প্রকাশ : ২৮ আগস্ট ২০২৪, ০০:০০
স্পীডবোট ভাড়ার নামে নৈরাজ্য
কয়েকদিনের টানা বৃষ্টি ও ভয়াবহ বন্যায় দেশের ফেনী, নোয়াখালী, লক্ষ্মীপুর ও কুমিল্লাসহ কিছু অঞ্চলের কয়েক লাখ মানুষ এখন পানিবন্দি। বন্যাদুর্গতদের উদ্ধার ও সহযোগিতায় এগিয়ে এসেছেন স্বেচ্ছাসেবী বিভিন্ন সংগঠনসহ অনেকে। বন্যাকবলিত এলাকায় ত্রাণ তৎপরতায় এ মুহূর্তে স্পীডবোটের বিকল্প নেই। চাঁদপুর থেকে নেওয়া প্রায় ৩০টি স্পীডবোট ইতোমধ্যে ফেনীসহ বিভিন্ন এলাকায় ব্যবহৃত হচ্ছে। এ সময় চাহিদার সুযোগে চাঁদপুরে স্পীডবোট ভাড়া নিয়ে শুরু হয়েছে নৈরাজ্য।
জানা গেছে, এমন দুর্যোগের পরিস্থিতিতেও সুযোগ বুঝে বোট মালিকরা অতিরিক্ত টাকা দাবি করছেন। তারা স্বেচ্ছাসেবীদের নানাভাবে নাজেহাল করছেন বলেও অভিযোগ পাওয়া গেছে। স্পীডবোট ভাড়ার নামে একটি চক্র স্বেচ্ছাসেবকদের কাছ থেকে হাতিয়ে নিচ্ছে হাজার হাজার টাকা। চাঁদপুর থেকে ট্রাকে করে নেওয়ার ভাড়াও ১০ হাজার টাকা। এ ছাড়া থাকাণ্ডখাওয়া সব খরচ বহন করতে হবে উদ্ধারকারী স্বেচ্ছাসেবকদের। সেই সঙ্গে যুক্ত হবে জ্বালানি খরচও। এদিকে গত দুদিন ধরে চাঁদপুরের কোথাও স্পীডবোট ভাড়ার জন্যও পাওয়া যাচ্ছে না। পরে কিছু স্বেচ্ছাসেবী সংগঠন নিজেদের অর্থায়নে দুটি ইঞ্জিনচালিত নৌকা নগদ টাকায় কিনে মতলব উত্তর থেকে ট্রাকে করে ফেনীতে নিয়ে গেছে বলে জানা গেছে।
ফেনীতে বানভাসিদের উদ্ধারে যাওয়া স্বেচ্ছাসেবক খায়রুল আলম জানান, স্পীডবোট চাহিদার এই সুযোগটাকে কাজে লাগিয়ে ভাড়া বেশি নিচ্ছে চালক ও মালিকরা। স্পীডবোট একটা হোক বা দুটি প্রতি ট্রাক ১০ হাজার টাকা করে ভাড়া নিচ্ছে। এ বিষয়ে প্রশাসনের নজরদারি প্রয়োজন।
সংগঠক এইচএম জাকির বলেন, ঢাকা, ফেনী ও চাঁদপুরের বেশ ক'টি সংগঠন আমার কাছে স্পীডবোট সহযোগিতা চেয়েছে। আমি তাৎক্ষণিকভাবে চাঁদপুরে স্পীডবোট পরিচালনা কর্তৃপক্ষের সঙ্গে আলোচনা করে বোট ম্যানেজ করে ফেনীতে ট্রাকযোগে পাঠিয়েছি। ট্রাক স্বল্পতার কারণে পাঠাতে দেরি হচ্ছে।
চাঁদপুর নৌ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মোঃ মনিরুজ্জামান মনির বলেন, মূলত স্পীডবোট ভাড়া নির্ধারণ না থাকায় এরা এভাবে ভাড়া নিচ্ছে। যেহেতু ভালো কাজে স্বেচ্ছাসেবীরা স্পীডবোট ভাড়া নিচ্ছে, তাই ভাড়া যাতে আরও কম নেয় সেই ব্যবস্থা আমরা নেব। সূত্র : যুগান্তর