বৃহস্পতিবার, ০৭ নভেম্বর, ২০২৪  |   ২৩ °সে
আজকের পত্রিকা জাতীয়আন্তর্জাতিকরাজনীতিখেলাধুলাবিনোদনঅর্থনীতিশিক্ষাস্বাস্থ্যসারাদেশ ফিচার সম্পাদকীয়
ব্রেকিং নিউজ
  •   জাতীয় বিপ্লব ও সংহতি দিবস আজ
  •   চাঁদপুর সদরের শাহমাহমুদপুর ইউনিয়নের মান্দারি লোহাগড় গ্রামে দুটি পুকুরে বিষ দিয়ে ১৫ লাখ টাকার মাছ নিধন
  •   গৃহবধূ আসমার খুনিদের বিচারের দাবিতে ফরিদগঞ্জে বিক্ষোভ ও মানববন্ধন
  •   কচুয়া উপজেলা স্বাস্থ্য কর্মকর্তার বিরুদ্ধে স্বাস্থ্য অধিদপ্তরে অভিযোগ
  •   হাজীগঞ্জের সন্তান অতিরিক্ত ডিআইজি জোবায়েদুর রহমানের ইন্তেকাল

প্রকাশ : ১১ ফেব্রুয়ারি ২০২২, ০০:০০

ইব্রাহিমপুর চরে কৃষি জমি নষ্ট করে বিক্রি হচ্ছে মাটি
স্টাফ রিপোর্টার ॥

চাঁদপুর সদর উপজেলার ১১নং ইব্রাহিমপুর ইউনিয়নের মেঘনা নদীবেষ্টিত চরে ভেকু-সন্ত্রাস চলছে। একটি প্রভাবশালী চক্র সরকারি এই খাস সম্পত্তির কৃষি জমি নষ্ট করে নির্বিচারে মাটি বিক্রি করছে। ৪/৫টি ভেকু মেশিন দিয়ে মাছের ঝিল করার নাম করে কৃষি জমির মাটি কেটে বিক্রি করা হচ্ছে। চলতি শীত মৌসুমে প্রায় কয়েক কোটি টাকার মাটি বিক্রি করা হয় বলে স্থানীয় সূত্রে জানা যায়।

জানা যায়, ইব্রাহিমপুর ইউনিয়নের এই চরে রহমান তালুকদার ও মন্তা তালুকদারের ছেলে মুন্না সরকার দলীয় নেতাদের নাম ভাঙ্গিয়ে দীর্ঘদিন যাবত কৃষি জমি বিনাশ করে মাটি বিক্রি করে বিপুল পরিমাণ অর্থ কামিয়ে নিচ্ছে। বিনা বাধায় এ অবৈধ কার্যক্রম চলে আসলেও দেখার যেনো কেউ নেই। উপজেলা প্রশাসনও নিশ্চুপ। এ ব্যাপারে স্থানীয় কৃষকদের মাঝে চরম ক্ষোভ বিরাজ করছে।

ইব্রাহিমপুর ইউনিয়নের ৪নং শিটে প্রায় ৬০ একর সরকারি খাস জমি রয়েছে। আলুবাজারের বিপরীত হিন্দুলিয়া মৌজার পাশে ইব্রাহিমপুর চরের বিস্তীর্ণ এ কৃষি জমি ধ্বংস করা হচ্ছে।

জানা যায়, স্থানীয়রা ঝোঁপ-জঙ্গল পরিষ্কার করে কৃষি পণ্যের আবাদ করতো। এই জমিগুলোতে মানুষ স্থানীয়ভাবে ধান, সয়াবিন, সরিষা ও মরিচের আবাদ করে জীবন বাঁচাতো। এখানে বারো মাসই সাধারণত কৃষকরা ফসল করতে পারতো। কিন্তু সরকারি খাস জমি হওয়াতে দুর্বৃত্তদের দৃষ্টি পড়ে টাকা কামানোর ধান্ধায়। শহরে বসবাস করে এমন কিছু লোক সরকার দলের প্রভাব খাটিয়ে নিরীহ মানুষের উপর প্রভাব বিস্তার করে ভেকু দিয়ে মাটি কেটে বিক্রি করে আসছে। এজন্যে তারা কৌশলের আশ্রয় নেয়। প্রশাসন ও জনপ্রতিনিধিদের কাছে মাছের ঝিল করার কথা বলে বিপুল পরিমাণ কৃষি জমি বিনাশ করে ফেলছে। নিরীহ কৃষকরা দুর্বৃত্তদের হামলার শিকার হতে পারে এজন্যে তারা কিছুই বলার সাহস পাচ্ছে না।

ঝিলের নামে কিছুই হয় না, বালুচরে মানুষের কৃষি জমিগুলো নষ্ট করে ফেলছে। জনগুরুত্বপূর্ণ এ বিষয়টির প্রতি প্রশাসন ও কৃষি বিভাগের হস্তক্ষেপ কামনা করেছেন এলাকার সচেতন মহল।

  • সর্বশেষ
  • পাঠক প্রিয়