প্রকাশ : ১৮ আগস্ট ২০২১, ০০:০০
ব্যস্ত সময় পার করছেন কচুয়ার ছাতা কারিগররা। আষাঢ় ও শ্রাবণ এই দুই মাস বর্ষাকাল। বর্ষা মৌসুম শুরু হতেই ব্যস্ততা বেড়ে গেছে কচুয়া উপজেলার বিভিন্ন হাট-বাজারের ছাতা কারিগরদের। সারা বছর ঘরে তুলে রাখা ছাতা মেরামত করতে সাধারণত বর্ষা মৌসুমে কারিগরদের কাছে নিয়ে আসেন ছাতা ব্যবহারকারীরা। বহু আগে কাঠের হাতলের ছাতা থাকলেও বর্তমানে ছাতার হাতল ও কাপড়ে এসেছে বৈচিত্র্য।
উপজেলার বিভিন্ন বাজার ঘুরে ছাতা কারিগরদের এমন ব্যস্ততা চোখে পড়ে। উপজেলার কচুয়া, সাচার, পালাখাল, রহিমানগর বাজার ঘুরে দেখা গেছে অন্য সময়ের তুলনায় ছাতা কারিগরদের ব্যস্ততা চোখে পড়ার মতো। তবে ছাতা মেরামতের সামগ্রীর দাম বেড়ে যাওয়ায় একটু বেশি টাকা নিচ্ছে বলে অভিযোগ ছাতা ব্যবহারকারীদের।
কচুয়া বাজারের ছাতা কারিগর মোঃ মিজানুর রহমান জানান, টানা বৃষ্টিতে উপজেলার বিভিন্ন স্থান থেকে পুরানো ও নষ্ট ছাতা মেরামত করতে তাদের কাছে ছুটে আসে ছাতা ব্যবহারকারীরা। তিনি দৈনিক ২০-২৫টি ছাতা মেরামত করে থাকেন। এতে তার দৈনিক আয় হয় ১ হাজার টাকা। তবে বছরের অন্য সময় এতো ব্যস্ততা থাকে না। পৈত্রিক সূত্রে তিনি এ পেশায় জড়িয়েছেন বলে জানান। তিনি আরো জানান, আমি ৩০ বছর ধরে ছাতা মেরামতের পাশাপাশি মাছ শিকার করার টেঁটা ও তালার চাবি তৈরি করে থাকি।
কচুয়া বাজারে ছাতা মেরামত করতে আসা মোঃ রাসেল জানান, তার ঘরে দুটি ছাতা নষ্ট হয়ে গেছে। তিনি ছাতাগুলো মেরামত করতে কচুয়া বাজারে নিয়ে আসেন। একটি ছাতা মেরামত করতে ৪০ টাকা থেকে ৭০ টাকা নিচ্ছেন ছাতার কারিগর।
ছাতা কারিগর আঃ রহিম জানান, তিনি উপজেলার বিভিন্ন ইউনিয়নে বাড়ি বাড়ি গিয়ে ছাতা মেরামত করে থাকেন। এটি তার পৈত্রিক পেশা। তিনি দৈনিক ৩০-৩৫টি ছাতা মেরামত করে থাকেন। তা দিয়ে বৃষ্টি মৌসুমে ভালোই চলে তার সংসার। অন্য সময়ে অলস বসে থাকতে হয় তাকে।