প্রকাশ : ১৫ আগস্ট ২০২৪, ০০:০০
আনোয়ার হাওলাদারের শোরুম ও দোকান ভাংচুর ও লুটপাট
চাঁদপুর পৌর স্বেচ্ছাসেবক লীগের আহ্বায়ক মোঃ আনোয়ার হাওলাদারের শোরুম ও দোকান ভাংচুর এবং লুটপাট করা হয়েছে বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে। ৫ আগস্ট সোমবার বিকেলে চাঁদপুর শহরের করিম পাটওয়ারী সড়কস্থ তালতলা এলাকায় ‘আলী বাবা ডোর এন্ড টাইলস হাউজ’ শোরুম এবং বড় স্টেশন ক্লাব রোডস্থ ১০টি দোকানে অজ্ঞাত দুর্বৃত্তরা ভাংচুর ও লুটপাট চালায়। ‘আলী বাবা ডোর এন্ড টাইলস হাউজ’ শোরুম থেকে ৩ লাখ ৮০ হাজার টাকা মূল্যের ১০টি হাইকমোড, ১ লাখ ২০ হাজার টাকা মূল্যের ১২টি বেসিন, ১ লাখ টাকা মূল্যের ১১টা সিংক, ২৭ হাজার ৫০০ টাকা মূল্যের ৫টি প্লাস্টিকের দরজা, ৮৫ হাজার টাকা মূল্যের ১০টি কাঠের দরজা, শোরুমে সাজানো ১ লাখ ২০ হাজার টাকা মূল্যের টাইলস্, ১ লাখ ৭৪ হাজার টাকা মূল্যের ৬টি গ্লাসের দরজা, ৪২ হাজার টাকা মূল্যের একটি আইপিএস দুর্বৃত্তরা নিয়ে গেছে।
এছাড়াও ব্যাংকে জমাদানের জন্যে শোরুমে রক্ষিত ৪ লাখ ৯০ হাজার টাকা লুটপাট করা হয়। অপরদিকে বড় স্টেশন মোলহেডে ১টি দোকানের ১ লাখ ৮০ হাজার টাকার আইসক্রিমসহ ৩টি ডিপ ফ্রিজ লুট করে নিয়ে যায়। একই ঘটনায় বড় স্টেশন ক্লাব রোডস্থ তার গ্যাস সিলিন্ডারের দোকানে আগুন জ্বালিয়ে দেয়া হয়।
ক্ষতিগ্রস্ত আনোয়ার হাওলাদার জানান, আমি ব্যবসায়িক কাজে ৪ আগস্ট ঢাকা গিয়েছিলাম। ৫ আগস্ট সন্ধ্যায় ফোনে আমার শোরুমের ম্যানেজার রাব্বি জানান, দেশীয় অস্ত্রশস্ত্রে সজ্জিত একদল দুর্বৃত্ত লুটেরা হঠাৎ হামলা চালিয়ে শোরুম থেকে সকল মালামাল ও ড্রয়ারে রক্ষিত ৪ লাখ ৯০ হাজার টাকা নিয়ে যায় এবং আমার প্রয়োজনীয় কাগজপত্র সব আগুন দিয়ে জ্বালিয়ে দেয়। হামলার সময় রাব্বি জীবন বাঁচাতে দৌড়ে গিয়ে পার্শ্ববর্তী স্থানে আশ্রয় নেয়। হামলা ও লুটপাটের পর স্থানীয় এলাকাবাসী ও পার্শ্ববর্তী দোকানাদাররা শোরুমের শার্টার নামিয়ে রাখে। শোরুমে রক্ষিত আমার ব্যক্তিগত ও অফিসের কাজে ব্যবহৃত ব্যাংকের এটিএম কার্ড সহ প্রায়োজনয়ি জিনিস লুটপাট করে নিয়ে যায় দুর্বৃত্তরা। ফলে আমি ব্যাপক ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছি। এছাড়াও শহরের বড় স্টেশন ক্লাব রোডে আমার দোকান অজ্ঞাত দুর্বৃত্তরা হামলা চালিয়ে ১ লাখ ৮০ হাজার টাকার আইসক্রিমসহ ৩টি ডিপ ফ্রিজ এবং গ্যাস সিলিন্ডারের দোকানের গ্যাসের সিলিন্ডার লুট করে নিয়ে যায় এবং দোকানে আগুন ধরিয়ে দেয়। এসব হামলা ও লুটপাটে আমার প্রায় ৫০ লক্ষাধিক টাকার ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে।