চাঁদপুর সদর উপজেলায় বোগদাদ বাসের ধাক্কায় দুমড়ে-মুচড়ে যাওয়া পিকআপ ভ্যানের চালক গুরুতর আহত লিয়াকত হোসেন বেপারী (৪৫) হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা গেছেন। ১০জুন শুক্রবার সকাল ১১টায় ঢাকার একটি হাসপাতালে তার মৃত্যু হয়। বলে নিহতের পারিবারিক সূত্রে জানা যায়। একদিন আগে ৯ জুন বৃহস্পতিবার দুপুর দুটার সময় চাঁদপুর-কুমিল্লা আঞ্চলিক মহাসড়কের পল্লীবিদ্যুৎ এলাকায় বারী এসপির বাড়ির সামনে বৃষ্টিভেজা ফাঁকা রাস্তায় নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে বোগদাদ বাসের আঘাতে একটি পিকআপ দুর্ঘটনায় পতিত হয়। এ সময় পিকআপের চালকসহ দুজন গুরুতর আহত হন। চালক লিয়াকতকে আশঙ্কাজনক অবস্থায় চাঁদপুর সরকারি জেনারেল হাসপাতাল নেয়া হলে কর্মরত চিকিৎসক তাকে ঢাকা রেফার করেন। একদিন পর চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যান তিনি।

প্রত্যক্ষদর্শী সূত্রে জানা গেছে, ওই দিন দুপুরে চাঁদপুরে মুষলধারে বৃষ্টি হচ্ছিলো। বৃষ্টিভেজা ফাঁকা রাস্তায় নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে কুমিল্লাগামী একটি বোগদাদ বাস চাঁদপুরগামী সাদা রংয়ের ঢাকা মেট্রো-ঠ ১১-৮৮৭৯ নাম্বারের পিকআপকে সামনাসামনি আঘাত করে চলে যায়। এতে পিকআপের সামনের অংশ দুমড়ে-মুচড়ে গাড়ির ভিতরে চালক লিয়াকত আটকা পড়ে। পরে বাকিলায় বাসটিকে আটক করে স্থানীয়রা।

জানা যায়, আহত পিকআপের চালক লেয়াকতের বাড়ি চাঁদপুর সদর উপজেলার বাবুরহাট এলাকায়। শুক্রবার তার লাশ গ্রামের বাড়িতে নিয়ে আসা হলে ক্ষুব্ধ হয়ে ওঠে এলাকাবাসী এবং সন্ধ্যায় রাস্তা অবরোধ করে বিক্ষোভ করে।

খবর পেয়ে চাঁদপুর সদর মডেল থানার ওসি মুহাম্মদ আব্দুর রশিদ সঙ্গীয় ফোর্স নিয়ে সেখানে উপস্থিত হন এবং এলাকাবাসীকে শান্ত করেন।

এ ব্যাপারে বোগদাদ বাস কর্তৃপক্ষের সাথে আলাপ-আলোচনা করে নিহতের পরিবারকে ক্ষতিপূরণ দেয়ার ব্যাপারে আশ্বস্ত করা হয়।

শনিবার ফজর নামাজের পর নিহত পিকআপ চালক লিয়াকত বেপারীর জানাজার নামাজ শেষে তাকে দাফন করা হয়েছে। এলাকাবাসী জানান, দীর্ঘদিন প্রবাসে ছিলেন লিয়াকত। দেশে এসে পিকআপ ভ্যান কিনে নিজেই গাড়িটি চালাতেন। মর্মান্তিক এই সড়ক দুর্ঘটনায় পরিবারের একমাত্র উপার্জনকারীকে হারিয়ে তার পরিবার খুবই অসহায় হয়ে পড়েছে।