প্রকাশ : ০৭ অক্টোবর ২০২১, ০০:০০
মা ইলিশ রক্ষা অভিযানের তৃতীয় দিন
অসাধু ৫ জেলেসহ ৪০ লাখ টাকার জাল আটক
৪ অক্টোবর থেকে শুরু হয়েছে মা ইলিশ রক্ষা অভিযান। আগামী ২৫ অক্টোবর পর্যন্ত ২২ দিনব্যাপী চলবে জাতীয় সম্পদ ইলিশ রক্ষার এ অভিযান। গতকাল ৬ অক্টোবর ছিলো অভিযানের তৃতীয় দিন। এদিন পদ্মা-মেঘনায় ৮টি অভিযান ও ২টি মোবাইল কোর্ট পরিচালিত হয়। অভিযান চালিয়ে ৫.১৫৫ মিটার জাল আটক করা হয়। যার মূল্য প্রায় ৪০ লক্ষাধিক টাকা। এ সময় অসাধু ৫ জেলেকে আটকপূর্বক মোবাইল কোর্টের মাধ্যমে জেলে প্রেরণ করা হয়। এ বিষয়ে ৬টি মামলা করেছে বলে জেলা মৎস্য কর্মকর্তা সূত্রে জানা গেছে।
|আরো খবর
এদিন হাইমচরে ২০টি, মতলব উত্তরে ৩টি, মতলব দক্ষিণে ৮টি, হাজীগঞ্জে ৫টি ও ফরিদগঞ্জের ৫টিসহ মোট ৪১টি মৎস্য আড়তে অভিযান পরিচালিত হয়। অভিযানকালে এ সকল স্থান থেকে ০.০৬৫০০ মেঃ টন ইলিশ আটক করা হয়।
পদ্মা-মেঘনায় ইলিশের নিরাপদ প্রজননের লক্ষ্যে ইলিশসহ সব ধরনের মাছ আহরণ নিষিদ্ধ করা হয়েছে। জাতীয় সম্পদ ইলিশের উৎপাদন বৃদ্ধির লক্ষ্যে মিঠা পানিতে মা ইলিশকে ডিম ছাড়ার সুযোগ করে দিতেই এ অভিযান শুরু। এ লক্ষ্যে মতলব উত্তর উপজেলার ষাটনল থেকে হাইমচর উপজেলার চরভৈরবী পর্যন্ত মেঘনা নদীর ৭০ কিলোমিটার এলাকাকে অভয়াশ্রম ঘোষণা করা হয়েছে। এ সময় ইলিশের আহরণ, ক্রয়-বিক্রয়, মওজুদ ও পরিবহন নিষিদ্ধ। কিন্তু নিষেধাজ্ঞা থাকলেও অভিযানকালে অসাধু কিছু মৎস্য শিকারী ইলিশ নিধনে থেমে নেই। তারা নদীতে মাছ ধরা থেকে বিক্রি পর্যন্ত গোপনে তাদের কার্যক্রম চালিয়ে যাচ্ছে। আর অভিযান সফল করতে কঠোর মনোভাব নিয়ে প্রতিদিনই নদী এবং মৎস্য আড়তে অভিযান অব্যাহত রেখেছে টাস্কফোর্স।