গতকাল ছিলো ২৬ জিলহজ শুক্রবার। এ দিনটি ১৪৪২ হিজরীর শেষ জুমা। মসজিদগুলোতে মুসল্লিদের উপস্থিতি ছিলো কম। এ বছর বেশি সময় ধরে মসজিদে স্বাস্থ্যবিধি মেনে মুসল্লিদের পাঁচওয়াক্ত নামাজ নিয়মিত আদায় করতে হচ্ছে। অসুস্থ মুসল্লিরা আসছে না মসজিদে, তাই উপস্থিতি কম। ওদিকে কমছে না করোনা মহামারী। এ মহামারীতে চারদিকে মৃত্যুর মিছিল বেড়েই চলেছে। হিজরী সনের শেষ জুমায় করোনা মহামারী থেকে রক্ষা পেতে মসজিদে মসজিদে খতমে ইউনুস, সবিনা খতম, তওবা ইস্তেগফার, মিলাদ-কিয়াম, দোয়া-দরুদ ও বিশেষ মোনাজাত অনুষ্ঠিত হয়।

এদিকে ধর্ম মন্ত্রালয় থেকে এক নির্দেশনায় দেশের সকল মসজিদে পাঁচওয়াক্ত নামাজ এবং জুমার নামাজের পর করোনা মহামারী থেকে মুক্তি কামনায় বিশেষ মোনাজাত ও স্বাস্থ্যবিধি মেনে খতমে ইউনুস, সবিনা খতম, তাওবা ইস্তেগফার, মিলাদ-কিয়াম, দোয়া-দরুদে মশগুল থাকতে বলা হয়েছে।

চাঁদপুর শহরের মিশন রোডস্থ শাহী জামে মসজিদে জুমার নামাজের সময় খতমে ইউনুছ বকশিয়ে বিশেষ দোয়া ও মোনাজাত হয়। চেয়ারম্যান ঘাটা বাইতুল আমান জামে মসজিদে কোরআন খতম, খতম ইউনুসসহ বিভিন্ন বালা-মুসিবত থেকে মুক্তি পেতে দোয়া-মোনাজাত করা হয়। ঐতিহাসিক পুরাণবাজার জামে মসজিদ, ঐতিহাসিক বেগম জামে মসজিদ, বড় স্টেশন জামে মসজিদ, বায়তুল আমিন রেলওয়ে জামে মসজিদ, চিশতিয়া জামে মসজিদ, এলাহী জামে মসজিদ, চাঁদপুর সরকারি কলেজ কেন্দ্রীয় জামে মসজিদ, পাটোয়ারী বাড়ি জামে মসজিদ, জোড় পুকুরপাড় বায়তুল ফালাহ জামে মসজিদ, চাঁদপুর সদর হাসপাতাল সংলগ্ন কালেক্টর জামে মসজিদ ও চৌধুরী জামে মসজিদেও বিশেষ দোয়া অনুষ্ঠিত হয়।

চাঁদপুর কণ্ঠের উপজেলা প্রতিনিধিদের পাঠানো তথ্য মতে, হাইমচর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স জামে মসজিদ ও আলগী বাজার কেন্দ্রীয় জামে মসজিদে খতমে ইউনুসের আমল করা হয়েছে। মতলব উত্তরের লুধুয়া জামে মসজিদ, শাহরাস্তি (রহঃ) মাজার সংলগ্ন মসজিদ, সুচিপাড়া কেন্দ্রীয় জামে মসজিদ, কচুয়া বাজার কেন্দ্রীয় জামে মসজিদ, বুরগী দারুচ্ছুন্নাত ছালেহিয়া দীনিয়া মাদ্রাসা মসজিদ, নন্দনপুর ছালেহিয়া দীনিয়া মাদ্রাসা কমপ্লেক্স জামে মসজিদে কোরআন খতম, মিলাদ-কিয়াম, দোয়া-দরুদ অনুষ্ঠিত হয়।

এ বিষয়ে কথা হয় ইসলামিক ফাউন্ডেশন চাঁদপুরের উপ-পরিচালক মোহাম্মদ খলিলুর রহমানের সাথে। তিনি বলেন, চাঁদপুরে রয়েছে ৭ হাজার ২শ’ ৪২টি মসজিদ। আমার জানা মতে, সকল মসজিদেই করোনা মহামারী থেকে রক্ষা পেতে বিভিন্ন আমলের মাধ্যমে বিশেষ মোনাজাত করা হয়েছে। এছাড়া ইসলামিক ফাউন্ডেশনের সারা জেলায় রয়েছে ১৩শ’ কর্মী। তাদের মাধ্যমে সরকারের বিভিন্ন নির্দেশনা মসজিদের ইমামদের কাছে পৌঁছিয়েছি। ইমাম সাহেব স্বাস্থ্যবিধি মানতে উদ্বুদ্ধ করায় মুসল্লিরা মসজিদে মাস্ক পরে আসেন।