলেন।

নেতৃবৃন্দ তাদের বক্তব্যে বলেন, স্বাস্থ্য সহকারীদের নিয়োগবিধি সংশোধন করে শিক্ষাগত যোগ্যতা স্নাতক বা সমমান নির্ধারণ করে ১৪তম গ্রেডে উন্নীত করতে হবে। ইন সার্ভিস ডিপ্লোমা প্রশিক্ষণের মাধ্যমে টেকনিক্যাল পদমর্যাদা ও ১১তম গ্রেডে বেতন স্কেল বাস্তবায়ন করতে হবে। ধারাবাহিক পদোন্নতি ও উচ্চতর গ্রেড নিশ্চিত করতে হবে। পূর্বের নিয়োগবিধি অনুযায়ী নিযুক্ত কর্মরতদের অভিজ্ঞতার ভিত্তিতে স্নাতক স্কেলে আত্মীকরণ করতে হবে। টাইম স্কেল বা উচ্চতর গ্রেড প্রাপ্তদের পুনঃনির্ধারিত বেতন স্কেলের সঙ্গে সংযুক্ত করতে হবে। সকল পর্যায়ে ন্যায্য স্বীকৃতি ও পদোন্নতি নিশ্চিত করতে হবে।

নেতৃবৃন্দ আরো জানান, এর আগে ২৫ ও ২৬ মে ঢাকায় এবং ২৪ জুন উপজেলা পর্যায়ে কর্মসূচি পালিত হয়েছে। ইতোমধ্যে সারা দেশে ইপিআই টালি ও মাসিক রিপোর্ট প্রদান বন্ধ রয়েছে। স্বাস্থ্য সহকারীরা সরকারের প্রতি তাদের যৌক্তিক ৬ দফা দাবি দ্রুত বাস্তবায়নের আহ্বান জানান। দাবিগুলো বাস্তবায়ন না হলে আগামী ১ সেপ্টেম্বর থেকে ইপিআইসহ স্বাস্থ্য বিভাগের সকল কার্যক্রম বন্ধ করে দেওয়ার কঠোর হুঁশিয়ারি দেন নেতারা।