মঙ্গলবার, ২১ জানুয়ারি, ২০২৫  |   ২১ °সে
আজকের পত্রিকা জাতীয়আন্তর্জাতিকরাজনীতিখেলাধুলাবিনোদনঅর্থনীতিশিক্ষাস্বাস্থ্যসারাদেশ ফিচার সম্পাদকীয়
ব্রেকিং নিউজ
  •   কুমিল্লা সীমান্তে পুকুরে দেয়াল নির্মাণ করছে বিএসএফ, সতর্ক অবস্থানে বিজিবি
  •   টিউলিপ সিদ্দিকের পদত্যাগের দাবির মধ্যে নতুন বিতর্ক
  •   স্বামী বিবেকানন্দের জন্মদিনে হাজীগঞ্জ রামকৃষ্ণ সেবাশ্রমের শীতকালীন ত্রাণসেবা
  •   খালেদা জিয়ার স্বাস্থ্য স্থিতিশীল, করা হবে বিশেষ কিছু পরীক্ষা
  •   সীমান্তে অস্থিরতা: পাগল বেশে ভারত থেকে বাংলাদেশে প্রবেশ কারা?

প্রকাশ : ১০ ফেব্রুয়ারি ২০২২, ০০:০০

ফরিদগঞ্জে মুক্তিযোদ্ধা কমপ্লেক্স অফিসের ইলেকট্রনিক্স সামগ্রী হস্তান্তর বন্ধ
এমকে মানিক পাঠান ॥

ফরিদগঞ্জ উপজেলা মুক্তিযোদ্ধা কমপ্লেক্সে অফিসের জন্য প্রায় ২ লাখ টাকার ইলেকট্রনিক্স সামগ্রী ২ বছর যাবৎ প্যাকেটবন্দী হয়ে পড়ে আছে উপজেলা প্রকৌশল অফিসে। শুধু তা-ই নয়, ওই অফিসে ১২টি দোকান ভাড়া দেয়া, নৈশ প্রহরীসহ ৩জন লোকের নিয়োগ প্রক্রিয়াও বন্ধ রয়েছে গত প্রায় ৩ বছর। আধিপত্য বিস্তারকে কেন্দ্র করে সরকার দলীয় দু গ্রুপের পরস্পর বিরোধী দ্বন্দ্বের কারণে মুক্তিযোদ্ধাদের স্বার্থে ওইসব মালামাল হস্তান্তর প্রক্রিয়া বন্ধ রয়েছে বলে নিশ্চিত হওয়া গেছে।

খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, প্রায় সাড়ে তিন বছর পূর্বে ওই কমপ্লেক্সটি উদ্বোধন করা হলেও ফরিদগঞ্জের ভাতা প্রাপ্ত প্রায় ৮শতাধিক মুক্তিযোদ্ধার স্বার্থে বিভিন্ন কার্যক্রম চালাতে নানা বাধার মুখে পড়ছে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ। নৈশ প্রহরী না থাকায় রাতে কমপ্লেক্স ভবনের পাশে মাদকসেবীদের আড্ডা বসে। রাতে কে বা কারা কয়েকটি জানালার কাচ ভেঙ্গে ফেলেছে। এক রকম অরক্ষিত অবস্থায় দায়সারাভাবে গত ৩ বছর ধরে মুক্তিযোদ্ধা কমপ্লেক্সের কার্যক্রম চলছে।

গতকাল বুধবার উপজেলা প্রকৌশলীর অফিস কক্ষে গিয়ে দেখা যায়, অফিসটির কক্ষের এক কোণায় মুক্তিযোদ্ধা কমপ্লেক্সের ইলেকট্রনিক্স সামগ্রী, নূতন কম্পিউটার, এলইডি টিভি ও প্রিন্টারসহ যাবতীয় ইলেকট্রনিক্স সামগ্রী প্যাকেট বন্দী পড়ে আছে।

তথ্যানুসন্ধানে জানা গেছে, সরকারের বরাদ্দকৃত ২ কোটি ৪ লাখ টাকা ব্যয়ে উপজেলা সদর এলাকায় ব্যাসস্ট্যান্ডের পাশে চারতলা বিশিষ্ট ফরিদগঞ্জ উপজেলা কমপ্লেক্স ভবন নির্মাণের কাজ সম্পন্ন হয়। ভবনটি নির্মাণের পর পর ২০১৮ সালের ১ এপ্রিল প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ভার্চুয়াল অনুষ্ঠানের মাধ্যমে আনুষ্ঠানিকভাবে ভবনটি উদ্বোধন করেন।

প্রাপ্ত তথ্য মতে, মুক্তিযোদ্ধা বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের স্মারক সম্বলিত এক নির্দেশের বলে ফরিদগঞ্জের ইউএনও শিউলী হরি গেল বছরের ৮ মার্চ উক্ত ভবনটি রক্ষণাবেক্ষণ ও পরিচালনার জন্য ৫ সদস্য বিশিষ্ট একটি আহ্বায়ক কমিটি গঠন করে। এই ৫ সদস্য হলেন যথাক্রমে উপজেলা নির্বাহী অফিসার, উপজেলা প্রকৌশলী, ২০১০ ও ২০১৪ সালের নির্বাচিত উপজেলা কমান্ডার মোঃ সহিদুল্লা তফাদার, ২০১৪ সালের নির্বাচিত ডেপুটি কমান্ডার মোঃ সরোয়ার হোসেন ও উপজেলা সমাজসেবা অফিসার।

তবে একটি সূত্র জানায়, আধিপত্য বিস্তারকে কেন্দ্র করে সরকার দলীয় দুটি পরস্পর বিরোধী গ্রুপের আন্তঃকোন্দল ও দ্বন্দ্বের কারণে উপজেলা প্রশাসন মুক্তিযোদ্ধা কমপ্লেক্স ভবনের মালামাল হস্তান্তর ও লোক নিয়োগ প্রক্রিয়া বন্ধ রাখতে বাধ্য হয়েছে।

উপজেলা মুক্তিযোদ্ধা কমপ্লেক্স ভবন রক্ষণাবেক্ষণ ও পরিচালনা কমিটির এক সদস্য সাবেক কমান্ডার মোঃ সহিদুল্লা তফাদার বলেন, আনুষ্ঠানিকভাবে উক্ত ভবনটি সরকারিভাবে হস্তান্তর করতে না পারায় মূলত এখন মুক্তিযোদ্ধা ও এ ভবনের স্বার্থে যাবতীয় কার্যক্রম চালাতে হিমশিম খেতে হচ্ছে। তিনি আরো বলেন, ভবনটি হস্তান্তর না হওয়ায় এই ভবনের জন্য নৈশ প্রহরীসহ ৩ জন লোকের নিয়োগ ও ভবনটির জন্য বরাদ্দ হওয়া একটি কম্পিউটার, প্রিন্টার মেশিন ও একটি এলইডি টেলিভিশন দীর্ঘদিন যাবৎ প্যাকেট বন্দী হয়ে পড়ে আছে উপজেলা প্রকৌশলী অফিসে।

এ নিয়ে ফরিদগঞ্জ উপজেলা প্রকৌশলী মোহাম্মদ আবরার আহাম্মদ গতকাল বুধবার তার কার্যালয়ে বলেন, মুক্তিযোদ্ধা কমপ্লেক্স ভবনের জন্য সরকারিভাবে বরাদ্দ হওয়া প্রায় ২ লাখ টাকার ইলেকট্রনিক্স সামগ্রী গত ২ বছর ধরে প্যাকেট বন্দী পড়ে আছে আমার অফিস কক্ষে। কিন্তু যথাযথ প্রক্রিয়ায় সরকারি নির্দেশনা না পাওয়ায় ইচ্ছে থাকা সত্ত্বেও মুক্তিযোদ্ধাদের স্বার্থে ওইসব সামগ্রী হস্তান্তর করতে পারছি না।

  • সর্বশেষ
  • পাঠক প্রিয়