প্রকাশ : ০৩ মার্চ ২০২৪, ০০:০০
কচুয়ায় খামারে অগ্নিসংযোগ ও পুকুরে বিষ প্রয়োগ
কচুয়ায় গবাদি পশুর খামারে অগ্নিসংযোগ ও পুকুরে বিষ প্রয়োগ করে মাছ নিধনের অভিযোগ পাওয়া গেছে। শুক্রবার রাতের কোনো এক সময় উপজেলার আশ্রাফপুর ইউনিয়নের চক্রা মুন্সি বাড়ির নাসির উদ্দিন মিন্টুর খামারে এ ঘটনা ঘটে।
শনিবার সরেজমিনে গেলে খামারের মালিক নাসির উদ্দিন মিন্টু জানান, পূর্ব শত্রুতার জের ধরে পার্শ^বর্তী বাড়ির আলমগীর ও তার ছেলে ওমর ফারুক রুবেল দলবল নিয়ে শুক্রবার রাতে আমার ছাগলের খামারে বাইরে থেকে তালা দিয়ে খড়ের গাদায় আগুন ধরিয়ে দেয় এবং খামারের পাশে মাছের পুকুরে বিষ প্রয়োগ করে। তালাবদ্ধ ঘরের ভিতর থেকে আগুন দেখতে পেয়ে আমার ডাকচিৎকারে আশপাশের লোকজন ছুটে আসলে দুর্বৃত্তরা পালিয়ে যায়। এরই মধ্যে প্রায় ১ লাখ টাকার ক্ষতি সাধিত হয়।
খবর পেয়ে কচুয়া থানার এসআই মাহাদী, সাবেক ইউপি চেয়ারম্যান মাসুদ এলাহী সুভাষ ও ওই ওয়ার্ডের ইউপি সদস্য সোহাগ হোসেন মুন্সী হাসান ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেন। তিনি আরো জানান, গত ১২ ফেব্রুয়ারি দুপুর ২টার দিকে আমার চাষ করা ঘাসের জমিতে গরু বাধাকে কেন্দ্র করে আলমগীর হোসেন গং আমাকে মারধর ও গবাদিপশুর ক্ষতিসাধন করবে বলে হুমকি প্রদর্শন করায় আমি গত ২৭ ফেব্রুয়ারি কচুয়া থানায় একটি অভিযোগ দায়ের করেছি।
স্থানীয় অধিবাসী ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক জয়নুল আবেদীন, সমাজ সেবক জাকির হোসেন, শামসুল আলম মুন্সীসহ অনেকেই জানান, খামারের পাশেই ঘাসের চাষ করা জমিতে গরু বাধাকে কেন্দ্র করে নাসির উদ্দিন মিন্টুর সাথে আলমগীর হোসেন গংয়ের বিরোধ চলে আসছে। নাসির উদ্দির মিন্টুর খামারে অগ্নিসংযোগ ও পুকুরে বিষ প্রয়োগের ঘটনাটি উদ্দেশ্য প্রণোদিত ও নিন্দনীয়। তারা এ ঘটনায় জড়িতদের আইনের আওতায় এনে দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবি জানিয়েছেন।
ঘটনার বিষয়ে আলমগীর হোসেনের পিতা অহিদুল ইসলাম জানান, আমার বাড়ির পাশে ঘাসের জমিতে গরু বাধাকে কেন্দ্র করে নাসির উদ্দিনের সাথে বাকবিতণ্ডা হয়েছে। শুক্রবার রাতে মিন্টুর খামারে অগ্নিসংযোগ ও পুকুরে বিষ প্রয়োগের বিষয়ে আমাদের জানা নেই।
কচুয়া থানার পুলিশ পরিদর্শক (তদন্ত) মোঃ হারুন অর রশিদ জানান, খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে পুলিশ পাঠিয়েছি। তদন্ত সাপেক্ষ প্রয়োজনীয় ব্যবস্থাগ্রহণ করা হবে।