প্রকাশ : ২১ জুন ২০২৫, ২৩:৩৩
সংসারে কোনো অশান্তি ছিল না৷ তবুও কেন আত্মহত্যা?
ভালোবাসার প্রতিশ্রুতি ভেঙ্গে পড়লো ফাঁসির দড়িতে

ফরিদগঞ্জে সায়েরা আক্তার বিথী (২২) নামের এক গৃহবধূ গলায় ফাঁস দিয়ে আত্মহত্যা করেছেন। শনিবার (২১ জুন ২০২৫) বিকেলে উপজেলার বালিথুবা পূর্ব ইউনিয়নের মানিকরাজ গ্রামের জাল্লা বাড়িতে এই হৃদয়বিদারক ঘটনা ঘটে।
|আরো খবর
বিথী মানিকরাজ গ্রামের প্রবাসী মো. সাগরের স্ত্রী। তার পিত্রালয় পাবনা জেলায়। পারিবারিক সূত্রে জানা যায়, তিন বছর আগে প্রেমের সম্পর্কের মাধ্যমে বিথীর সঙ্গে সাগরের বিয়ে হয়। এক বছর আগে জীবিকার তাগিদে সাগর বিদেশে পাড়ি জমান। পরিবারের দাবি, দাম্পত্য জীবনে কোনো অস্বাভাবিকতা ছিল না। তবে তার মৃত্যু নিয়ে এলাকাবাসীর মধ্যে রহস্য দানা বেঁধেছে।
শনিবার দুপুরে পরিবারের সবাই একসঙ্গে মধ্যাহ্নভোজ শেষে যার যার কক্ষে বিশ্রামে যান। বিথীর শাশুড়ি নিজ কক্ষে ঘুমিয়ে পড়েন। এই ফাঁকে বিথী বাইরে থেকে শাশুড়ির দরজা আটকে দিয়ে নিজের কক্ষে প্রবেশ করে ভেতর থেকে দরজা বন্ধ করে দেন।
পরবর্তীতে শাশুড়ি ঘুম থেকে উঠে দরজা খুলতে না পেরে ডাক-চিৎকার শুরু করলে আশপাশের লোকজন এগিয়ে এসে তাকে উদ্ধার করেন। এরপর বিথীর কক্ষের দরজাও বন্ধ দেখে উদ্বিগ্ন হয়ে পড়েন সবাই। জানালার গ্লাস খুলে দেখা যায়, বিথী ঘরের ফ্যানের সঙ্গে গলায় ফাঁস দিয়ে ঝুলে আছেন। তাৎক্ষণিকভাবে দরজা ভেঙ্গে বিথীর ঝুলন্ত মরদেহ উদ্ধার করা হয়। পরে ফরিদগঞ্জ থানা পুলিশ ঘটনাস্থলে এসে মরদেহ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য চাঁদপুর সদর হাসপাতাল মর্গে প্রেরণ করে।
ফরিদগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. শাহ্ আলম বলেন, মরদেহ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য পাঠানো হয়েছে। প্রাথমিকভাবে এটি আত্মহত্যা বলেই ধারণা করা হচ্ছে। এ ঘটনায় একটি অপমৃত্যুর মামলা রুজু করা হয়েছে এবং আইনগত ব্যবস্থা প্রক্রিয়াধীন রয়েছে।
স্থানীয়রা বলছেন, বিথীর এমন আত্মহত্যা রহস্যজনক। কারণ, তার জীবনযাপনে কোনো অস্বাভাবিকতা আগে চোখে পড়েনি। তারা মনে করছেন, এর পেছনে হয়তো রয়েছে কোনো মানসিক চাপ কিংবা পারিবারিক সংকট। আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর তদন্তে প্রকৃত ঘটনা উদঘাটনের দাবি জানান তারা।