প্রকাশ : ০৫ জানুয়ারি ২০২৫, ২০:৪৯
মেঘনায় অবৈধ বালু উত্তোলনে বাধা দেয়ায় হামলা, এলাকাবাসীর বিক্ষোভ
মতলব উত্তরের মেঘনা নদীতে অবৈধভাবে বালু উত্তোলনে বাধা দেওয়ায় হামলা ও দোকান ভাংচুর করা হয়েছে। এতে একজন গুরুতর আহত হয়েছে। ঘটনাটি ঘটেছে ষাটনল ইউনিয়নের চর চারানি গ্রামে। আহত হয়েছে চর চারানি গ্রামের রুহুল আমিন সরদারের ছেলে হাসান সরদার। রোববার (৫ জানুয়ারি ২০২৫) দুপুরে আহত হাসান সরদারের নানা সমির আলী বাদী হয়ে মতলব উত্তর থানায় একটি অভিযোগ দায়ের করেন। পরে বিকেলে হামলার প্রতিবাদে বিক্ষোভ মিছিল করেন এলাকাবাসী।
অভিযোগ সূত্রে জানা যায়, মতলব উত্তরের মেঘনা নদীর ষাটনল, লালপুর ও কালীপুর এলাকায় দীর্ঘদিন যাবত একটি মহল অবৈধভাবে বালু উত্তোলন করে আসছিলো। ষাটনল, লালপুর ও কালীপুর গ্রামের লোকজন মিলে বালু উত্তোলনে বাধা দিলে বালু উত্তোলনকারীরা তাদের গালাগালি ও প্রাণনাশের হুমকি দেয়।
রোবার সকালে উপজেলার ষাটনল ইউনিয়নের কনু মার্কেটে বড়ো ষাটনল গ্রামের শফিক তাতীর ছেলে ফেরদৌস ইসলাম সোহেল তাতী, হাবি তাতীর ছেলে রনি তাতী, জাহাঙ্গীর আলম প্রধানের ছেলে নাদিম, কালাই তাতীর ছেলে রবু তাতী, লাল মিয়া তাতীর ছেলে শরীফ তাতী, রফিক তাতীর ছেলে রানা তাতী, রহমত উল্লাহর ছেলে রাতুল, জামাল হোসেনের ছেলে সাব্বির, আবুল খালেকের ছেলে হৃদয়, ফারুক তাতীর ছেলে সিয়ামসহ আরো ১০/১২ জন অজ্ঞাতনামা লোকজন দেশীয় অস্ত্র নিয়ে হাসান সরদারের ওপর হামলা করে। হামলায় হাসানের শরীরের বিভিন্ন অংশ জখম হয় এবং তার দোকানে থাকা ২ লক্ষ ৮ হাজার টাকা নিয়ে যায় ও বিভিন্ন মালামাল ভাংচুরসহ ৩ লক্ষ টাকার ক্ষতিসাধন করে। এ বিষয়ে অভিযুক্ত ফেরদৌস আলম সোহেল বলেন, বালু নিয়ে নয়, পারিবারিক বিষয় নিয়ে মারামারি হয়েছে। আমাকে রাজনৈতিকভাবে হয়রানি করার জন্যে মিথ্যা অভিযোগ করেছে। আমার লোকজনদের উপর তারা হামলা করেছে। এ বিষয়ে একটি অভিযোগও হয়েছে। পরে বিকেলে আহত হাসানের পক্ষে এলাকাবাসীরা হামলাকারীদের বিরুদ্ধে বিক্ষোভ মিছিল করেন। এ বিষয়ে মতলব উত্তর থানার অফিসার ইনচার্জ মো. রবিউল হক বলেন, এ ঘটনায় একটি অভিযোগ পেয়েছি, তদন্ত সাপেক্ষে ব্যবস্থা নেওয়া হবে। সূত্র : যায়যায়দিন