শুক্রবার, ১০ জানুয়ারি, ২০২৫  |   ২৫ °সে
আজকের পত্রিকা জাতীয়আন্তর্জাতিকরাজনীতিখেলাধুলাবিনোদনঅর্থনীতিশিক্ষাস্বাস্থ্যসারাদেশ ফিচার সম্পাদকীয়
ব্রেকিং নিউজ
  •   ফরিদগঞ্জের লক্ষ্মীপুরে কিশোর গ্যাংয়ের হামলায় গুরুতর আহত ৩ : এলাকায় আতঙ্ক
  •   শিক্ষা খাতে নজিরবিহীন রদবদল: একযোগে চার বোর্ড চেয়ারম্যানকে ওএসডি
  •   মধ্যরাতের আতঙ্ক
  •   চীনা সেনাদের ভারতের অরুণাচলে অনুপ্রবেশ: বিতর্কিত অঞ্চল নিয়ে উত্তেজনা তুঙ্গে
  •   আপনার টাকা কোথায় গেল?

প্রকাশ : ২৫ আগস্ট ২০২১, ০০:০০

হরিনা ফেরিঘাট-চান্দ্রা-ভাটিয়ালপুর সড়কের দুরবস্থা
প্রবীর চক্রবর্তী ॥

গত ১০ আগস্ট দেশব্যাপী লকডাউন শিথিল করার পর শুরু হয় গণপরিবহন। ফলে বেড়ে যায় সড়কের ব্যস্ততা। মাত্র একদিনেই একটি স্থানে ৫টি দুর্ঘটনার ঘটনা ঘটে। মালবাহী ট্রাক একের পর এক গর্তের মধ্যে পড়ে উল্টে যায়। সড়কটির একটি অংশ নয় পুরো ১১কিলোমিটার জুড়েই গর্তে ভরপুর। বলছিলাম চট্টগ্রাম-খুলনা মহাসড়কের গুরুত্বপূর্ণ অংশ হয়ে উঠেছে চাঁদপুর জেলার হরিণা ফেরিঘাট থেকে ভাটিয়ালপুর চৌরাস্তা পর্যন্ত ১১ কিলোমিটার সড়কের কথা। কয়েক বছর পূর্বে ১১কিলোমিটার সড়কটি দুই ভাগে সংস্কার হলেও ভারী যানবাহন চলাচল এবং মান সম্পন্ন কাজ না হওয়ায় সড়কটি আগের অবস্থায় ফিরে গেছে।

জানা গেছে, চাঁদপুর-শরিয়তপুর ফেরি সার্ভিস চালু হওয়ায় ক্রমশ গুরুত্বপূর্ণ হয়ে উঠেছে এই সড়কটি। ইতিমধ্যেই মেঘনা নদীর ওপর চাঁদপুর-শরিয়তপুর সেতু নির্মাণের সম্ভাব্যতা যাচাইয়ের কাজও চলছে। সর্বশেষ নির্মাণাধীন পদ্মা সেতুর পিলারে পর পার ৪বার ফেরি ধাক্কা খাওয়ায় কর্তৃৃপক্ষ ইতিমধ্যেই দক্ষিণাঞ্চলের মালবাহী গাড়িগুলোকে চাঁদপুর-শরিয়তপুর ফেরি ব্যবহার করার সুপারিশ করেছে। ফলে বেড়ে যাচ্ছে সড়কের ব্যস্ততা।

সরেজমিন গিয়ে দেখা গেছে, পুরো ১১ কিলোমিটার সড়কটির স্থানে বড় বড় গর্তের সৃষ্টি হয়েছে। বিদায় নেয়া বর্ষায় সড়কটি দিয়ে গাড়িগুলোকে মারাত্মক ঝুঁকি নিয়ে চলাচল করতে হয়েছে। স্থানীয় জনপ্রতিনিধি ও এলাকাবাসী বেশ কয়েকবার গর্তগুলো নিজেরা ইট-বালি দিয়ে ভরাট করে দেয়ায় ঝুঁকি সত্ত্বেও যান চলাচল অব্যাহত রয়েছে।

সড়কটি পুরাণবাজার-হাইমচর এলাকার লোকজন ছাড়াও ফরিদগঞ্জ উপজেলার দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চলের লোকজনের যাতায়াতের অন্যতম পথ। এছাড়া সড়কটি দিয়ে চট্টগ্রাম থেকে খুলনা, যশোর, বরিশাল, ফরিদপুর, মাদারীপুর, শরিয়তপুরের যানবাহন ও পণ্যবাহী গাড়ি চলাচল করে।

এ ব্যাপারে সড়কের পাশে অবস্থিত চাঁদপুর সদর উপজেলার হক মার্কেটের ব্যবসায়ী ফারুক বলেন, আমাদের মার্কেটের সামনের প্রতিদিনই দুর্ঘটনা ঘটছে। বৃষ্টি হলেতো কথাই নেই। মারাত্মক অবস্থা সৃষ্টি হয়। কর্তৃপক্ষ মাঝে মাঝে এতে কিছু ইট বালি ফেলে যায়। কিন্তু তা ক’দিন পরই আগের অবস্থায় ফিরে যায়।

পশ্চিম চান্দ্রা বাজারের বেকারী ব্যবসায়ী সাগর তার সামনের সড়কের দিকে দেখিয়ে বলেন, এখানে বিশাল গর্ত ছিল। স্থানীয় লোকজন ও ইউনিয়ন পরিষদ ইট দিয়ে কোনো রকমে চলাচল উপযোগী করেছে। সড়কটির বড় ধরণের সংস্কার প্রয়োজন।

চান্দ্রা ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান খান জাহান আলী কালু বলেন, সড়কটি দেশের একটি গুরুত্বপূর্ণ সড়কে পরিণত হয়েছে। সড়কের বিভিন্ন স্থানে খানাখন্দে গর্ত ও জলাবদ্ধতা হওয়ায় আমি ব্যক্তিগত এবং ইউনিয়ন পরিষদের মাধ্যমে মেরামত ও পাইপলাইন স্থাপন করেছি। আমাদের এমপি মাননীয় শিক্ষামন্ত্রী ডাঃ দীপু মনির সার্বিক সহযোগিতায় আশা করছি দ্রুত সড়কটির সংস্কার কাজ হবে। মানুষের দুর্ভোগ কমবে।

ফরিদগঞ্জ পৌরসভার মেয়র যুদ্ধাহত বীরমুক্তিযোদ্ধা আবুল খায়ের পাটওয়ারী বলেন, চট্টগ্রাম-খুলনা মহাসড়কের একটি অংশ তথা ভাটিয়ালপুর এলাকা আমার পৌরসভার মধ্যে পড়ে। আমি বিষয়টি নিয়ে জেলা সমন্বয় সভায় কথা বলবো।

চাঁদপুর সড়ক ও জনপথ বিভাগের নির্বাহী প্রকৌশলী মোঃ আতিক উল্ল্যাহ ভূইয়া বলেন, মঙ্গলবার (২৪ আগস্ট) আমরা হরিণাঘাট-চান্দ্রা-ভাটিয়ালপুর চৌরাস্তা সড়কের নির্মাণ কাজ বিষয়ে সভা হয়েছে। শিক্ষা মন্ত্রী ডাঃ দীপু মনি এমপি মহোদয়ের ডিও লিটারের ভিত্তিতে ইতিমধ্যেই সড়কটির উন্নয়নে প্রস্তাবনা তৈরি করা হয়েছে। আশা করছি, ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষ যাচাই-বাছাই শেষে বরাদ্দ পেলে টেকসই সংস্কার কাজ সম্পন্ন করতে পারবো। তিনি বলেন, ১৮ফুট সড়কটির দুই পাশে ৬ ফুট করে থাকবে। এছাড়া সড়কটির বিভিন্ন অংশে ভেঙ্গে যাওয়া স্থানে প্যালাসাইটিংও করার প্রস্তাবনা রয়েছে।

  • সর্বশেষ
  • পাঠক প্রিয়