মঙ্গলবার, ০৪ ফেব্রুয়ারি, ২০২৫  |   ২১ °সে
আজকের পত্রিকা জাতীয়আন্তর্জাতিকরাজনীতিখেলাধুলাবিনোদনঅর্থনীতিশিক্ষাস্বাস্থ্যসারাদেশ ফিচার সম্পাদকীয়
ব্রেকিং নিউজ
  •   হাইমচরে মাটি বোঝাই বাল্কহেডসহ আটক ৯
  •   কচুয়ায় কৃষিজমির মাটি বিক্রি করার দায়ে ড্রেজার, ভেকু ও ট্রাক্টর বিকল
  •   কচুয়ায় খেলতে গিয়ে আগুনে ঝলসে গেছে শিশু সামিয়া
  •   কচুয়ায় ধর্ষণের অভিযোগে যুবক শ্রীঘরে
  •   ১ হাজার ২৯৫ কেজি নিষিদ্ধ পলিথিন জব্দ করেছে কোস্ট গার্ড

প্রকাশ : ০৯ আগস্ট ২০২২, ০০:০০

ইউপি চেয়ারম্যান সেলিম খানের বিরুদ্ধে দুদকের মামলা নিয়ে আইনজীবীর ব্যাখ্যা
অনলাইন ডেস্ক

জ্ঞাত আয় বহির্ভূত সম্পদ অর্জন ও সম্পদ গোপনের অভিযোগে চাঁদপুর সদর উপজেলার লক্ষ্মীপুর মডেল ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মো. সেলিম খানের বিরুদ্ধে মামলা করেছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)। গত ১ আগস্ট দুদকের ঢাকা সমন্বিত জেলা কার্যালয়-১ এ দুদকের সহকারী পরিচালক ও অনুসন্ধান কর্মকর্তা আতাউর রহমান প্রধান বাদী হয়ে মামলাটি দায়ের করেন। স্থানীয় আওয়ামী লীগের দুই গ্রুপের বিরোধ প্রকাশ্য হওয়ার পর থেকেই জেলার শীর্ষ ক’জন নেতা ইউপি চেয়ারম্যান সেলিম খানের বিরুদ্ধে একের পর এক ব্যবস্থা গ্রহণ ও প্রকাশ্য বিরোধিতা করায় এ নিয়ে জনমনে নানা প্রশ্ন দেখা দিয়েছে। সেলিম খানের আইনজীবী অ্যাডঃ কাজী খায়রুল হাসান জুমনও মামলার বিষয়ে ব্যাখ্যা দিয়েছেন।

অ্যাডঃ কাজী মোঃ খায়রুল হাসান জুমন বলেন, তদন্তকারী কর্মকর্তার প্রদর্শিত অস্থাবর সম্পদের হিসাবের সাথে সেলিম খানের নিজ নামের অস্থাবর সম্পত্তি অথবা তার সন্তানদের সাথে যৌথভাবে প্রদর্শিত অর্থের কোনোটার সাথেই সামঞ্জস্যপূর্ণ নয়। তদন্তকারী কর্মকর্তার বর্ণিত জমির পরিমাণ ও ফ্ল্যাটের মূল্যর সাথে প্রকৃত জমি ও ফ্ল্যাটের মূল্য সামঞ্জস্যপূর্ণ নয়। তিনি বলেন, দুদকের সাম্প্রতিক মামলায় তদন্তকারী কর্মকর্তা সেলিম খানের গ্রহণযোগ্য আয় হিসেবে ৪,১৪,২৪,৫৭৬ টাকা রেকর্ডপত্র ও সম্পদ বিবরণী যাচাইকালে পেয়েছেন মর্মে উল্লেখ করেছেন। অথচ রেকর্ডপত্র অনুযায়ী ২০০৬-২০০৭ করবর্ষ হতে ২০২০-২০২১ করবর্ষ পর্যন্ত আয়কর রিটার্ন অনুযায়ী তার প্রদত্ত আয়করের বিপরীতে ১২,৯০,৩১,৩৮৭ টাকা অর্জিত আছে। তদন্তকারী কর্মকর্তা তার অগ্রহণযোগ্য আয়ের সমর্থনে সুনির্দিষ্ট কোন তথ্য প্রমাণের বিষয়ে এজাহারে উল্লেখ করেন নাই।

আইনজীবী আরো জানান, তদন্তকারী কর্মকর্তা সেলিম খানের সম্পদ বিবরণী দাখিলের পূর্বে পর্যন্ত রেকর্ডপত্র অনুযায়ী তার নামে স্থাবর সম্পদ ৬৬,৯৯,৪৭৭ টাকা দাখিলকৃত সম্পদ বিবরণীতে সে গোপনপূর্বক মিথ্যা তথ্য প্রদান করেছে মর্মে দুর্নীতি দমন কমিশন আইন ২০০৪ এর ২৬ (২) ধারায় অপরাধের অভিযোগ আনেন। অথচ সেলিম খান ও তার সন্তানদের সকলেরসহ যৌথভাবে তিনি দাখিলকৃত সম্পদ বিবরণীতে স্থাবর সম্পদের হিসাব বাবদ নিজ নামে ১৯,৯০,৩১,৪৪৪ টাকা, সন্তানদের নামে ৬,৪২,১৫,০০০ টাকাসহ মোাট ২৬,৩২,৪৬,৪৪৪ টাকা প্রদর্শন করেছেন। দুদক তদন্তকারী কর্মকর্তা সেলিম খানের সন্তানদের প্রত্যেকের নিজ নিজ নামের টিআইএন নাম্বার ও আয়কর নথি থাকার পরেও এবং দাখিলকৃত সম্পদ বিবরণীতে তাদের টিআইএন নাম্বার উল্লেখ থাকার পরেও তাদের নামে অর্জিত সম্পদের হিসাব তার দাখিলকৃত সম্পদের সাথে একত্রিভূত করেছেন। যা বিধিসম্মত নয়।

এ ব্যাপারে আইনজীবীর মাধ্যমে প্রদত্ত বক্তব্যে সেলিম খান বলেন, তদন্তকারী কর্মকর্তা আমার বিরুদ্ধে ৩৪,৫৩,৮১,১১৯ টাকা জ্ঞাত আয় বহির্ভূত সম্পদ অর্জনের মনগড়া এক অভিযোগ আনিয়াছেন। কেননা আমার অর্জিত সকল আয়ের বিপরীতে নিয়মিত আয়কর প্রদান করা হয়েছে এবং প্রযোজ্য ক্ষেত্রে জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের বিধি মোতাবেক ১৯ বিবিবিবিবি ধারা অনুযায়ী আয়কর প্রদান করা আছে। আমার সম্পদ বিবরণীর প্রদর্শিত আয় ও অর্জিত সম্পদের বাইরে অবৈধ কোন সম্পদ নাই। আমি ২০১৯-২০২০ ও ২০২০-২০২১ সনে জাতীয় রাজস্ব বোর্ড কর্তৃক চাঁদপুর জেলার সর্বোচ্চ আয়কর প্রদানকারী হিসেবে সম্মাননা লাভ করি। আমার সন্তান মোঃ শান্ত খান চাঁদপুর জেলার তরুন সর্বোচ্চ করদাতা হিসেবে সম্মাননা লাভ করে। আমার দাখিলকৃত সম্পদ বিবরণীতে আমার পরিবারের অন্যান্য সদস্যদের টিআইএন নাম্বার উল্লেখ করা আছে। তারা কেউ আমার উপরে নির্ভরশীল নয়। তারা প্রত্যেকে সাবালক। নিয়মিত আয়কর প্রদানকারী। তাদের নিজ নিজ নামে পৃথক আয়কর নথি থাকা সত্ত্বেও সম্পদ বিবরণীতে তাদের নামে উল্লেখিত সম্পদ আমার নামে প্রদর্শন করে কথিত হিসাব অনুযায়ী যে অভিযোগ আনয়ন করা হয়েছে তা বিধিসম্মত নয়।

বিঃ দ্রঃ উক্ত সংবাদটি আইনজীবীর ব্যাখ্যা হিসেবে বিজ্ঞাপন আকারে প্রকাশিত করা হয়েছে। উক্ত সংবাদের জন্য পত্রিকা কর্তৃপক্ষ দায়ী নয়।

  • সর্বশেষ
  • পাঠক প্রিয়