বালিয়ায় একই পরিবারের তিনজনকে কুপিয়ে জখম

সম্পত্তিগত বিরোধে পৃথিবী থেকে সরিয়ে দিতে চাঁদপুর সদরের বালিয়ায় দেশীয় অস্ত্র দিয়ে একই পরিবারের ৩ জনকে কুপিয়ে রক্তাক্ত জখম করা হয়েছে। আশঙ্কাজনক অবস্থায় তারা এখন হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছে।

১২ এপ্রিল শুক্রবার সন্ধ্যায় চাঁদপুর সদরের বালিয়া ইউনিয়নের ৯নং ওয়ার্ডের পূর্ব গুলিশা গ্রামের রাণীর হাট বাজার থেকে বাড়িতে ফেরার পথে প্রতিপক্ষরা অতর্কিত হামলা করে এ ঘটনা ঘটিয়েছে। এতে করে গুরুতর আহত অবস্থায় চাঁদপুরের ২৫০ শয্যাবিশিষ্ট জেনারেল হাসপাতালে বালিয়ার মৃত জয়নাল আবেদীন মিজির ছেলে সাইফুল ইসলাম (২৮) ও মনির মিজির ছেলে মাহিম হোসেন(১৬) কে ভর্তি করা হয়েছে। এর আগে ঈদের আগের দিন চাঁদ রাতে মৃত জয়নাল মিজির ছেলে নূর মোহাম্মদ(২৪)কেও একই কায়দায় গুরুতর হামলা চালিয়ে আহত করা হয়। তিনি এখনো হাসপাতালে চিকিৎসা নিচ্ছেন।

এই ঘটনায় দোষীদের শাস্তি চেয়ে চাঁদপুর সদর মডেল থানায় আইনি হস্তক্ষেপ পেতে পুলিশের দ্বারস্থ হয়েছেন ভুক্তভোগীদের পক্ষে তাদের ভাই আলমগীর হোসেন মিজি। তিনি বলেন, জমি সংক্রান্ত বিরোধের জেরে স্থানীয় সন্ত্রাসী শামসুল হক বেপারীর ছেলে মোহাম্মদ আলী বাবু, শুকু মিয়া বেপারী, মমিন বেপারী, আমিন বেপারী, মৃত হালিমের ছেলে রফিক বেপারী এবং শামসুল হক বেপারী নিজে ও মৃত ইসমাইল গাজীর ছেলে হাফেজুল্লা গাজী ওঁৎ পেতে থেকে বটি দা, রডসহ দেশীয় অস্ত্র দিয়ে আমার নিরীহ ভাইদের ওপর এই মর্মান্তিক হামলা চালিয়েছে। হামলায় মিজি বাড়ির লোকদের ভাড়া করে আনারও খবর পেয়েছি। এমনকি আমাকেসহ আমাদের ভাইদের পৃথিবী থেকে সরিয়ে দিলে প্রতিপক্ষদের পক্ষ থেকে নগদ অর্থ পুরস্কারেরও ঘোষণা করা হয়েছে। এ বিষয়ে উভয় পক্ষকে নিয়ে সমঝোতায় যেতে পদক্ষেপ গ্রহণের আশ্বাস দেন বালিয়া ইউপি সদস্য কাদির গাজী ও দীপু মিজি।

দীপু মিজি বলেন, হামলার ঘটনার খবর পেয়ে হাসপাতালে আসলাম। খবর পেলাম আমার বোন জামাইর ওপরেও হামলা হয়েছে। আমি ওই এলাকার জনপ্রতিনিধি কাদির গাজীকে বিষয়টি সমাধানের জন্যে জানিয়েছি।

এ বিষয়ে ইউপি মেম্বার কাদির মিজি বলেন, কোপাকুপির যে ঘটনা ঘটেছে তার সুষ্ঠু সমাধানে ভুক্তভোগীদেরকে আমি চিকিৎসা নেয়ার পরামর্শ দিয়েছি। এরপর বসে কী করা যায় সবাইকে নিয়ে সিদ্ধান্ত নিবো।

এ বিষয়ে চাঁদপুর সদর মডেল থানার ওসি শেখ মোঃ মুহসীন আলম বলেন, লিখিত অভিযোগ পেলে আইনগত ব্যবস্থা নেয়া হবে।