শনিবার, ২৩ নভেম্বর, ২০২৪  |   ২৩ °সে
আজকের পত্রিকা জাতীয়আন্তর্জাতিকরাজনীতিখেলাধুলাবিনোদনঅর্থনীতিশিক্ষাস্বাস্থ্যসারাদেশ ফিচার সম্পাদকীয়
ব্রেকিং নিউজ
  •   শনিবার চাঁদপুরে ৪ শতাধিক নারী-পুরুষের অংশগ্রহণে ম্যারাথন প্রতিযোগিতা
  •   মুক্তিযোদ্ধা কমান্ডারের পুত্রবধূ মাদকসহ যৌথ বাহিনীর হাতে আটক।
  •   মহাখালীতে ট্রেন থামিয়ে শিক্ষার্থীদের হামলা, শিশুসহ কয়েকজন রক্তাক্ত
  •   কমিটি নিয়ে দ্বন্দ্বের জেরে শিক্ষক লাঞ্ছনা ও ভাংচুরের ঘটনা গৃদকালিন্দিয়া কলেজে শিক্ষার্থীদের মধ্যে উত্তেজনা ॥ পাঠদান স্থগিত
  •   চট্টগ্রামে মধ্যরাতে ছাত্রলীগের ঝটিকা মিছিল থেকে অর্থদাতাসহ দুজন গ্রেপ্তার।

প্রকাশ : ২৯ আগস্ট ২০২৪, ০০:০০

ছাত্রদের ত্রাণ সামগ্রী ছিনিয়ে নিলো বিএনপি নেতা, উদ্ধার করলো সেনবাহিনী-পুলিশ

নোয়াখালী প্রতিনিধি ॥
ছাত্রদের ত্রাণ সামগ্রী ছিনিয়ে নিলো বিএনপি নেতা, উদ্ধার করলো সেনবাহিনী-পুলিশ

নোয়াখালীর কবিরহাটের সুন্দলপুর ইউনিয়ন বিএনপির সভাপতি মো. একরামের বিরুদ্ধে ছাত্রদের ত্রাণ সামগ্রীর ৬০০ প্যাকেট ছিনিয়ে নেওয়ার অভিযোগ উঠেছে। ওই সময় বিএনপি নেতা একরামের অনুসারীরা এক ছাত্রকে কুপিয়ে ও আরেকজনকে বেধড়ক পিটিয়ে গুরুতর আহত করে।

গত মঙ্গলবার (২৭ আগস্ট) রাত ৯টার দিকে সেনবাহিনী ও কবিরহাট থানার একদল পুলিশ ছিনিয়ে নেওয়া ত্রাণ সামগ্রীগুলো উদ্ধার করে। এর আগে একই দিন বিকেল সাড়ে ৩টার দিকে উপজেলার সুন্দলপুর ইউনিয়নের কালামুন্সি বাজারে এই ঘটনা ঘটে। এতে তাৎক্ষণিক আইনশৃঙ্খলা বাহিনী একজনকে আটক করে থানায় নিয়ে যায়।

আটক মো. সৌরভ (১৮) উপজেলার সুন্দলপুর ইউনিয়নের ৭ নম্বর ওয়ার্ডের দই বাড়ির জাহের হোসেনের ছেলে।

হামলার শিকার শিক্ষার্থী তাসরিফউর রহমান ওরফে নিহাদ অভিযাগ করে বলেন, উপজেলার কালামুন্সি বাজার এলাকার ছাত্ররা ঢাকা থেকে ৬০০ প্যাকেট ত্রাণ সামগ্রী সংগ্রহ করে নিজেদের এলাকার বন্যা দুর্গতদের মধ্যে বিতরণ করার জন্যে। মঙ্গলবার বিকেল সাড়ে ৩টার দিকে ত্রাণ সামগ্রীর প্যাকেট গুলো কালামুন্সি বাজারে আসে। তখন ইউনিয়ন বিএনপির সভাপতি একরাম নানা অজুহাতে ছাত্রদের ত্রাণ সামগ্রীগুলো ছিনিয়ে নিয়ে সুন্দলপুর ইউনিয়ন পরিষদে আটকে রাখে। তখন একরামের অনুসারী ছাত্রদল নেতা সোহেলের নেতৃত্বে সৌরভ, রিপাত, নুমান ও বাপ্পী ছাত্রদের ওপর হামলা চালায়। হামলাকারীরা মো. মাইন উদ্দিন আকাশ (১৬) নামে এক ছাত্রকে কুপিয়ে ও নিহাদ (১৬) নামে আরেক ছাত্রকে বেধড়ক পিটিয়ে আহত করে। পরে ছাত্ররা বিষয়টি পুলিশ ও সেনাবাহিনীকে জানালে তারা ঘটনাস্থলে আসে। এক পর্যায়ে তারা ছাত্রদের ত্রাণ সামগ্রী উদ্ধার করে।

অভিযোগের বিষয়ে জানতে চাইলে সুন্দলপুর ইউনিয়ন বিএনপির সভাপতি মো. একরাম অভিযোগ নাকচ করে দিয়ে বলেন, আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর লোকজন ত্রাণগুলো উদ্ধার করে। এরপর যাদের ত্রাণ তাদের ফেরত দেওয়া হয়েছে। তারা তাদের লোক দিয়ে ত্রাণ সামগ্রী গুলো বিতরণ করে।

স্থানীয় ভাবে জানা যায়, সেখানে ১৪০-১৫০ প্যাকেট ত্রাণের প্যাকেট ছিল।

কবিরহাট উপজেলা বিএনপির সভাপতি কামরুল হুদা চৌধুরী লিটন বলেন, বিষয়টি আমি শুনেছি। অভিযুক্ত বিএনপি নেতাকে দল থেকে বহিষ্কারের কথা হয়েছে। দলীয় বৈঠকে তার বিরুদ্ধে সাংগঠনিক ব্যবস্থা গ্রহণ করবো। তিনি আরও বলেন, ওই ত্রাণ বিতরণের সাথে কয়েকজন ছাত্রলীগের ছেলে জড়িত ছিল। যারা ৫ আগস্টের আগে আমাদের লোকজনকে মারধর করেছে। আসলে ছোট বিষয়টিকে বড়ো করা হয়েছে।

কবিরহাট থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. হুমায়ন কবির বলেন, খবর পেয়ে ছাত্রদের ত্রাণ সামগ্রী গুলো উদ্ধার করে ফেরত দেওয়া হেেয়ছে। তাৎক্ষণিক ঘটনাস্থল থেকে একজনকে আটক করা হয়েছে। ছাত্ররা লিখিত অভিযোগ দিলে পরবর্তীতে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে। অপর এক প্রশ্নের জবাবে ওসি জানান, বিএনপির নেতৃবৃন্দ অভিযুক্ত বিএনপি নেতাকে দল থেকে বহিষ্কার করার কথাও জানান।

  • সর্বশেষ
  • পাঠক প্রিয়