প্রকাশ : ২৮ জুলাই ২০২১, ০০:০০
চাঁদপুর পৌরসভার কোরবানির পশুর বর্জ্য ঈদের দিনেই অপসারণ করা হয়েছে। ওইদিন বিকেলের মধ্যেই (বুধবার) চাঁদপুর শহরের বর্জ্য অপসারণ দেখে পথচারীরা চাঁদপুর পৌরসভার মেয়রকে সাধুবাদ জানিয়েছেন। চাঁদপুর পৌরসভার বিশেষ টিম টানা ৮ ঘণ্টা শহরের অলিগলি ঘুরে কোরবানির পশুর ছড়িয়েণ্ডছিটিয়ে থাকা সব বর্জ্য অপসারণ করেন।
চেয়ারম্যান ঘাটা এলাকার আতাউর রহমান মামুন চাঁদপুর কণ্ঠকে বলেন, জনগণের অনেকেই পরিবেশ সম্পর্কে অসচেতন। আবার অনেকে সচেতন হয়েও নিজের বাড়ি ও জমি বাঁচিয়ে সরকারি জমি বা সড়কের উপর পশু জবাই করে থাকেন। কাজটি তারা শুধু কোরবানির সময় করেন না, সারাবছরই করে থাকেন। কোরবানির সময় বাড়তি উদ্বেগের কারণ হলো, একসঙ্গে অনেক পশু জবাই করা হয় এবং এর বর্জ্যরে পরিমাণও অনেক বেশি। সড়কণ্ডমহাসড়কে পশু জবাই করলে দুর্গন্ধ ছড়িয়ে পরিবেশ দূষণ হয়।
বিষ্ণুদী মাদ্রাসা রোডের বাসিন্দা সুলতান আহম্মেদ তালুকদার চাঁদপুর কণ্ঠকে জানান, আমি এ শহরে প্রায় ৩০ বছর বাস করি। এর আগে আমার নজরে এতো তাড়াতাড়ি কোরবানির পশুব বর্জ্য অপসারণ করতে দেখিনি। ঈদের দিন সন্ধ্যায় দেখি রাস্তার ওপর ব্লিচিং পাউডার ছিটানো হচ্ছে।
পুরাতন বাসস্ট্যান্ড এলাকার মোঃ এমরান হোসেন গাজী বলেন, বিকেলে দেখি পরিচ্ছন্নতা কর্মীরা ট্রাক বোঝাই করে বর্জ্য অপসারণ করে নিয়ে যাচ্ছে।
কোড়ালিয়ার মোঃ হাবিবুর রহমান বেপারী বলেন, এতো দ্রুত বর্জ্য অপসারণ করা হয়েছে, সত্যিই মেয়র প্রশংসার দাবিদার।
কাউন্সিলর ও পৌর কর্মকর্তারা বর্জ্য অপসারণের পুরো কাজটি সরেজমিনে তদারক করেন। পৌর কর্তৃপক্ষ ও স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, ঈদুল আযহার নামাজ শেষেই বাসাবাড়িতে কোরবানির গরুণ্ডছাগল জবাই শুরু হয়। শহরের বিভিন্ন এলাকাতে কোরবানি শেষে পশুর বর্জ্য নির্দিষ্ট স্থানে ফেলে রাখেন পৌর নাগরিকেরা।
এদিকে বেলা ১০টা থেকেই পৌর কর্তৃপক্ষ শুরু করেন পশুর বর্জ্য অপসারণের কাজ। পৌরসভার ১শ’ ৭৫ জন পরিচ্ছন্নতাকর্মী শহরের অলিগলি, পাড়াণ্ডমহল্লায় সড়কের পাশে, বাসাবাড়ির সামনে ফেলে রাখা কোরবানির বর্জ্য অপসারণে নামেন। এ বর্জ্য অপসারণের কাজে ৮টি ট্রাক ও পিকআপ ভ্যান ব্যবহার করা হয়েছে। পৌরসভায় ছিলো ৬টি ট্রাক। এ বিশেষ কাজের জন্যে পৌর মেয়র আরও ২টি গাড়ি ভাড়া করেছেন।
কাউন্সিলর মোঃ হাবিবুর রহমান দর্জি চাঁদপুর কণ্ঠকে জানান, বর্জ্য অপসারণের পরই বর্জ্য ফেলে রাখার স্থানে ছিটানো হয়েছে ব্লিচিং পাউডার। সন্ধ্যা ৭টার মধ্যে সারা শহরে পরিষ্কারণ্ডপরিচ্ছন্নতার কাজ শেষ করা হয়েছে এবং পরদিন (বৃহস্পতিবার) কোরবানির বর্জ্য অপসারণে নামেন তারা। মেয়র মহোদয় বলেছেন ১৮ ঘণ্টার মধ্যেই বর্জ্য অপসারণ করা হবে। কিন্তু আমাদের পৌরসভার পরিচ্ছন্ন কর্মীদের বিশেষ টিম ৮ ঘণ্টার মধ্যেই বর্জ্য অপসারণ করে ফেলেছেন। পৌর নাগরিকরা এখন অনেকটা সচেতন হয়েছে। তাই এ বর্জ্য ঠিক সময়ের আগেই অপসারণ করা সম্ভব হয়েছে।