প্রকাশ : ২০ নভেম্বর ২০২২, ০০:০০
![ঢাবির ৫৩তম সমাবর্তনে এমফিল ডিগ্রি লাভ করলেন মতলবের রোমানা পাপড়ি](/assets/news_photos/2022/11/20/image-26216.jpg)
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ৫৩তম সমাবর্তনে এমফিল ডিগ্রি লাভ করেছেন মতলব উত্তরের রোমানা পাপড়ি। বর্তমানে তিনি ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রভাষক পদে কর্মরত। তিনি ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের বি.এ (সম্মান) এম.এ পরীক্ষায় কলা অনুষদ থেকে সর্বোচ্চ সিজিপিএ অর্জন করায় ৪৯তম সমাবর্তন ও ৫০তম সমাবর্তনে মহামান্য রাষ্ট্রপতির কাছ থেকে স্বর্ণপদক এবং কলা অনুষদ থেকে ডীনস পদক লাভ করেন।
মতলব উত্তরের ছেংগারচর উচ্চ বিদ্যালয়ের সাবেক কৃতী শিক্ষার্থী রোমানা পাপড়ি। তিনি ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ‘পালি এন্ড বুদ্ধিষ্ট স্টাডিজ’র মেধাবী ছাত্রী ছিলেন।
রোমানা পাপড়ির পিতা আমির হোসেন মাস্টার জীবদ্দশায় মতলব উত্তর উপজেলার ইমামপুর পল্লীমঙ্গল উচ্চ বিদ্যালয়ের সিনিয়র শিক্ষক ছিলেন।
পাপড়ির শিক্ষক বাবার সর্বকনিষ্ঠ মেয়ে তিনি। বাবা যদিও এ সুখকর সময়ের অংশীদার হতে পারেন নি। চলে গেছেন আরও আগে না ফেরার দেশে। মা, ভাই-বোনের স্বপ্ন পূরণ করতে একটুও কৃপণতা করেন নি। পাপড়ির এ কৃতিত্বে তার পরিবার অত্যন্ত আনন্দিত।
পাপড়ির মা মনোয়ারা বেগম তার মেয়ের এ সফলতার প্রসঙ্গে বলেন, আমি আমার মেয়ের জন্যে গর্বিত। নিজেকে আজ পৃথিবীর সেরা মা বলে মনে হচ্ছে।
শিক্ষকদের প্রতি কৃতজ্ঞতা জানিয়ে তিনি বলেন, বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষা জীবনে সব থেকে বেশি অনুপ্রেরণা আর উৎসাহ পেয়েছি শিক্ষকদের কাছ থেকে। অভিভাবকের মতো করে ছায়া পেয়েছি যে কোনো সময়ে-অসময়ে। আজকের বিশেষ দিনে শিক্ষকদের পাশে থাকতে পেরে নিজেকে খুব গর্বিত মনে হচ্ছে। অসংখ্য ধন্যবাদ শ্রদ্ধেয় স্যার-ম্যামদের।
রোমানা পাপড়ি মতলব উত্তর উপজেলার ছেংগারচর পৌরসভার আদুরভিটি গ্রামের কৃতী সন্তান। তিনি ছেংগারচর উচ্চ বিদ্যালয় থেকে ২০০৬ সালে এসএসসি পাস করেন।
এছাড়াও তিনি বিভিন্ন কাজের জন্যে বিভিন্ন পদকে ভূষিত হন। তার মধ্যে বিএনসিসি এবং রোভার স্কাউট পদক উল্লেখযোগ্য।
শিক্ষক পিতা আমির হোসেন মাস্টারের পদাংক অনুসরণ করে ছোটবেলা থেকেই শিক্ষক হওয়ার স্বপ্ন দেখতেন রোমানা পাপড়ি। সে লক্ষ্যে তিনি অত্যন্ত মেধার সাক্ষর রেখে শিক্ষার প্রতিটি ক্ষেত্রে সাফল্য অর্জন করতে থাকেন। ছোটবেলায় শিক্ষক পিতার মৃত্যুর পরে অনেক চড়াই-উৎড়াই পেরিয়ে প্রাচ্যের অক্সফোর্ড ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে কৃতিত্বের সাথে শিক্ষা জীবন সমাপ্ত করেন এবং বর্তমানে সেখানেই সুনামের সাথে শিক্ষক হিসেবে কর্মরত আছেন।