শনিবার, ০৪ জানুয়ারি, ২০২৫  |   ১৬ °সে
আজকের পত্রিকা জাতীয়আন্তর্জাতিকরাজনীতিখেলাধুলাবিনোদনঅর্থনীতিশিক্ষাস্বাস্থ্যসারাদেশ ফিচার সম্পাদকীয়
ব্রেকিং নিউজ
  •   শিক্ষা খাতে নজিরবিহীন রদবদল: একযোগে চার বোর্ড চেয়ারম্যানকে ওএসডি
  •   মধ্যরাতের আতঙ্ক
  •   চীনা সেনাদের ভারতের অরুণাচলে অনুপ্রবেশ: বিতর্কিত অঞ্চল নিয়ে উত্তেজনা তুঙ্গে
  •   আপনার টাকা কোথায় গেল?
  •   শ্রীনগর কাঁপছে

প্রকাশ : ০১ জানুয়ারি ২০২৫, ০৩:০১

নববর্ষের নিষেধাজ্ঞা উপেক্ষা করে আতশবাজি ও পটকার শব্দে কম্পিত রাজধানী

আতশবাজির আগুনে পুড়ল আইন

মো. জাকির হোসেন
আতশবাজির আগুনে পুড়ল আইন
ছবি : সংগৃহীত

সরকারি নিষেধাজ্ঞা থাকা সত্ত্বেও ইংরেজি নববর্ষ উদযাপন উপলক্ষে রাজধানীর বিভিন্ন এলাকায় আতশবাজি ও পটকা ফোটানোর হিড়িক পড়েছে। মঙ্গলবার (৩১ ডিসেম্বর) সন্ধ্যা থেকেই পাড়া-মহল্লা, সড়ক এবং ভবনের ছাদে কিশোর-তরুণদের দলবদ্ধভাবে পটকা ও আতশবাজি ফোটাতে দেখা যায়। রাত বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে এ উৎসবের মাত্রা আরও বাড়ে। রাত ১২টা বাজতেই শহরের পরিবেশ বিরামহীন পটকার শব্দে প্রকম্পিত হয়। শিশু, বয়স্ক এবং অসুস্থ ব্যক্তিরা এই তীব্র আওয়াজে ভোগান্তিতে পড়ছেন। নিষেধাজ্ঞা ও বাস্তবতা ইংরেজি নববর্ষে আতশবাজি, পটকা ফোটানো এবং ফানুস ওড়ানো সম্পূর্ণ নিষিদ্ধ করেছে সরকার। আইনশৃঙ্খলা বাহিনী এবং পরিবেশ মন্ত্রণালয় এ বিষয়ে কঠোর নির্দেশনা দিয়েছে। মোবাইল কোর্ট পরিচালনারও সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছিল। তদুপরি, বিভিন্ন এলাকার বাসিন্দারা প্রশাসনের নিষ্ক্রিয়তার অভিযোগ তুলেছেন। হাজারীবাগ এলাকার বাসিন্দা আব্দুল্লাহ বাঁধন বলেন, "রাত ১২টা বাজার আগেই এত আতশবাজি ও পটকার আওয়াজ পেয়েছি যে শান্তিতে বসে থাকার সুযোগই পাইনি।" মোহাম্মদপুরের হার্টের রোগী জেবেনুর হামিদ জানান, "তীব্র আওয়াজে আমার পালস বেড়ে যাচ্ছে। ভয় পাচ্ছি, যদি কোনো দুর্ঘটনা ঘটে।" সামাজিক প্রতিক্রিয়া অতিরিক্ত শব্দদূষণে বিরক্ত সাধারণ মানুষ। সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে অনেকে ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন। তারা আইন-শৃঙ্খলা বাহিনীর কার্যকারিতা নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন। পরিবেশবিদদের উদ্বেগ পরিবেশবিদরা জানিয়েছেন, এ ধরনের কর্মকাণ্ড শুধু শব্দদূষণই নয়, বাতাসের গুণগত মানও মারাত্মকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত করছে। আতশবাজির ধোঁয়া এবং পটকার রাসায়নিক উপাদান দীর্ঘমেয়াদে পরিবেশ এবং মানুষের স্বাস্থ্যের ওপর নেতিবাচক প্রভাব ফেলে। প্রশাসনের ভূমিকা সরকারি নির্দেশনা সত্ত্বেও বাস্তবায়নে প্রশাসনের নজরদারি এবং কার্যক্রম প্রশ্নবিদ্ধ হয়েছে। আইনশৃঙ্খলা বাহিনীকে এ বিষয়ে আরও কঠোর হওয়ার আহ্বান জানিয়েছেন সংশ্লিষ্টরা। নববর্ষ উদযাপন উৎসাহব্যঞ্জক হলেও তা যেন জনস্বাস্থ্য ও পরিবেশের ক্ষতি না করে, সে বিষয়ে সবার সচেতন হওয়া জরুরি বলে মত দিয়েছেন বিশেষজ্ঞরা।

  • সর্বশেষ
  • পাঠক প্রিয়