প্রকাশ : ০৫ ডিসেম্বর ২০২১, ০০:০০
গত শুক্রবার দুপুরে চাঁদপুর-কুমিল্লা আঞ্চলিক মহাসড়কের হাজীগঞ্জ পৌরসভাধীন ধেররা এলাকায় বাসের চাকায় পিষ্ট হয়ে নিহত তিন মোটরসাইকেল আরোহীর দাফন সম্পন্ন হয়েছে। এর আগে শনিবার দুপুরে চাঁদপুর সরকারি জেনারেল হাসপাতালে সকলের ময়না তদন্ত শেষে বিকেলে হাজীগঞ্জ থানা পুলিশ নিহতের পরিবারের কাছে লাশ হস্তান্তর করে। বিকেলে হাজীগঞ্জ থেকে কুমিল্লার চান্দিনা পৌর এলাকার ১নং ওয়ার্ডে নিহতদের লাশ নিয়ে যায় তাদের স্বজনরা। এ সময় এলাকার হাজার হাজার নারী-পুরুষ নিহতদের একনজর দেখার জন্য ভিড় জমায়। শুক্রবার দুপুরে একই এলাকার তিন যুবক নিহতের খবরে ঐ এলাকায় শোকের ছায়া নেমে আসে।
এদিকে রাতেই নিহত সবাইকে ঐ ওয়ার্ডের বেলাশ^র গ্রামে তাদের স্ব স্ব পারিবারিক করবস্থানে দাফন করা হয়। এদিকে এ ঘটনায় নিহত যুবকদের মধ্যে সুজনের মামা খোরশেদ আলম বাদী হয়ে হাজীগঞ্জ থানায় সড়ক পরিবহণ আইনের ২৯৭/৩০৪খ/৪২৭ ধারায় মামলা দায়ের করেন। এই মামলায় পুলিশ ইতিমধ্যে বোগদাদ পরিবহনের ঘাতক বাসের চালক আব্দুর রাজ্জাক (২৫)কে আটক করেছে। আব্দুর রাজ্জাক কুমিল্লার বরুড়া উপজেলার হালগাঁও গ্রামের মনির হোসেনের ছেলে। এই মামলার অন্য আসামীরা হলেন বাসের হেলপার (সহকারী চালক) রিপন (৩০)। রিপনের ঠিকানা অজ্ঞাত। মামলার বাদী খোরশেদ আলম চান্দিনা পৌর এলাকার বেলাশ^র গ্রামের মৃত জালাল উদ্দিনের ছেলে।
এই মামলায় সাক্ষী করা হয়েছে দুর্ঘটনায় বেঁচে যাওয়া অপর এক মোটরসাইকেলের তিন আরোহী বেলাশ^র গ্রামের জুনাব আলীর ছেলে রবিউল ইসলাম (৩৩), আইয়ুব আলীর ছেলে রাহিম (২৪) ও শাহ আলমের ছেলে মোঃ আকাশ (২৮)। রবিউল ও আকাশ জানান, তারা মূলত এদিন চান্দিনা থেকে বরুড়া হয়ে চাঁদপুর জেলার মতলবের মোহনপুর পর্যটন কেন্দ্রে ঘুরতে আসার পথে এই দুর্ঘটনা ঘটে।
এ বিষয়ে হাজীগঞ্জ থানার উপ-পরিদর্শক ও মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা জয়নাল আবেদিন জানান, শনিবার বিকেলে নিহতদের লাশ তাদের পরিবারের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে। বাসের পলাতক হেলপারকে আটক করার জন্য আমাদের অভিযান অব্যাহত রয়েছে।
উল্লেখ্য, গত শুক্রবার দুপুরে হাজীগঞ্জ পৌরসভাধীন ধেররা এলাকায় বোগদাদ পরিবহনের বাস (যার নং ঢাকা মেট্রো-ব ১৫-১৬৪৫) অন্য একটি গাড়িকে ওভারটেক করতে গিয়ে রং সাইডে এসে পড়ে। এ সময় বিপরীত দিক থেকে চাঁদপুরগামী তিন যুবক বহনকারী মোটরসাইকেল (ঢাকা মেট্রো ল- ১৭-৫২৭৪) বাসের নিচে পিষ্ট হয়। এ সময় বাসের চাকায় পিষ্ট হয়ে কুমিল্লার চান্দিনা পৌরসভাধীন ১নং ওয়ার্ডের বেলাশ^র গ্রামের হাজী বাড়ির মজনু মিয়ার ছেলে সুজন (২২), তাজুল ইসলামের ছেলে সোহাগ (২৮) ও একই গ্রামের মৃধা বাড়ির আব্দুল কাদেরের ছেলে মনির হোসেন (৩৭) ঘটনাস্থলেই প্রাণ হারান।