প্রকাশ : ১৯ এপ্রিল ২০২৩, ০০:০০
চাঁদপুর সদর উপজেলার হানারচর ও চান্দ্রা ইউনিয়নের সীমান্তবর্তী এলাকায় মেঘনা নদীতে রাতের বেলা এবং ভোরে প্রকাশ্যে ধরা হচ্ছে চিংড়ি মাছের রেণু পোনা। জাটকা রক্ষার অভিযানে ব্যস্ত থাকায় প্রশাসনের চোখ ফাঁকি দিয়ে চিংড়ির রেণু ধরে খুলনা ও সাতক্ষীরা জেলায় পাচার করা হচ্ছে। ১৬ এপ্রিল রোববার বেলা ১১টার দিকে ওই এলাকার মেঘনা নদীর উপকূলীয় বাখরপুর গুচ্ছ গ্রামে গিয়ে দেখা গেছে, সাতক্ষীরা জেলা থেকে এসে চিংড়ির রেণু ধরার কাজে নিয়োজিত প্রায় অর্ধশতাধিক জেলে। তারা দুই মাসের জন্যে এই গুচ্ছগ্রামে এসে সরকারি ঘরে আশ্রয় নিয়েছে। আবার কয়েকটি গ্রুপ খোলা আকাশের নিচে তাঁবুর মতো করে থাকছে।
চিংড়ির রেণু পোনা ধরে এনে আশ্রয় কেন্দ্রের পুকুরে জমা করে রাখছে ড্রাম ও জালের মধ্যে। তাদের এই কাজে সহযোগিতা করছে আশ্রয়ণ প্রকল্পের বাসিন্দা তাজুল ইসলাম ও স্থানীয় বাসিন্দা শাহ আলমসহ বেশ ক’জন। অভিযোগ রয়েছে, শাহ আলম ও তাজুল ইসলামসহ ক’জন টাকার বিনিময়ে তাদেরকে এখানে আশ্রয় দিয়েছেন।
এই বিষয়ে তাজুল ইসলাম ও শাহ আলম জানান, আমরা আশ্রয় না দিলেও তারা কোনো না কোনোভাবে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সাথে মিল করে চিংড়ির রেণু পোনা ধরবে। আমরা তাদের কাছ থেকে কোনো আর্থিক সুবিধা নেই না। যারা বলছে এটা মিথ্যা কথা।
চাঁদপুর সদর উপজেলার জ্যেষ্ঠ মৎস্য কর্মকর্তা মোঃ তানজিমুল ইসলাম বলেন, নিষেধাজ্ঞার সময় যে কোনো মাছ ধরাই সম্পূর্ণ নিষেধ। যারা চিংড়ির রেণুপোনা ধরছে তাদের বিরুদ্ধে খুব শিগগিরই ব্যবস্থা নেয়া হবে।
এই বিষয়ে কথা বলার জন্য চাঁদপুর নৌ-থানার ওসি মোঃ কামরুজ্জামানকে একাধিকবার কল করা হয়। তিনি কল রিসিভ না করায় বক্তব্য নেয়া সম্ভব হয়নি।