প্রকাশ : ১৩ জুলাই ২০২৩, ০০:০০
বর্তমান পৃথিবীতে বিজ্ঞানের যে ক’টি শাখা দ্রুত উন্নতি করেছে চিকিৎসাবিজ্ঞান তার মধ্যে অন্যতম। তথ্যপ্রযুক্তির কল্যাণে বিশ্বের যে কোনো স্থানে বসেই এখন চিকিৎসাসেবা গ্রহণ করা সম্ভব। বর্তমান টেকনোলজি বা প্রযুক্তি ব্যবসা, শিক্ষা স্তর বা বৈজ্ঞানিক আবিষ্কারের মান উন্নত করার পাশাপাশি চিকিৎসা ক্ষেত্রেও এর অবদান অনস্বীকার্য। চিকিৎসা প্রযুক্তি বিস্তীর্ণ ক্ষেত্র। যেখানে বায়োটেকনোলজি, ফার্মাসিউটিক্যালস, তথ্যপ্রযুক্তি, উন্নয়ন চিকিৎসার সাজ-সরঞ্জামগুলো সারা বিশ্বের মানুষের স্বাস্থ্যের উন্নতিতে গুরুত্বপূর্ণ অবদান রেখেছে, উন্নত প্রযুক্তি স্বাস্থ্যসেবায় বিশ্বব্যাপী অগণিত মানুষের জীবন বাঁচিয়ে তুলেছে এবং জীবনের গুণগত মান উন্নত করে তুলেছে।
চিকিৎসার প্রয়োজনে নতুন নতুন যন্ত্রপাতিও তৈরি হচ্ছে। দেশের কোটি কোটি শিশুকে টিকা দেয়ার কর্মসূচি সম্ভব হয় তথ্যপ্রযুক্তির ব্যবহারে নিখুঁত পরিকল্পনা আর কার্যকরের মাধ্যমে। তথ্য-প্রযুক্তির কারণে অন্য মাত্রার গবেষণা সম্ভব হয়েছে। পূর্বে শুধু রোগের উপসর্গ কমানো হতো, এখন সত্যিকারভাবে রোগের কারণটিই খুঁজে বের করে সেটিকে অপসারণ করা হয়।
শুধু তাই নয়, এখন যে রকম সব মানুষ একই ওষুধ খায় ভবিষ্যতে প্রতিটি মানুষের জন্যে আলাদা করে তার শরীরের উপযোগী ওষুধ তৈরি হবে। স্বাস্থ্যসেবায় প্রযুক্তি শুধুমাত্র রোগী বা তাদের পরিবারের অভিজ্ঞতা পরিবর্তন করেনি। উপরন্তু তার পাশাপাশি চিকিৎসার প্রক্রিয়া এবং স্বাস্থ্যসেবায় নিয়োজিত চিকিৎসকদের উপর ব্যাপক প্রভাব ফেলেছে।
আশির দশকের আগেও প্যাথলজিক্যাল পরীক্ষা-নিরীক্ষা বলতে মনে হতো, একজন ডাক্তার, সামনে একটি টেবিল ও মাইক্রোস্কোপ নিয়ে বসে আছেন। আর পরীক্ষা বলতে প্র¯্রাব, পায়খানা, রক্তের কিছু পরীক্ষা এবং সামান্য ক’টি এক্স-রে। অথচ কার না জানা পাতলা পায়খানা, বমি এবং অজ্ঞান হলে সিরাম ইলেক্ট্রোলাইট পরীক্ষা করা অতীব জরুরি।
১৯৮০ সালের পূর্বেও রক্তের ইলেক্ট্রোলাইটের মতো অত্যন্ত জরুরি পরীক্ষা করাও সম্ভব হতো না, বর্তমানে যা অতি সহজেই করা সম্ভব। রক্তের সুগার টেস্ট ১ মিনিটেই করা সম্ভব। প্রাইভেট ল্যাবরেটরি ছিলো না বললেই চলে। কিন্তু বর্তমানে অনেক অত্যাধুনিক সুযোগ-সুবিধাসম্পন্ন প্রাইভেট ল্যাবরেটরির ছড়াছড়ি, যা দেখলে অবাক না হয়ে উপায় নেই। অথচ ২০-২৫ বছর পূর্বেও আমরা কোথায় ছিলাম! এখন যে কোনো রকম রক্তের বায়োকেমিক্যাল পরীক্ষা, আল্ট্রাসনোগ্রাফি, এমআরআই, সিটি স্ক্যান ইত্যাদি অনেক সহজেই করা সম্ভব।
এমআরআইয়ের আবিষ্কার অবশ্যই এক যুগান্তকারী সংযোজন, যার মাধ্যমে শরীরের বিভিন্ন অঙ্গ-প্রত্যঙ্গের, বিশেষ করে ব্রেন ও হাড়ের অনেক জটিল রোগ অতি সহজেই নিরূপণ করা সম্ভব হচ্ছে। বিজ্ঞানের কল্যাণে আরো অনেক অজানা জটিল রোগ নির্ণয়ে অভাবনীয় অগ্রগতি সাধিত হয়েছে। ল্যাবরেটরি ও প্যাথলজির পরীক্ষা-নিরীক্ষা আজ অণু-পরমাণু পর্যায়ে রোগের কারণ ও ধরণ নির্ণয় করতে পারছে। জেনেটিক এনালাইসিস, ক্রমোজোমাল এনালাইসিস, ক্যারিওটাইপিং, মলিকুলার বায়োকেমিস্ট্রি ও ইমিউনলজি রোগের ধরণ, ধারণ, কারণ ব্যাখ্যা করতে পারছে একেবারে সঠিক পদ্ধতিতে। রেডিওলজির অভাবনীয় উন্নতি সাধিত হয়েছে, ইমাজিংয়ের নিত্যনতুন পদ্ধতি আবিষ্কার দেহের ভেতরকার সমস্ত চিত্রই তুলে আনতে পারছে নির্ভুলভাবে।
আমাদের শরীর বড়ই জটিল এবং দিনদিন আমাদের শরীরে বাসা বেঁধে চলেছে নানা জানা-অজানা, জটিল রোগ-ব্যাধি। তাই, মানুষের দ্রুত চিকিৎসা এবং আরোগ্যলাভের জন্যে প্রয়োজন ছিলো উন্নত চিকিৎসাবিজ্ঞানের। আর সেই প্রয়োজন থেকেই চিকিৎসাবিজ্ঞানের উন্নতিসাধনে যুক্ত করা হয় তথ্য-প্রযুক্তি বিজ্ঞানকে। বর্তমান চিকিৎসা ক্ষেত্রে তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তির উল্লেখযোগ্য ব্যবহারগুলো হচ্ছে :
ইএইচআর বা ইলেক্ট্রনিক হেলথ রেকর্ডস্ : ইএইচআর বা ইলেক্ট্রনিক হেলথ রেকর্ডস্-এর ফলে যারা ক্লিনিকাল গবেষক রয়েছেন, তারা এসব ডাটাবেজ থেকে তথ্য গ্রহণ করে কোনো রোগ বা মহামারির চিকিৎসা বা টিকার খোঁজ করেন। সম্প্রতি সারা বিশ্বের করোনা আক্রান্ত মানুষের পরিসংখ্যান গণনার এবং উপসর্গগুলো লক্ষ্য করেই এই মহামারির টিকা আবিষ্কার করলেন সারা পৃথিবীর বিজ্ঞানীগণ। এই ডাটাবেজ গবেষণা করে বিজ্ঞানীরা অনেক কম সময়ে কোনো রোগের কারণ এবং তার সম্ভাব্য চিকিৎসা বের করে ফেলতে পারছেন। এমনকি, এই সাধারণ ডাটাবেজ সারা পৃথিবীর মানুষ নানা ওয়েবসাইটের মাধ্যমে দেখতে পেয়েছেন। যেমন : গুগল খুললেই আপনি কোভিড-সংক্রান্ত নিয়মাবলি এবং কোভিড আক্রান্তের সংখ্যা নিয়মিত দেখতে পান।
থ্রিডি প্রিন্টিং টেকনোলজি বা ত্রিমাত্রিক প্রিন্টিং প্রযুক্তি : আধুনিক চিকিৎসা বিজ্ঞান প্রযুক্তি ব্যবহার করে কৃত্রিমভাবে মানুষের শরীরের হাড় এবং কিছু কিছু অঙ্গ-প্রত্যঙ্গ তৈরি করতে সক্ষম হচ্ছে ত্রিমাত্রিক প্রিন্টিং প্রযুক্তিতে। এই প্রযুক্তির মাধ্যমে মানুষের খারাপ হয়ে যাওয়া অঙ্গ বা হাড়ের জায়গায় ওই কৃত্রিমভাবে তৈরি অঙ্গ প্রতিস্থাপনের ব্যবস্থা চলছে। এই প্রযুক্তির মাধ্যমে অস্ত্রোপচারকারীরা মানুষের শরীরের বিভিন্ন অঙ্গ-প্রত্যঙ্গ সম্পর্কে গভীর ধারণা লাভে সক্ষম হচ্ছেন। যেহেতু, এটি একটি ত্রিমাত্রিক মডেল তৈরি করতে সক্ষম, তাই ডাক্তাররা নানাপ্রকার অনুসন্ধানের মাধ্যমে চিকিৎসার ক্ষেত্রে নতুন নতুন সমাধান বের করতে পারছেন।
রোবোটিক অস্ত্রোপচার : এই প্রযুক্তি অনুসারে, মানুষের ওপর অস্ত্রোপচারের জন্যে রোবটের সাহায্য নেয়া হবে। এই অত্যাধুনিক প্রযুক্তির মাধ্যমে, অপারেশনের সময় মানুষের কষ্ট কমানোর চেষ্টা করা হচ্ছে। এছাড়া কোনো জটিল অপারেশনের সময় ডাক্তাররা যাতে মনোযোগ দিয়ে সেই জটিলতা কাটিয়ে সফল অস্ত্রোপচার করতে পারেন, তার জন্যেই এই রোবোটিক সার্জারিকে আরও প্রাধান্য দেয়া হচ্ছে। এছাড়া যে কোনো ধরনের মেশিনই মানুষের চেয়ে বেশি নির্ভুল তথ্য দিতে সক্ষম। এই প্রযুক্তির মূল লক্ষ্যই হলো অপারেশনের সময় সার্জেনদের সম্পূর্ণরূপে সহায়তা করা।
কৃত্রিম অঙ্গ তৈরি : অনেকটা ত্রিমাত্রিক প্রিন্টিং প্রযুক্তির অনুকরণে চিকিৎসা প্রযুক্তি বিজ্ঞান একটি নতুন ধরনের প্রিন্টিংয়ের ধারণা সৃষ্টি করেছে। তা হলো বায়ো-প্রিন্টিং। আগুনে পুড়ে যাওয়া রোগীর ক্ষেত্রে নতুন মানুষের ত্বক তৈরি করতে চিকিৎসকরা সফল হয়েছেন। এই সফলতার ফলেই তারা একে একে তৈরি করতে পারছেন কৃত্রিম অগ্ন্যাশয়, ডিম্বাশয় ও রক্তনালী। এই অঙ্গগুলো মানুষের শরীরের নিজস্ব বা বিকল হয়ে আসা যন্ত্রগুলোকে আস্তে আস্তে সরিয়ে দিয়ে মানুষকে দান করবে একটি রোগমুক্ত শরীর। যদি কৃত্রিম এই অঙ্গগুলো শরীরের প্রতিরোধ ব্যবস্থা দ্বারা প্রত্যাখ্যাত না হয়, তবে অনেক রোগীর প্রাণ বাঁচাতে সক্ষম হবে এই বায়ো-প্রিন্টিং টেকনোলজি।
ভার্চুয়াল রিয়ালিটি : কোনো সাধারণ মানুষের ওপর অস্ত্রোপচার না করেই, এই ভার্চুয়াল রিয়ালিটির সাহায্যে চিকিৎসা বিজ্ঞানের ছাত্র-ছাত্রীরা অপারেশন করা শিখতে পারছেন। এছাড়া এই ভার্চুয়াল বাস্তবতা ব্যবহার করে রোগ নির্ণয় প্রক্রিয়া, চিকিৎসা পরিকল্পনা করতে ছাত্র-ছাত্রীদের অনেকটাই সুবিধা হয়। তারা বাস্তব-নির্ভর শিক্ষালাভ করতে পারেন এই প্রযুক্তি ব্যবহার করে। তথ্যপ্রযুক্তির এক অন্যতম শাখা হিসাবে তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তিও চিকিৎসা বিজ্ঞানের অগ্রগতিতে বেশ গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করছে।
জিন-সংশোধনী প্রযুক্তি : বিজ্ঞানের সব থেকে বড় অবদান এই জিন-সংশোধনী চিকিৎসা। এতে মানুষের ডিএনএতে যেসব সূত্র এইচআইভি, ক্যান্সার বা অন্যান্য ক্ষতিকারক রোগ বহন করছে, সেগুলোকে কেটে বাদ দিয়ে মানুষকে এই রোগ থেকে মুক্ত করা সম্ভব হচ্ছে। এই জিন সংশোধনী প্রক্রিয়া ব্যবহার করে পরবর্তী প্রজন্মগুলোকে রোগ থেকে মুক্ত করার এক ক্ষীণ সম্ভাবনা দেখা যাচ্ছে।
ব্যক্তির চাহিদানুসারে ওষুধের ব্যবস্থা : মেডিকেল প্রযুক্তির ক্রমাগত উন্নতি প্রতিটি রোগীর ওষুধের চাহিদা ও মাত্রাকে সঠিকভাবে নিয়ন্ত্রণ করতে সক্ষম হচ্ছে। অর্থাৎ প্রতিটি মানুষের জিনের পর্যালোচনা করে কোনো মানুষের রোগ উপশমে কী ধরনের ওষুধ বা চিকিৎসার প্রয়োজন তা সমস্তটাই জেনে নেয়া সম্ভব হচ্ছে। ফলে ক্যান্সারের মতো দুরারোগ্য রোগকেও মানুষের শরীর থেকে নষ্ট করা যাচ্ছে শুধু এই জিনগত ত্রুটিগুলো ওষুধের মাধ্যমে ধ্বংস করে দিয়ে। এছাড়া রিউমাটয়েড আর্থ্রাইটিস রোগের ক্ষেত্রেও ওষুধের মাধ্যমে দুর্বল জিনগুলোকে ধ্বংস করে জয়েন্টের হাড়ের ক্ষতির সম্ভাবনাকে আটকানো হয়।
ওয়্যারলেস ব্রেন সেন্সরস : ওয়্যারলেস ব্রেন সেন্সরগুলো মূলত বিয়োজ্য প্লাস্টিকের তৈরি। এই সেন্সরগুলো নিজে থেকেই বিয়োজিত হয়ে শরীরের সাথে মিশে যায় এবং যার ফলে আলাদা করে অপারেশনের দরকার হয় না। ডাক্তাররা এই সেন্সরগুলো ব্যবহার করেন রোগীদের মাথার মধ্যে থাকা তাপমাত্রা এবং চাপ মাপার জন্যে।
টেলি-কন্সালটেশন : হাজার হাজার মাইল দূর থেকে টেলিযোগাযোগের মাধ্যমে রোগীদের সঙ্গে ডাক্তারদের সংযোগ স্থাপন করে তোলে প্রযুক্তি। চিকিৎসকের সঙ্গে রোগীদের ভিডিও কনফারেন্সে কথা বলে সমস্যা সমাধান করার ফলে সময় অপচয় কম হয় বা এক জায়গা থেকে অন্য জায়গায় গিয়ে চিকিৎসা করানোর জন্যে টাকা খরচও কম হয়। স্বাস্থ্যসেবার প্রযুক্তির মাধ্যমে বিশ্বের যে কোনো স্থানে বিশেষজ্ঞ বা ডাক্তারকে দ্রুত স্বাস্থ্য তথ্য পাঠানো সম্ভব।
মোবাইল অ্যাপস্ : চিকিৎসার ক্ষেত্রে একাধিক মোবাইল অ্যাপস্ আছে, যা রোগীদের জন্যে চিকিৎসা সেবা প্রদান করে। এই অ্যাপস্ দ্বারা রোগীর স্বাস্থ্য তথ্য মনিটর করা এবং সহজেই ডাক্তারের সাথে যোগাযোগ করা যায়।
এইচআআর এবং মেশিন লার্নিং : এইচআআর এবং মেশিন লার্নিং তথ্য প্রযুক্তিটি চিকিৎসা ক্ষেত্রে ব্যবহৃত হয়, যেখানে এইচআআর বা কম্পিউটার ভিশন সিস্টেমের মাধ্যমে রোগীদের ছবি, স্ক্যান রিপোর্ট এবং অন্যান্য ডাটা এনালাইজ করে রোগীদের চিকিৎসা প্রদান করা হয়।
ধোঁয়াশাময়, কুসংস্কারযুক্ত সমাজ পেরিয়ে চিকিৎসা বিজ্ঞান মানুষের জীবনে হয়ে উঠেছে এক গুরুত্বপূর্ণ এবং অবিচ্ছেদ্য অংশ। আজ থেকে ক’বছর আগেও মেডিক্যাল ফিল্ডের এই ব্যাপক প্রসার ও উন্নতি ছিলো কল্পনাতীত। কিন্তু প্রযুক্তিগত উন্নতির ফলে, নানা শিল্পজগৎ, কর্মজগতের পাশাপাশি চিকিৎসার ক্ষেত্রেও এসেছে আমূল পরিবর্তন।
মেডিকেল সায়েন্স থেকে শুরু করে আধুনিক চিকিৎসা পদ্ধতিতে প্রযুক্তির ব্যবহারে দ্রুতহারে বৃদ্ধি পেয়েছে চিকিৎসার গুণগত মান। তাই মানুষের দ্রুত চিকিৎসা এবং আরোগ্যলাভের জন্যে প্রয়োজন ছিলো উন্নত চিকিৎসা বিজ্ঞানের। আর সেই প্রয়োজন থেকেই চিকিৎসা বিজ্ঞানের উন্নতিসাধনে যুক্ত করা হয় তথ্য প্রযুক্তি বিজ্ঞানকে।
ডিজিটাল বাংলাদেশে প্রায় সব ধরনের চিকিৎসাক্ষেত্রে তথ্য-প্রযুক্তির ব্যবহার শুরু হয়েছে। আধুনিক বিজ্ঞান চিকিৎসাক্ষেত্রকে আরও সমৃদ্ধির দিকে নিয়ে যেতে প্রতিনিয়তই প্রযুক্তিকে ব্যাপক কাজে লাগাতে হবে। মনে রাখতে হবে, অত্যাধুনিক চিকিৎসাপ্রযুক্তির বিষয়গুলো যেনো মানুষ সহজভাবে নিতে পারে এবং উপকৃত হতে পারে। আমাদের সবার সেদিকে লক্ষ্য রাখা প্রয়োজন। তাহলেই আমরা এগিয়ে যেতে পারবো সঠিক লক্ষ্যপানে।
ডাঃ সিদ্দিকুর রহমান প্রামানিক : বিইউএমএস, এমপিএইচ (নিউট্রিশন), (এইচইউবি), ডিইউএমএস, (ঢাকা); প্রভাষক, চাঁদপুর ইউনানী তিব্বীয়া কলেজ।