প্রকাশ : ১৪ অক্টোবর ২০২১, ০০:০০
মুসলমানদের ধর্মগ্রন্থ পবিত্র কুরআন শরীফ মূর্তির কোলে রেখে অবমাননা করার ঘটনা ঘটেছে কুমিল্লায়। এ সংক্রান্ত ছবি ভাইরাল হয়েছে ফেসবুকে। প্রতিবাদে ফেটে পড়েছে মুসলমানরা। মণ্ডপে হামলার ঘটনায় পুলিশ গুলি চালিয়ে আহত করেছে ধর্মপ্রাণ মুসল্লিদেরকে। এ খবর অবগত হয়ে তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানিয়েছেন বাগাদী দরবার শরীপের পীর আল্লামা একেএম নেয়ামত উল্যাহ খান।
তিনি বলেন, এদেশের শতকরা ৯০ ভাগ মুসলমান, মুসলমান যদি সাম্প্রদায়িক হতো তাহলে কোনো অমুসলিম তাদের ধর্ম পালন করতে পারতো না। আমরা মুসলিম, আমাদের ধর্ম অন্য ধর্মের প্রতি সম্মান জানানো এবং তাদের ধর্ম পালনে বাধা প্রদান না করা । অন্য ধর্ম নিয়ে আমরা কখনো উস্কানিমূলক কাজ করি না। অথচ পূজা মণ্ডপে আমাদের পবিত্র ধর্মগ্রন্থ কুরআনকে অবমাননা করা হলো। এটা জাতির জন্যে অশনিসংকেত, পুলিশের আচরণ ন্যাক্কারজনক। মুসলমানদের ধর্মীয় অনুভূতিতে আঘাত করায় এ ঘটনার সুষ্ঠু তদন্ত এবং বিচার দাবি করছি। অন্যথায় শাহজালাল, শাহপরাণ, হাজী শরিয়তুল্লাহ (রহঃ) ও পীর ছালামত উল্যাহ (রহঃ)-এর জমিনে অসাম্প্রদায়িক চিন্তাধারার কাউকে প্রশ্রয় দেয়া উচিত হবে না। তাতে ধর্মীয় ভারসাম্য নষ্ট হয়ে সংঘাত ছড়িয়ে পড়বে।
এ ব্যাপারে পীরজাদা আল্লামা মাহফুজ উল্যাহ ইউসূফী বলেন, আমরা পরিস্থিতি পর্যবেক্ষণ করছি। আশা করছি, সরকার ও প্রশাসন সঠিক পদক্ষেপ গ্রহণ করে পরিস্থিতি সামাল দিবে। অন্যথায় তৌহিদী জনতার আবেগ সামলানো কঠিন হয়ে পড়বে। ঘটনার তাৎক্ষণিক প্রতিক্রিয়ায় বাগাদী দরবার শরীফ থেকে এ প্রতিবাদ জানানো হয়।