প্রকাশ : ০৫ ডিসেম্বর ২০২১, ০০:০০
ওয়াকওয়ে পাল্টে দিতে পারে শাহরাস্তির দৃশ্যপট
তিন লক্ষাধিক মানুষের বসবাস শাহরাস্তি উপজেলায়। হযরত শাহরাস্তি বোগদাদী (রঃ)-এর নামে এই উপজেলার নামকরণ করা হয়। এই উপজেলার আরেকটি ঐতিহ্যবাহী স্থান মেহের কালীবাড়ি। শিক্ষার হারে এগিয়ে থাকা এ উপজেলার জনগণের জন্যে নেই কোনো বিনোদন ব্যবস্থা। এই অভাবটুকুর কথা চিন্তা করে ব্যক্তি উদ্যোগে মাঝে মধ্যে কিছু বিনোদন কেন্দ্র গড়ে উঠার প্রয়াস দেখা গেলেও কোনোটিই সফলতার মুখ দেখেনি। বিগত দু’বছর ধরে শাহরাস্তি উপজেলার ডাকাতিয়া নদীর পাড়ে (ছিখটিয়ায়) দুটি কফি হাউসসহ বিনোদন কেন্দ্র গড়ে উঠলেও মানুষের মাঝে রয়েছে নানা অভিযোগ। সম্প্রতি শাহরাস্তি উপজেলাসহ নোয়াখালী, লক্ষ্মীপুর জেলার কিছু আঞ্চলের জনগণের মাঝে এই জায়গাটি বিনোদনের কেন্দ্রবিন্দুতে পরিণত হয়েছে। এই জায়গাতেই তৈরি করা হচ্ছে ওয়াকওয়ে। ডাকাতিয়া নদীর উত্তর পাড়ে ছিখটিয়া ব্রিজ হতে সূচিপাড়া ব্রিজ পর্যন্ত দুই কিলোমিটার এলাকাজুড়ে ওয়াকওয়ে নির্মাণ কাজ শুরু করা হয়েছে। প্রায় ৪২ কোটি টাকার এই প্রকল্প বাস্তবায়নের লক্ষ্যে ইতিমধ্যে জমি অধিগ্রহণ করা হয়েছে।
|আরো খবর
জানা যায়, প্রকল্প বাস্তবায়নের লক্ষ্যে ১৩ একর জমি অধিগ্রহণ করা হয়। মাত্র ৯ মাসে অতি দ্রুত সময়ের মধ্যে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের আন্তরিক প্রচেষ্টায় জমি অধিগ্রহণ করা সম্ভব হয়েছে। আগামী একবছরের মধ্যে এই প্রকল্প আলোর মুখ দেখবে বলে আশা করা হচ্ছে। ওয়াকওয়ে বাস্তবায়নের রূপকার মহান মুক্তিযুদ্ধের ১নং সেক্টর কমান্ডার শাহরাস্তি-হাজীগঞ্জ উপজেলার অভিভাবক মেজর (অবঃ) রফিকুল ইসলাম বীর উত্তম। এ প্রকল্পের ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন করতে এসে নিজের অভিপ্রায় ব্যক্ত করতে গিয়ে আবেগাপ্লুত হয়ে পড়েন তিনি। এ সময় তিনি বলেন, বেঁচে থাকলে এখানে এসে সময় পার করবেন তিনি। ওয়াকওয়ে দেখে যাওয়ার জন্যে সবাইকে আমন্ত্রণও জানান তিনি। মনোরম পরিবেশে কর্মব্যস্ত জীবনের কিছুটা সময় পার করে প্রশান্তি পাওয়া যাবে ওয়াকওয়েতে। থাকবে পায়ে হাঁটার পথ, রেস্টুরেন্ট, বসার স্থান। বিনোদনের জন্য থাকবে আকর্ষণীয় অনেক কিছু। পর্যাপ্ত নিরাপত্তা নিশ্চিত করা হবে। দু’পাশে গড়ে উঠবে বাণিজ্যিক প্রতিষ্ঠান।
বিভিন্ন সূত্রে জানা গেছে, এটি হবে নদীর পাড়ে বাংলাদেশের দ্বিতীয় ওয়াকওয়ে। শাহরাস্তি উপজেলার উন্নয়নের দৃশ্যপট পাল্টে দিবে এই ওয়াকওয়ে।