মঙ্গলবার, ১১ ফেব্রুয়ারি, ২০২৫  |   ১৯ °সে
আজকের পত্রিকা জাতীয়আন্তর্জাতিকরাজনীতিখেলাধুলাবিনোদনঅর্থনীতিশিক্ষাস্বাস্থ্যসারাদেশ ফিচার সম্পাদকীয়
ব্রেকিং নিউজ
  •   হাইমচরে মাটি বোঝাই বাল্কহেডসহ আটক ৯
  •   কচুয়ায় কৃষিজমির মাটি বিক্রি করার দায়ে ড্রেজার, ভেকু ও ট্রাক্টর বিকল
  •   কচুয়ায় খেলতে গিয়ে আগুনে ঝলসে গেছে শিশু সামিয়া
  •   কচুয়ায় ধর্ষণের অভিযোগে যুবক শ্রীঘরে
  •   ১ হাজার ২৯৫ কেজি নিষিদ্ধ পলিথিন জব্দ করেছে কোস্ট গার্ড

প্রকাশ : ১০ ফেব্রুয়ারি ২০২৫, ২১:৫৩

পানি নিষ্কাশন খালের সংস্কার নেই

মেঘনা-ধনাগোদা সেচ প্রকল্পে সেচ পানিতে জলাবদ্ধতা

মাহবুব আলম লাভলু ॥
মেঘনা-ধনাগোদা সেচ প্রকল্পে সেচ পানিতে জলাবদ্ধতা
মেঘনা-ধনাগোদা সেচ প্রকল্পে সেচ পানিতে জলাবদ্ধতা। ছেংগারচর বাজার এলাকায় পানি নিষ্কাশন খাল বন্ধ হয়ে আছে। ছবি ১০ ফেব্রুয়ারি বিকেলে তোলা। ছবি : মাহবুব আলম লাভলু।

মতলব উত্তর উপজেলার মেঘনা-ধনাগোদা সেচ প্রকল্পে সেচ পানিতে জলাবদ্ধতা সৃষ্টি হয়েছে। সোমবার (১০ ফেব্রুয়ারি ২০২৫) বিকেলে সেচ প্রকল্পের হানিরপাড় এলাকায় গিয়ে এ দৃশ্য দেখা যায়।

স্থানীয় কৃষকরা জানান, কালীপুর পাম্প হাউজ থেকে প্রধান খাল দিয়ে সেচ পানি এসে শিকিরচর দিয়ে নিষ্কাশন খালে নেমে পড়ছে। নিষ্কাশন খাল বিভিন্ন জায়গায় বন্ধ থাকায় পানি ফুলে উঠে হানিরপাড়ে গ্রামের নিচু জমিতে প্রবেশ করছে। নিজস্ব ব্যবস্থাপনায় আগে লাগানো বোরো ধানের রোপা জমির চারা পানিতে তলিয়ে যাচ্ছে। সেচ পাওয়ার পরও পানি বেশি থাকায় তারা চারা রোপণ করতে পারছে না। বোরো ধানের চারা বেশিদিন পানির নিচে থাকলে দ্রুত পচে যায়। নিষ্কাশন কাল থেকে পানি জমিতে প্রবেশ করে জলাবদ্ধতা সৃষ্টি করায় তারা ধানের চারা রোপণ করতে পারছে না।

সরজমিনে দেখা যায়, শিকিরচর থেকে হানিরপাড়-দশানী নিষ্কাশন খাল পানি ভরে নিচু জমিতে প্রবেশ করছে। এ খালটির পানি কালীপুর পাম্প হাউজের মাধ্যমে নিষ্কাশন হয়ে থাকে। এ খালটির ছেংগারচর বাজার এলাকায় ময়লা-আবর্জনা ও দখলের কারণে বন্ধ হয়ে পানি প্রবাহিত হচ্ছে না। এর কারণে প্রতিবছর মারাত্মক জলাবদ্ধতার শিকার হয় বাজারের দক্ষিণ পশ্চিম অঞ্চলের মানুষ। বিশেষ করে হানিরপাড় এলাকার কৃষকরা বেশি ভুক্তভোগী।

হানিরপাড়ের কৃষক শাহজালাল জানান, কাল থেকে পানি উঠে আমাদের ধানের জমি তলিয়ে গেছে। দ্রুত পানি সরাতে না পারলে আমরা বোরো ধান থেকে বঞ্চিত হবো। স্থানীয় ইউপি সদস্য সাইদুর রহমান শিবলু জানান, আমার দেখা মতে এই পানি নিষ্কাশন খালটি কখনো সংস্কার হয়েছে বলে মনে হয় না। ছেংগারচর বাজার এলাকায় খালটি বন্ধ হয়ে যাওয়ায় পানি সরতে পারছে না। খালটি সংস্কারের মাধ্যমে দ্রুত পানি সরানোর ব্যবস্থা না করলে কৃষকরা মারাত্মক ক্ষতির সম্মুখীন হবে।

উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা ফয়সাল মোহাম্মদ আলী জানান, হানিরপাড় এলাকার কৃষকরা আমার কাছে এসেছিল। আমি এ বিষয়ে উপজেলা নির্বাহী অফিসারের সাথে কথা বলেছি। বোরো ধানের চারা পানির নিচে বেশি দিন থাকলে পচে যায়। এ পানি নিষ্কাশন খালটি দ্রুত সংস্কার প্রয়োজন। তা না হলে কৃষকরা ক্ষতির সম্মুখীন হবে। অধিক কৃষি পণ্য উৎপাদনের লক্ষ্যে ১৯৭৯-৮০ অর্থ বছরে মেঘনা-ধনাগোদা সেচ প্রকল্প নির্মাণ শুরু হয় এবং ১৯৮৭-৮৮ অর্থ বছরে এর কাজ শেষ হয়। সেচ ও নিষ্কাশন সুবিধার মাধ্যমে ধান উৎপাদনের লক্ষ্য নিয়ে মেঘনা-ধনাগোদা সেচ প্রকল্পটি নির্মাণ করা হয়। সেচ সুবিধার মাধ্যমে বোরো ধান উৎপাদনই ছিলো মূল লক্ষ্য। কিন্তু পানি সেচ ও পানি নিষ্কাশন সঠিকভাবে না হওয়ায় এখনও প্রকল্পের মূল উদ্দেশ্য বাস্তবায়ন হয়নি।

ছেংগারচর এলাকার পানি নিষ্কাশন খাল সংস্কারের অভাবে অনেক এলাকায় নিষ্কাশন সুবিধা থেকে বঞ্চিত হচ্ছে। অথচ মেঘনা-ধনাগোদা সেচ প্রকল্পের উন্নয়ন ও সংস্কারের কাজ চলছে। এ কাজগুলো বাস্তবে কী হচ্ছে তা দেখার সময় এসেছে বলে সচেতন মহল মনে করছে। জলাবদ্ধতায় ফসল উৎপাদনে বিপর্যয়ের শঙ্কা রয়েছে বলে জানিয়েছেন কৃষকরা।

  • সর্বশেষ
  • পাঠক প্রিয়