প্রকাশ : ২৯ জুলাই ২০২১, ০০:০০
চাঁদপুরে প্রতারণা মামলায় নারীসহ ৪ আসামীকে গ্রেফতার করেছে পুলিশের অপরাধ তদন্ত বিভাগ সিআইডি। ২৬ জুলাই সোমবার সকালে চাঁদপুর সিআইডির উপণ্ডপরিদর্শক আবু জাহিদ তুহিন সঙ্গীয় ফোর্স নিয়ে গোপন সংবাদের ভিত্তিতে অভিযান চালিয়ে শহরের ওয়্যারলেস এলাকা থেকে তাদের আটক করেন।
আটককৃতরা হলো হাজীগঞ্জ উপজেলার মকিমাবাদ খাটরা বিলওয়াই গ্রামের মোঃ হাবিবুর রহমান জীবন (৪২), জীবনের স্ত্রী জান্নাতুল ফেরদৌসী (৩৪), হাজীগঞ্জ বদরপুর এলাকার শাহিনুর রহমান শাহিন (৪৬) ও খাটরা বিলওয়াই এলাকার বিলকিস বেগম (৪০)।
চাঁদপুর সিআইডির উপণ্ডপরিদর্শক আবু জাহিদ তুহিন জানান, আটক আসামীদের বিরুদ্ধে একটি প্রতারণা মামলা রয়েছে। যার নংণ্ড৩৬। সোমবার উক্ত মামলায় অভিযুক্ত ৪ আসামিকে গোপন সংবাদের ভিত্তিতে ওয়্যারলেস এলাকা থেকে আটক করা হয়েছে। আটক আসামীদের চাঁদপুর কোর্ট পুলিশের নিকট হস্তান্তর করা হয়েছে বলে জানান তিনি।
চাঁদপুর আদালতের হাজীগঞ্জ উপজেলার জিআরও থেকে প্রাপ্ত তথ্যে জানা যায়, আসামীদের বিরুদ্ধে একটি প্রতারণা মামলা রয়েছে। যার মামলা নং ৩৬, তারিখ ২৫/০৬/২০২১। ধারা ৪০৬/ ৪২০/ ৪৬৫/ ৪৬৭/ ৪৬৮ ও ৪৭১। সোমবার বিকেলে তাদের কোর্টে উঠানো হয়।
মামলার এজাহার সূত্রে জানা যায়, শাহরাস্তি উপজেলার মোঃ গিয়াস উদ্দিন (৪৫)ণ্ডএর স্ত্রী স্কুল শিক্ষিকা রয়েলী বেগম ২০২০ সালের ২০ জুলাই শ্বাসকষ্ট জনিতে কারণে চাঁদপুর সরকারি জেনারেল হাসপাতালে মৃত্যুবরণ করেন। করোনার থাবায় স্ত্রীকে হারিয়ে পাগলপ্রায় স্বামী গিয়াস উদ্দিন মানসিকভাবে ভেঙ্গে পড়েন। এই সুযোগে রয়েলী বেগমের ভাই হাবিবুর রহমান জীবন বোনের সম্পত্তি আত্মসাতের জন্যে নানা রকম ষড়যন্ত্র শুরু করে। সে উল্লেখিত আসামীদের সাথে নিয়ে মৃত বোনের সম্পত্তি আত্মসাতের জন্যে জাল মৃত্যু সনদ ও ভুয়া ওয়ারিশ সনদসহ অন্যান্য কাগজপত্র জাল করে বোন জামাইর বিরুদ্ধে তিনটি মামলা দায়ের করেন। শুধু তাই নয়, সম্পত্তির লোভে রয়েলী বেগমের মৃত্যুর পরে জাল কাবিননামা এমনকি জাল ডিভোর্স লেটার দিয়েও প্রতারণা করেন।
এর থেকে রেহাই পেতে মৃত রয়েলী বেগমের স্বামী মোঃ গিয়াস উদ্দিন চাঁদপুর আদালতে মামলা প্রতারণা মামলা দায়ের করেন। যার মামলা নংণ্ড৩৬/২৯৩, সিআর ২৯৬। মামলায় উল্লেখিত অন্য আসামীরা হলো মোঃ আলণ্ডআমিন লিটন (৫০), তার স্ত্রী সালমা সুলতানা কুমকুম (৪৩), হাবিবুর রহমান জীবনের স্ত্রী জান্নাতুল ফেরদৌসি (৩৪), মৃত ভাসানীর পুত্র শাহিনুর রহমান শাহিন (৪৬), মৃত শহিদ আলী সরদারের পুত্র মোঃ আবুল হোসেন (৫৫), মৃত জাফর আলীর পুত্র মোঃ গিয়াস উদ্দিন (৩৪) এবং মেয়ে বিলকিছ বেগম (৪০)।
এদিকে আদালত মামলার তদন্তের জন্যে প্রথমে হাজীগঞ্জ থানা পুলিশকে দায়িত্ব দেয় এবং পরবর্তীতে পুলিশের অপরাধ তদন্ত বিভাগণ্ডসিআইডির কাছে হস্তান্তর করে মামলাটি।