প্রকাশ : ২৮ জুলাই ২০২১, ০০:০০
নিজেদেরকে ত্যাগী দাবি করে আর দলের কাছে মূল্যায়িত না হওয়ার কারণ দেখিয়ে হাজীগঞ্জে যুবদলের ১৭ নেতাণ্ডকর্মী পদত্যাগ করেছেন। শনিবার সন্ধ্যার পর পর সাংবাদিকদেরকে বিষয়টি নিশ্চিত করেন পদত্যাগী নেতাণ্ডকর্মীগণ। ঘটনাটি উপজেলার হাটিলা পশ্চিম ইউনিয়ের আহ্বায়ক কমিটির। সম্প্রতি কমিটি ঘোষণা দেয়া হলে নেতাণ্ডকর্মীদের মাঝে ক্ষোভের সৃষ্টি হয়। এ নেতাণ্ডকর্মীদের পদত্যাগপত্র পেয়েছেন বলে চাঁদপুর কণ্ঠকে জানান হাজীগঞ্জ উপজেলা যুবদলের আহ্বায়ক আক্তার হোসেন দুলাল।
জানা যায়, হাটিলা পশ্চিম ইউনিয়ন যুবদলের নবণ্ডগঠিত আহ্বায়ক কমিটিতে আহ্বায়ক, যুগ্মণ্ডআহ্বায়কসহ সদস্য করা হয় ৩২ জনকে। কমিটিতে যাদেরকে পদণ্ডপদবি দেয়া হয়েছে তাদেরকে সঠিকভাবে মূল্যায়িত করা হয়নি। দলের যারা মামলাণ্ডহামলা, জেলণ্ডজুলুম সহ্য করে রাজনীতি করছে এমন ত্যাগীদের পদণ্ডপদবি দিতে কার্পণ্য করা হয়েছে বলে দাবি করেন পদত্যাগীরা।
খোঁজ নিয়ে জানা যায়, ৩২ সদস্য বিশিষ্ট আহ্বায়ক কমিটির মধ্যে ১৭ জন পদত্যাগ করেছেন। এই ১৭ জনের মধ্যে ৫ জন যুগ্ম আহ্বায়কের পদ পেয়েছেন। বিষয়টি চাঁদপুর কণ্ঠকে নিশ্চিত করেছেন আহ্বায়ক কমিটির সিনিয়র যুগ্ম আহ্বায়ক ও ইউনিয়ন যুবদলের সাবেক সাধারণ সম্পাদক মোঃ মাসুদ খন্দকার।
পদত্যাগকৃত অন্যরা হলেন : ইউনিয়ন যুবদলের নবণ্ডগঠিত আহ্বায়ক কমিটির সিনিয়ন যুগ্ম আহ্বায়ক মোঃ মাসুদ খন্দকার, যুগ্ম আহ্বায়ক মোঃ শাহাদাত মজুমদার, মোঃ জিসান সর্দার, মোঃ কবির খান ও মোঃ মাসুদ মিয়াজী, সদস্য মোঃ মাসুদ খান, মোঃ রুবেল মোল্লা, মোঃ মহিউদ্দিন রিপন মজুমদার, মোঃ জয়নাল আবেদীন কাজী, মোঃ আরিফুল ইসলাম সুজন, মোঃ মনির হোসেন, মোঃ এমরান হোসেন, মোঃ মাসুদুর রহমান, মোঃ ওমর, মোঃ জুয়েল পণ্ডিত, মোঃ কাউছার আলম, মোঃ আলাণ্ডআমিন প্রধানীয়া ও ডাঃ ইকবাল হোসেন বাদল।
পদত্যাগের বিষয়ে মাসুদ খন্দকার বলেন, গত ৯ জুলাই ফেসবুকের মাধ্যমে আমরা জানতে পারলাম আমাদের ইউনিয়নে যুবদলের ৩২ সদস্য বিশিষ্ট আহ্বায়ক কমিটি অনুমোদন দেয়া হয়েছে। উক্ত কমিটিতে আমিসহ উল্লেখিত ৫ জন যুগ্ম আহ্বায়ক ও ১২ জন সদস্য রয়েছে। উল্লেখিত কমিটি দেখে আমরা মর্মামত এবং ব্যথিত হয়েছি।
তিনি অভিযোগ করে বলেন, যাদের গুরুত্বপূর্ণ পদবি দিয়ে কমিটি গঠন করা হয়েছে, তারা পূর্বে কোনো কালেই আন্দোলনণ্ডসংগ্রামে ছিলো না। গত জাতীয় নির্বাচনে (২০১৮) তারা এলাকায় আসেনি। ২০১৬ সালের ইউপি নির্বাচনে আওয়ামী লীগের প্রার্থীর পক্ষে কাজ করে এবং অর্থ দিয়ে সহযোগিতা করেছে। এছাড়াও যাকে আহ্বায়ক করা হয়েছে তিনি ওয়ার্ড যুবদলের সহণ্ডসাধারণ সম্পাদক ও ঢাকা একটি লোহার দোকানের কর্মচারী। যাকে সদস্য সচিব করা হয়েছে তিনি হাজীগঞ্জ বাজারের একটি মুদি দোকানের কর্মচারী ছিলেন। ঘোষিত আহ্বায়ক কমিটি বাতিল করে ত্যাগীদের দিয়ে নতুন কমিটি ঘোষণার দাবি জানান তিনি। এ ছাড়া ও আমরা হাজীগঞ্জণ্ডশাহরাস্তি উপজেলা বিএনপির প্রধান সমন্বয়ক ইঞ্জিঃ মমিনুল হকের নেতৃত্বে রাজনীতি করছি এবং ভবিষ্যতেও করে যাবো। দলীয় কেন্দ্রীয় সিদ্ধান্ত ও ইঞ্জিঃ মমিনুল হকের দিকণ্ডনির্দেশনা মেনে চলবো বলে জানান মাসুদ খন্দকার।
এ বিষয়ে উপজেলা যুবদলের আহ্বায়ক আক্তার হোসেন দুলাল জানান, তারা আমার কাছে পদত্যাগের কাগজ জমা দিয়েছে। কিন্তু এ বিষয়ে আমরা কোনো সিদ্ধান্ত নিইনি।