প্রকাশ : ১০ মার্চ ২০২৫, ০০:৫৫
ককটেল বিস্ফোরণে আতঙ্ক, ছুরিকাঘাতে স্বর্ণ ব্যবসায়ীর মৃত্যু
আশুলিয়ায় নৃশংস ডাকাতি

সাভারের আশুলিয়ার নয়ারহাট এলাকায় দিলীপ স্বর্ণালয়ে সংঘটিত ডাকাতির ঘটনাটি স্থানীয় জনগণের মধ্যে গভীর শোক ও উদ্বেগের সৃষ্টি করেছে। রোববার (৯ মার্চ) রাত ৯টার দিকে এই নৃশংস ঘটনায় দোকান মালিক দিলীপ কুমার নিহত হন।
|আরো খবর
ঘটনার বিবরণ:
প্রত্যক্ষদর্শী স্বপ্না বেগমের ভাষ্যমতে, তারাবির নামাজের সময় বাজারের বেশিরভাগ দোকান বন্ধ ছিল। তিনি বাজার পরিষ্কার করছিলেন, তখন দিলীপ কুমার তার দোকান বন্ধ করছিলেন এবং তার স্ত্রী পাশে দাঁড়িয়ে ছিলেন। হঠাৎ চারজন অস্ত্রধারী ব্যক্তি দ্রুত দোকানের দিকে এগিয়ে এসে ককটেল বিস্ফোরণ ঘটায়, যা চারপাশে ধোঁয়ার সৃষ্টি করে। এরপর তারা দিলীপ কুমারকে সামনে ও পেছন থেকে ছুরিকাঘাত করে গুরুতর আহত করে এবং তার স্ত্রীর কাছ থেকে একটি ব্যাগ ছিনিয়ে নিয়ে পালিয়ে যায়। স্থানীয়রা আহত অবস্থায় দিলীপ কুমারকে উদ্ধার করে সাভার এনাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে গেলে অতিরিক্ত রক্তক্ষরণে তার মৃত্যু হয়।
আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর প্রতিক্রিয়া:
ঘটনার পরপরই পুলিশ ও সেনাবাহিনীর সদস্যরা ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেন। সাভার এনাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের চিকিৎসক মেরাজুর রেহান পাভেল জানান, দিলীপ কুমারকে রক্তাক্ত অবস্থায় হাসপাতালে আনা হয়েছিল এবং অতিরিক্ত রক্তক্ষরণে তার মৃত্যু হয়।
পূর্ববর্তী ঘটনা:
উল্লেখ্য, এর আগে ২০২১ সালের ৫ সেপ্টেম্বর একই এলাকায় নয়ারহাট বাজারে একযোগে ১৮টি স্বর্ণের দোকানে ডাকাতির ঘটনা ঘটে। ওই সময় ডাকাতরা বাজারের নিরাপত্তাকর্মীদের অস্ত্রের মুখে জিম্মি করে স্বর্ণালংকার ও নগদ টাকা লুট করে নৌপথে পালিয়ে যায়।
স্থানীয়দের প্রতিক্রিয়া:
নয়ারহাট এলাকার ব্যবসায়ী ও সাধারণ জনগণ এই ধরনের ধারাবাহিক ঘটনায় আতঙ্কিত। তারা বাজারের নিরাপত্তা ব্যবস্থা জোরদার করার দাবি জানিয়েছেন।
নিরাপত্তা ব্যবস্থা ও সুপারিশ:
বারবার ডাকাতির ঘটনায় স্থানীয় ব্যবসায়ীরা নিরাপত্তা ব্যবস্থা পুনর্বিবেচনার দাবি তুলেছেন। নিরাপত্তা বিশেষজ্ঞরা সুপারিশ করছেন:
১.বাজার এলাকায় সিসিটিভি ক্যামেরা স্থাপন ও নিয়মিত মনিটরিং।
২.নিরাপত্তাকর্মীদের প্রশিক্ষণ ও সংখ্যা বৃদ্ধি।
৩. পুলিশের টহল বৃদ্ধি ও স্থানীয় প্রশাসনের সঙ্গে সমন্বয়।এই ধরনের পদক্ষেপ গ্রহণের মাধ্যমে নয়ারহাট বাজারের ব্যবসায়ী ও সাধারণ জনগণের নিরাপত্তা নিশ্চিত করা সম্ভব হতে পারে।
ডিসিকে/এমজেডএইচ