সোমবার, ২৫ নভেম্বর, ২০২৪  |   ২৭ °সে
আজকের পত্রিকা জাতীয়আন্তর্জাতিকরাজনীতিখেলাধুলাবিনোদনঅর্থনীতিশিক্ষাস্বাস্থ্যসারাদেশ ফিচার সম্পাদকীয়
ব্রেকিং নিউজ
  •   ফরিদগঞ্জ পাকহানাদার মুক্ত দিবস পালন
  •   যৌথ অভিযানে কচুয়া থানার লুণ্ঠিত পিস্তলের ৮ রাউন্ড গুলি উদ্ধার
  •   দৈনিক ইনকিলাবের প্রশাসনিক কর্মকর্তা শহীদুল্লাহ্ মিজির দাফন সম্পন্ন
  •   শনিবার চাঁদপুরে ৪ শতাধিক নারী-পুরুষের অংশগ্রহণে ম্যারাথন প্রতিযোগিতা

প্রকাশ : ২৫ নভেম্বর ২০২৪, ১২:২১

খণ্ডে খণ্ডে অখণ্ড জীবন

পীযূষ কান্তি বড়ুয়া
খণ্ডে খণ্ডে অখণ্ড জীবন

(একুশতম খণ্ড)

দুহাজার চৌদ্দ সালে চাঁদপুরে তৎকালীন জেলা প্রশাসক ইসমাইল সাহেব এসে চাঁদপুর সাহিত্য একাডেমিতে গতি সঞ্চার করার চেষ্টা করেন। তাঁর আগে পূর্ববর্তী জেলা প্রশাসক প্রিয়তোষ সাহা সভাপতি হিসেবে দুহাজার বারো সালে নূতন সদস্য সংগ্রহ অভিযান শুরু করেন। আজীবন সদস্য হিসেবে আমিও অন্তর্ভুক্ত হলাম আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে। পাঁচ হাজার টাকা এককালীন চাঁদা পরিশোধ করার পরে তৎকালীন সদর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ও সাহিত্য একাডেমী, চাঁদপুরের মহাপরিচালক শাহীনূর শাহীন খানের আমলে আমাকে আবেদনপত্র যাচাই-বাছাই শেষে আজীবন সদস্য হিসেবে অন্তর্ভুক্ত করা হলো। টেলিফোনে কাজী শাহাদাত ভাই আজীবন সদস্য হওয়ার আবেদনপত্র সংগ্রহের সংবাদ জানালে আমি তাতে সম্মত হই। আমার সদস্য পদ গৃহীত হলে সাহিত্য একাডেমী, চাঁদপুরের তৎকালীন নির্বাহী সদস্য শহীদ পাটোয়ারী ভাই আমাকে কয়েক মাস পরে তা টেলিফোনে অবহিত করেন। দুহাজার তেরো সালের জানুয়ারির প্রথম দিকে একটা চিঠি পাই, যাতে সাহিত্য একাডেমীর নূতন কমিটি নির্বাচন ও বার্ষিক সাধারণ সভায় উপস্থিত থাকার আহ্বান ছিলো। দুর্ভাগ্যবশত ঐ তারিখে আমার মেজবোনের বড় ছেলে আঁকনের বিয়ে উৎসবে যোগদানের দায়িত্ব ছিলো বিধায় আমি নির্ধারিত দিনে উপস্থিত হতে পারি নি। পরে জানতে পারলাম, জেলা শিল্পকলা একাডেমি মিলনায়তনে বার্ষিক সাধারণ সভা ও নূতন কমিটির নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়। এতে মহাপরিচালক পদে অধ্যক্ষ মনোহর আলী, প্রকৌশলী দেলোয়ার হোসেন ও সাংবাদিক কাজী শাহাদাত প্রতিদ্বন্দ্বিতায় অবতীর্ণ হন। নির্বাচনে কাজী শাহাদাত সংখ্যাগরিষ্ঠের ভোট পেয়ে মহাপরিচালক পদে নির্বাচিত হন। পরিচালক পদে অজয় ভৌমিক, প্রকৌশলী দেলোয়ার হোসেন, সাংবাদিক ও শিক্ষক ইকবাল হোসেন পাটোয়ারী নির্বাচিত হন। অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (সার্বিক) পদাধিকার বলে এতে সহ-সভাপতি পদে অন্তর্ভুক্ত হন। যাঁরা দায়িত্বপ্রাপ্ত হন তাঁরা সবাই যোগ্য ছিলেন নিঃসন্দেহে। নির্বাহী সদস্য পদে এগারোজন নির্ধারিত হন। পরে জেলা প্রশাসক ইসমাইল হোসেন মহোদয় তাঁর কোটায় নাট্যকার এস এম জয়নাল আবেদীন ও আমাকে নির্বাহী সদস্য পদে মনোনীত করে নির্বাহী সদস্যের তালিকা সম্পন্ন করেন। অন্য নির্বাহী সদস্যরা ছিলেন যথাক্রমে অধ্যাপক মনোহর আলী, অধ্যক্ষ জালাল চৌধুরী, মোখলেসুর রহমান মুকুল, পীযূষ কান্তি রায় চৌধুরী, ইফতেখার মাসুম, শহীদ পাটোয়ারী, সামীম আহমেদ খান, ম. নূরে আলম পাটোয়ারী, মির্জা জাকির প্রমুখ। চাঁদপুর সদর উপজেলা পরিষদের নির্বাহী কর্মকর্তা ও সহকারী কমিশনার শিক্ষা ও আইসিটি এ তালিকায় পদাধিকার বলে অন্তর্ভুক্ত ছিলেন। আমি কখনো পদ-পদবীতে অভ্যস্ত নই। তবে অপ্রত্যাশিতভাবে নির্বাহী সদস্যরূপে মনোনীত হওয়ায় নিজেকে ভাগ্যবান মনে হলো। আমি সরাসরি জেলা প্রশাসক মহোদয়কে কখনো ধন্যবাদ জানাইনি। তবে এ লেখার মাধ্যমে তাঁর কাছে কৃতজ্ঞতা জানাই। তিনি সেদিন আস্থা রেখেছিলেন বলেই তাঁর মান রাখার চেষ্টা করেছিলাম। আসলে আমরা যারা কিছু না কিছু ভাবি এবং সেই ভাবনাগুলো কলমের আগায় এনে পূর্ণতা দিতে পছন্দ করি, তাদের কাছে দায়িত্ব একটা বোঝা। এতে মুক্ত ভাবনায় ছেদ পড়ে। সৃজনশীলতায় চাপ তৈরি হয়। তবে সাহিত্য সংশ্লিষ্ট বিধায় এ দায়িত্ব আমাকে চাপে না রেখে আরও সৃজনশীল করে তুলেছিলো। সাহিত্য একাডেমীর নূতন কমিটি নির্ধারণের পরে আরও একটা সৌভাগ্য সূচিত হয়। এ সময় জেলা শিল্পকলা একাডেমী, চাঁদপুরে জেলা কালচারাল অফিসার হিসেবে যোগ দেন সৌম্য সালেক। এটা তার কবি নাম। মূল নাম আবু ছালেহ্ মোহাম্মদ আব্দুল্লাহ্। তিনি একজন আবৃত্তি শিল্পী ও কবি। তিনি যোগ দিয়ে ফরিদসহ একদিন সন্ধ্যায় আমার চেম্বারে দেখা করতে এসেছিলেন। তাকে প্রথমদিনই বলেছিলাম, আপনার দায়িত্ব পালনে একটু কষ্ট হবে। চিন্তার স্বাধীনতা কম পাবেন। অনেকের ব্যক্তিগত চাহিদার সাথে যুঝতে হবে আপনাকে। শুভ কামনা থাকলো আপনার জন্যে। তিনি হয়তো আমার ওপর অসন্তুষ্ট হয়েছিলেন। তবে মুচকি হেসেছিলেন প্রত্যুত্তরে। পরে অবশ্য দায়িত্ব পালনে তাকে বেশ গলদঘর্ম হতে হয়েছিলো। এ কে অনুষ্ঠান দিলে ও রাগ হয়, ও কে অনুষ্ঠান দিলে এ রাগ হয়, এমনই। একটু হেসে কারও সাথে কথা বললে অন্যজন তাতে গন্ধ খুঁজে পায়, আবার অন্যজনের সাথে একটু আলাপ হলে এ মনে করে তার পকেটে ঢুকে গেলো। তবে তিনি বদলি হয়ে যাওয়ার পরে অনেকেই তার অনুপস্থিতি ভালোভাবেই টের পেয়েছে এবং নামটা সমীহ ও শ্রদ্ধার সাথেই নেয় এখনও। তিনি আসায় সাহিত্যের যে সৌন্দর্য পাখা মেলেছিলো তা হলো প্রথমত নব পর্যায়ের সাহিত্য আড্ডার সূচনা এবং দ্বিতীয়ত চাঁদপুরে নূতন করে মানসম্পন্ন ছোট কাগজের চর্চা শুরু হওয়া। নব পর্যায়ের সাহিত্য আড্ডায় তিনিই দায়িত্ব নিয়ে সঞ্চালকের ভূমিকা পালন করেন এবং প্রতিমাসের শেষ বুধবারে সাহিত্য আড্ডা শুরু করেন। সাহিত্য আড্ডার সংবাদ পত্রিকান্তরে প্রকাশিত হতো। সবাই যার যার সাহিত্য পাঠ করতো এবং তার ওপর আলোচনা হতো। সাহিত্য আড্ডার এক মজার চরিত্র ছিলো বাঘ সিদ্দিক। তার লেখায় একবার বাঘ নিয়ে হুলুস্থুল লেগে গিয়েছিলো। সেই থেকে তিনি বাঘ সিদ্দিক। নব পর্যায়ের সাহিত্য আড্ডা একজন জাত কবিকে তুলে এনেছিলো পাদ প্রদীপের আলোয়। তিনি হলেন কবি ইকবাল পারভেজ। নদীপাঠ তার প্রথম কাব্যগ্রন্থ, যা সাহিত্য একাডেমীর পাণ্ডুলিপি পুরস্কারপ্রাপ্ত।

সাহিত্য আড্ডার কবি সুমন কুমার দত্ত পরিচিত ছিলেন তার ছোট ছোট শক্তিশালী কবিতার জন্যে। কবিতায় সুমনের বলবার শক্তি বলিষ্ঠ। তিনি যা বলতে চান তা মিনমিন করে বলেন না, বলিষ্ঠ কণ্ঠেই বলেন। প্রবীণ কবি তছলিম হোসেন হাওলাদার তার 'পোকা' কবিতার জন্যে মনে থাকবেন। 'অনপেক্ষ' নামে একটি ছোট কাগজও তিনি বের করেছিলেন। সহজ সরল দুজন সাহিত্য আড্ডারু ছিলেন পীযূষ কান্তি রায় চৌধুরী এবং রণজিৎ রায় চৌধুরী। বেশ কয়েকটা আড্ডায় চির তরুণ জীবন কানাই দাদা আসতেন। তাঁর সঙ্গ নবীনেরা উপভোগ করতো। গীতিকার ও কবি মোখলেসুর রহমান মুকুল ভাইও সাহিত্য আড্ডার এক দীপশিখা ছিলেন। তিনি তাঁর মেরুদণ্ডের ব্যথার জন্যে বেশি আসতে পারতেন না। সাহিত্য আড্ডায় আলোচনায় অংশ নিতেন দেলোয়ার ভাই। তিনি ভালো লেখার পাশাপাশি বলতেনও ভালো। অধ্যক্ষ মনোহর আলী আড্ডায় থাকলে আড্ডাটা শ্রেণিকক্ষ হয়ে যেতো তাঁর প্রতি সকলের শ্রদ্ধায়। সৌম্য সালেক যেদিন না থাকতেন সেদিন আমার ওপর দায়িত্ব অর্পিত হতো সঞ্চালনার। করোনাজনিত কারণে স্থগিত হওয়ার পূর্বে চুয়াত্তরটার মতো সাহিত্য আড্ডা হয়। প্রথমটা শুরু হয় ঊনত্রিশে জানুয়ারি দুহাজার চৌদ্দ তারিখে। সর্বশেষ সাহিত্য আড্ডা অনুষ্ঠিত হয় দুহাজার কুড়ি সালের ছাব্বিশে ফেব্রুয়ারি।

পঞ্চাশতম সাহিত্য আড্ডা উদযাপনে বিশেষ ক্রোড়পত্র প্রকাশিত হয়। এটি ছিলো চার মার্চ দুহাজার আঠারো। সাহিত্য আড্ডায় পঠিত লেখাগুলো মাসুদ সংরক্ষণ করতো। মাসুদ হলো সাহিত্য একাডেমীর অফিস সহকারী। এই লেখাগুলো দিয়েই প্রকাশিত হতো সাহিত্য একাডেমীর প্রকাশনা 'উছল'। 'উছল' নামটা সৌম্য সালেকের দেওয়া। খুব সুন্দর নাম। ২০১৭ সালের মে মাসে অনুষ্ঠিত প্রথম চাঁদপুর জেলা সাহিত্য সম্মেলন উপলক্ষে 'উছল'-এর বিশেষ সংখ্যা প্রকাশিত হয়। এতে সাহিত্য সম্মেলনে পঠিত আমার মূল প্রবন্ধটিও স্থান পায়। স্বাধীনতোত্তর বাংলা কবিতা নিয়ে আমার প্রবন্ধটা ছিলো একটা জটিল কর্ম। সবদিক সন্তুষ্ট করা এতে অসম্ভব ছিলো। 'উছল'-এ কথাশিল্পী জাকির তালুকদারের কথাসাহিত্যের ওপর লিখিত প্রবন্ধটিও স্থান পায়। প্রকাশনার প্রোডাকশনের মান ভালো ছিলো। আড্ডার একটা লোভনীয় সময় ছিলো মে-জ্যৈষ্ঠ মাসে আড্ডাশেষে ফল উৎসব। রোজার মাসে আড্ডা শুরু হতো চারটায়। তারপর আড্ডা সেরেই ইফতার। সাহিত্য আড্ডায় শুরুর দিকে একটা প্রেমের কাব্যগ্রন্থের মোড়ক উন্মেচন হয়। কবিতাগুলো পাঠ করে বুঝতে অসুবিধা হয় না, যৌবন এসে কবিতায় বাসা বেঁধেছে। প্রণয় পরিণতি পেয়েছে কবিতায়। প্রেমে ও কবিতায় তারুণ্য হয়ে উঠেছে অরুণের কনক আভার দীপ্তির মতো। এই প্রণয়প্রহৃত কাব্যের যুবক হলো মাইনুল ইসলাম মানিক, যাকে সাহিত্য আড্ডা মুক্তগদ্যকার বলে নূতন পরিচয়ে তুলে ধরে। পরে এই লেখকই হয়ে উঠে একজন ভালো অনুবাদক। সাহিত্য আড্ডায় আমার একটা লেখা ছিলো জোড় পুকুরকে নিয়ে। লেখাটা অনেকেরই পছন্দ হয়েছিলো। চুয়াত্তরটা সাহিত্য আড্ডার মধ্যে ফরিদের উপস্থিতি ছিলো সর্বোচ্চ সংখ্যক, সত্তরটায়। আমি তার চেয়ে খুব বেশি পিছিয়ে ছিলাম না সংখ্যায়, আমার উপস্থিতি ছিলো আটষট্টিটায়। এরপরে ছিলেন কাজী শাহাদাত, চৌষট্টিটায়। মাঝে তিনি পবিত্র ওমরাহ্ হজ্ব পালন করতে সৌদি আরব গমন করেন। প্রসঙ্গত বলতে হয়, সৌদি আরব থেকে ফিরে তিনি দৈনিক চাঁদপুর কণ্ঠ পত্রিকায় ধারাবাহিকভাবে ভ্রমণকাহিনী লিখতে শুরু করেন। তাঁর এ সিরিজ পাঠকমহলে আদৃত হয়। বোদ্ধা পাঠক তৎকালীন চাঁদপুর সরকারি কলেজের অধ্যক্ষ ড. এ এস এম দেলওয়ার হোসেন তাঁকে এটা নিয়ে একটা গ্রন্থ প্রকাশে উদ্বুদ্ধ করেন৷ কিন্তু তিনি এখনও সে বিষয়ে মনোনিবেশ করেননি। বঙ্গবন্ধুর জন্মশতবার্ষিকী ও বাংলাদেশের স্বাধীনতার সুবর্ণ জয়ন্তী উদযাপনে একটি স্মারকগ্রন্থ সাহিত্য একাডেমী প্রকাশ করে যার নাম ছিলো সুবর্ণ-শতক। বইটা প্রকাশনার মান ও লেখার মানে অনেকের হৃদয় জয় করতে সক্ষম হয়। সাহিত্য একাডেমীর উদ্যোগে নবান্ন উৎসব উদযাপিত হয়। এ উপলক্ষে ঋতুশ্রী নামে একটা পুস্তিকা প্রকাশিত হয়। ঋতুশ্রীতে নবান্ন নিয়ে আমার লেখা মূল প্রবন্ধ স্থান পায়। এতে চাঁদপুর সরকারি কলেজের বাংলার সহকারী অধ্যাপক সাইদুজ্জামানের আরও একটি প্রবন্ধ মূল প্রবন্ধ হিসেবে প্রকাশিত হয়। ম. নূরে আলম পাটোয়ারী সম্পাদনার দায়িত্বে থাকলেও তাকে মাঝে মাঝে জাগানোর দায়িত্ব ফরিদকে পালন করতে হতো। একুশের বইমেলা উপলক্ষে মির্জা জাকির ভাইয়ের দায়িত্বে সাহিত্য একাডেমীর পক্ষে একটা দেয়ালিকা বানানো হয়।

সওগাত সম্পাদক নাসিরউদ্দীনকে নিয়ে সাহিত্য একাডেমীর পক্ষ থেকে সেমিনারের আয়োজন করা হয়। এতে অধুনা প্রয়াত কবি অসীম সাহা প্রধান অতিথি ছিলেন। সাথে ছিলেন তাঁরই পত্নী কবি অঞ্জনা সাহা। দুঃখের বিষয়, কয়েক মাসের মধ্যেই তাঁরা দুজনেই স্বর্গবাসী হয়েছেন। চাঁদপুর প্রেসক্লাবে অনুষ্ঠিত এ সেমিনারে সওগাত সম্পাদক নাসিরউদ্দিনকে নিয়ে পঠিত প্রবন্ধে সেদিন কবি অসীম সাহা বেশ জ্ঞানগর্ভ আলোচনা করেছিলেন। কবি অসীমদাকে আনতে আমি চাঁদপুর লঞ্চঘাটে গিয়েছিলাম। আবার তাঁর সাথে আড্ডা দিতে সার্কিট হাউজেও সময় কাটিয়েছি রাতে। তিনি আমাকে তাঁর 'ম-বর্ণের শোভিত মুকুট' বইটা উপহার দিয়েছিলেন পরম স্নেহে। তিনি আবারও চাঁদপুরে আসতে চেয়েছিলেন। কিন্তু সময় তাঁকে আর সে সুযোগ দেয়নি। সময় বড় নির্মম।

চাঁদপুর সাহিত্য একাডেমী একটি অনন্য প্রতিষ্ঠান। সাহিত্যপ্রেমীদের মন-মানস গঠনে এটি গুরুত্বপূর্ণ। কিন্তু কোনো না কোনো কারণে এই প্রতিষ্ঠানটি কাক্সিক্ষত গন্তব্যে আজও পৌঁছাতে পারে নি। সাহিত্যপ্রেমীরা সবাই সম্মিলিত হয়ে স্বার্থ ভুলে এগিয়ে না আসলে এটি শুধু লোনাধরা ভবনেই দাঁড়িয়ে থাকবে, সাহিত্যের মৌলিক উৎকর্ষ সাধিত হবে না। (চলবে)

  • সর্বশেষ
  • পাঠক প্রিয়