বৃহস্পতিবার, ২৩ জানুয়ারি, ২০২৫  |   ২০ °সে
আজকের পত্রিকা জাতীয়আন্তর্জাতিকরাজনীতিখেলাধুলাবিনোদনঅর্থনীতিশিক্ষাস্বাস্থ্যসারাদেশ ফিচার সম্পাদকীয়
ব্রেকিং নিউজ
  •   হাইমচরে মাটি বোঝাই বাল্কহেডসহ আটক ৯
  •   কচুয়ায় কৃষিজমির মাটি বিক্রি করার দায়ে ড্রেজার, ভেকু ও ট্রাক্টর বিকল
  •   কচুয়ায় খেলতে গিয়ে আগুনে ঝলসে গেছে শিশু সামিয়া
  •   কচুয়ায় ধর্ষণের অভিযোগে যুবক শ্রীঘরে
  •   ১ হাজার ২৯৫ কেজি নিষিদ্ধ পলিথিন জব্দ করেছে কোস্ট গার্ড

প্রকাশ : ১১ মার্চ ২০২২, ০০:০০

বঙ্গবন্ধুর ৭ মার্চের ভাষণ মুক্তিপাগল মানুষকে উজ্জীবিত করেছে
প্রেস বিজ্ঞপ্তি ॥

চাঁদপুর সরকারি কলেজে সোমবার (৭ মার্চ) যথাযোগ্য মর্যাদায় ‘ঐতিহাসিক ৭ মার্চ দিবস’ উদ্যাপন করা হয়। সম্পূর্ণ ক্যাম্পাস বর্ণিল আলোকসজ্জায় সজ্জিত করা হয়। সূর্যোদয়ের সাথে সাথে জাতীয় পতাকা উত্তোলনের মধ্য দিয়ে তাৎপর্যপূর্ণ এ দিবসটির কর্মসূচির শুভ সূচনা ঘটে।

সকাল নয়টায় কলেজ প্রাঙ্গণ থেকে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ঐতিহাসিক ৭ মার্চের ভাষণ মাইকে প্রচার করা হয়। একই সময়ে চাঁদপুর অঙ্গীকার বেদিতে বঙ্গবন্ধুর প্রতিকৃতিতে শ্রদ্ধা জানিয়ে পুষ্পস্তবক অর্পণ করা হয়। সকাল সাড়ে ৯টায় কলেজ অধ্যক্ষ প্রফেসর অসিত বরণ দাশ কলেজের উপাধ্যক্ষ প্রফেসর মোঃ আবুল খায়ের সরকার, বিভিন্ন বিভাগের বিভাগীয় প্রধানগণ ও শিক্ষকবৃন্দকে নিয়ে শিক্ষক পরিষদের উদ্যোগে কলেজ ক্যাম্পাসে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান স্মারক-স্তম্ভে পুষ্পস্তবক অর্পণ করেন।

বেলা ১২টায় কলেজ শিক্ষক মিলনায়তনে শুরু হয় ‘মহানায়কের বজ্রনিনাদ, বিশ্ব ঐতিহ্যের স্বীকৃতি : একটি পর্যালোচনা’ শীর্ষক সেমিনার। পদার্থবিজ্ঞান বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক মোহাম্মদ আলমগীর হোসেনের সভাপ্রধানে প্রধান অতিথি ছিলেন অধ্যক্ষ প্রফেসর অসিত বরণ দাশ। বিশেষ অতিথি ছিলেন উপাধ্যক্ষ প্রফেসর মোঃ আবুল খায়ের সরকার এবং শিক্ষক পরিষদের সম্পাদক ও উদ্ভিদবিদ্যা বিভাগের সহকারী অধ্যাপক মোহাম্মদ কামরুল হাছান।

ইসলামী শিক্ষা বিভাগের সহকারী অধ্যাপক মোঃ আল-আমিনের পবিত্র কোরআন তেলাওয়াত, পদার্থবিজ্ঞান বিভাগের প্রভাষক গোপাল কৃষ্ণ ভৌমিকের পবিত্র গীতা পাঠ এবং বাংলা বিভাগের সহকারী অধ্যাপক মোঃ সাইদুজ্জামানের সঞ্চালনায় সেমিনারে প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন রাষ্ট্রবিজ্ঞান বিভাগের সহকারী অধ্যাপক মেহেদী হাসান। উপস্থাপিত প্রবন্ধের উপর আলোচনা করেন ইতিহাস বিভাগের বিভাগীয় প্রধান ও সহযোগী অধ্যাপক শেখ মোঃ খলিলুর রহমান।

প্রধান অতিথির বক্তব্যে প্রফেসর অসিত বরণ দাশ গভীর শ্রদ্ধার সাথে স্মরণ করেন হাজার বছরের শ্রেষ্ঠ বাঙালি, স্বাধীনতার মহান স্থপতি জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানসহ মহান স্বাধীনতা যুদ্ধে অংশগ্রহণকারী সকল বীর সেনানীকে। তিনি বলেন, বঙ্গবন্ধুর ৭ মার্চের ভাষণটি মুক্তিপাগল মানুষকে উজ্জীবিত করেছে। এটি একটি অভাবনীয় ভাষণ। এ তেজস্বী ভাষণে তাঁর রাজনৈতিক নেতৃত্বের দূরদর্শিতা প্রকাশিত হয়েছে। তিনি সকল মুক্তিকামী মানুষকে একত্রিত করতে চেয়েছেন, অসহযোগ আন্দোলনের ডাক দিয়েছেন এবং তিনি সফল হয়েছেন। ভাষণটিতে সকল প্রকার দিকনির্দেশনা ছিলো। এমনকি তাঁর অনুপস্থিতিতে কী করতে হবে সে সম্পর্কেও নির্দেশনা ছিলো। সেই জনসমুদ্রে উপস্থিত সকল মানুষের পাল্স তিনি বুঝতে পেরেছিলেন এবং তাঁর ঐতিহাসিক ভাষণে প্রথম থেকে শেষ পর্যস্ত ধারাবাহিকতা ছিলো। ভাষণের প্রতিটি বাক্য তাৎপর্যপূর্ণ ছিলো। ঐতিহাসিক এ ভাষণটি অনানুষ্ঠানিক স্বাধীনতার ঘোষণা ছিলো। এ ভাষণটি বিশ্বমানবতার জন্যে অবিস্মরণীয় ও অনুকরণীয় মহামূল্যবান দলিল।

  • সর্বশেষ
  • পাঠক প্রিয়