প্রকাশ : ৩১ ডিসেম্বর ২০২৪, ১৩:২৯
চাঁদপুরে মানবিক মর্যাদার উপর আঘাত : বিবস্ত্র করে ছবি তুলে মুক্তিপণ দাবি, নারীসহ তিন গ্রেফতার
চাঁদপুর কাঁপিয়ে দেওয়া ঘটনা
চাঁদপুরে একজন ব্যক্তিকে অপহরণ করে বিবস্ত্র অবস্থায় ছবি ও ভিডিও ধারণ করে পরিবারের কাছে মুক্তিপণ দাবি করার অভিযোগে ফারজানা আক্তার সাথী নামে এক নারীকে গ্রেফতার করেছে জেলা গোয়েন্দা পুলিশ (ডিবি)। সোমবার বিকেলে চাঁদপুর শহরের বঙ্গবন্ধু সড়কের একটি বাসা থেকে ডিবির এসআই মো. মিজানুর রহমান তাকে গ্রেফতার করে আদালতে সোপর্দ করেন। পরে তাকে জেলহাজতে পাঠানো হয়। ঘটনার বিস্তারিত: মামলার এজহার সূত্রে জানা যায়, চাঁদপুরের হাইমচর উপজেলার বাসিন্দা শামছুল হক গাজী তার স্ত্রীকে নিয়ে চিকিৎসার জন্য চাঁদপুর ডায়াবেটিস হাসপাতালে আসেন। জরুরি কাজে বাসস্ট্যান্ডে যাওয়ার উদ্দেশ্যে একটি ব্যাটারি চালিত অটোরিকশায় উঠলে তার সঙ্গে অজ্ঞাতপরিচয় দুই নারীও উঠে। বাসস্ট্যান্ড এলাকায় পৌঁছানোর পর ওই দুই নারী শামছুল হককে নামতে না দিয়ে জোরপূর্বক শহরের মাদরাসা রোডের জান্নাত মহলের একটি ফ্ল্যাটে নিয়ে যায়। সেখানে অভিযুক্তরা শামছুল হককে বিবস্ত্র করে তাদের মোবাইলে অশ্লীল ছবি ও ভিডিও ধারণ করে। সামাজিক মাধ্যমে ছড়িয়ে দেওয়ার ভয় দেখিয়ে তারা ভুক্তভোগীর পরিবারের কাছে ১ লাখ টাকা মুক্তিপণ দাবি করে। পুলিশের তৎপরতা ও গ্রেফতার: ভুক্তভোগী পরিবারের পক্ষ থেকে বিষয়টি চাঁদপুরের পুলিশ সুপার মুহাম্মদ রকিবকে জানানো হলে ডিবি পুলিশ ও সদর মডেল থানার যৌথ অভিযানে মাদরাসা রোডের জান্নাত মহলে অভিযান চালিয়ে শামছুল হককে উদ্ধার করা হয়। অভিযানের সময় আসামিরা পালিয়ে গেলেও তদন্তের মাধ্যমে একে একে অভিযুক্তদের গ্রেফতার করছে পুলিশ। গ্রেফতার ও মামলার অগ্রগতি: ডিবির এসআই মো. মিজানুর রহমান জানান, এ ঘটনায় প্রধান অভিযুক্ত ফ্ল্যাট মালিক শামিমকে গ্রেফতার করা হয়। তার স্বীকারোক্তির ভিত্তিতে সহযোগী রুবি আক্তারকে ১৬ ডিসেম্বর গ্রেফতার করা হয়। সর্বশেষ সোমবার বিকেলে গ্রেফতার করা হয় ফারজানা আক্তার সাথীকে। এসআই মিজানুর রহমান আরও জানান, ঘটনার সঙ্গে জড়িত অন্য আসামিদের শনাক্ত এবং গ্রেফতারের প্রক্রিয়া চলমান রয়েছে। অপরাধীদের কঠোর শাস্তির দাবি: এ ঘটনায় চাঁদপুরের সচেতন মহল দ্রুত বিচার কার্যক্রম এবং অভিযুক্তদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি দাবি করেছেন। পুলিশও বিষয়টিকে অগ্রাধিকার দিয়ে তদন্ত চালিয়ে যাচ্ছে বলে জানিয়েছে।