প্রকাশ : ১২ ফেব্রুয়ারি ২০২২, ০০:০০
গ্রামবাংলায় বর্ষা শেষে শীতের সময় নিচু জমি ও খাল-বিলে পানি সেঁচে মাছ ধরা হতো। মাছ ধরার সেই দৃশ্য সচরাচর এখন আর চোখে পড়ে না। দিন দিন হারিয়ে যাচ্ছে এসব উৎসব। ভাদ্র মাসের তীব্র গরম আর রোদের তেজে নদ-নদীর পানি কমে যাবার সাথে সাথে শুকিয়ে যেতে থাকে ডুবে থাকা ক্ষেতনালা। পানি শুকিয়ে গেলেও এসব স্থানে আটকা পড়ে নানা দেশীয় মাছ। আর সে সময় কাদা পানিতে নেমে হাত দিয়ে মাছ শিকার করতো গ্রামের মানুষ।
ফরিদগঞ্জ উপজেলায় নদী, খাল বিল ও ছোট ছোট ডোবার আয়তন কালের বিবর্তনে অনেকটাই ছোট হয়ে আসছে। পানি বৃদ্ধি পায় পুকুর-ডোবা আর খাল-বিলের। ডুবে যায় ধানি জমি আর নিচু জমি। পানির সাথে সেই জমিতে দেশীয় জাতের নানা মাছের আগমন ঘটে। একসময় খাল-বিল, পুকুর-ডোবা আর ক্ষেত-খলা শুকিয়ে এলে থালা-বাটি দিয়ে চলে সামান্য পানি সেঁচার কাজ। আর পুকুর-ডোবার পানি সেঁচা হয় পাম্প মেশিন দিয়ে। এরপর চলে মাছ ধরার উৎসব। রীতিমতো আনন্দ-উল্লাস করে লোকজন পুকুর-ডোবা, খাল-বিলের শূন্য পানির কাদার ভেতরে হাত ঢুকিয়ে তুলে আনে একের পর এক মাছ। সেঁচ দেয়া পুকুরে চাষ করা মাছের পাশাপাশি পাওয়া যায় দেশীয় প্রজাতির বিভিন্ন মাছ। আর ডোবায় মিলে শোল, টাকি, পুঁটি, খলসে, কৈ, মাগুর, শিং, ট্যাংরাসহ দেশীয় প্রজাতির বিভিন্ন মাছ। বুধবার (৯ ফেব্রুয়ারি) সকালে গাজীপুর চরবসন্ত এলাকায় দেখা যায় এ মাছ ধরার উৎসব।
স্থানীয়রা জানান, প্রতি বছর বর্ষাকাল শেষ হলে পানি কমে গেলে এ এলাকার নিচু জমিগুলোতে এমন মাছ ধরার উৎসব চলে। সেই উৎসবে মাছ ধরায় মেতে উঠে নারী-পুরুষ, ছেলে-বুড়ো সবাই। কাদা পানিতে নেমে কে কতো বেশি মাছ ধরতে পারে-এ নিয়ে চলে অলিখিত প্রতিযোগিতা।