সোমবার, ১৩ জানুয়ারি, ২০২৫  |   ১৭ °সে
আজকের পত্রিকা জাতীয়আন্তর্জাতিকরাজনীতিখেলাধুলাবিনোদনঅর্থনীতিশিক্ষাস্বাস্থ্যসারাদেশ ফিচার সম্পাদকীয়
ব্রেকিং নিউজ
  •   ফরিদগঞ্জের লক্ষ্মীপুরে কিশোর গ্যাংয়ের হামলায় গুরুতর আহত ৩ : এলাকায় আতঙ্ক
  •   শিক্ষা খাতে নজিরবিহীন রদবদল: একযোগে চার বোর্ড চেয়ারম্যানকে ওএসডি
  •   মধ্যরাতের আতঙ্ক
  •   চীনা সেনাদের ভারতের অরুণাচলে অনুপ্রবেশ: বিতর্কিত অঞ্চল নিয়ে উত্তেজনা তুঙ্গে
  •   আপনার টাকা কোথায় গেল?

প্রকাশ : ৩০ নভেম্বর ২০২১, ০০:০০

মাছের ফেরিওয়ালা সজিব বিবিএস শিক্ষার্থী!
কামরুজ্জামান টুটুল ॥

সারা সকালে এলাকায় মাছ ফেরি করে যা আয় হয় সেই টাকা দিয়ে কোনো রকমে চলছে পড়ালেখা আর সংসার। মা তুলশী রাণী গত হয়েছেন বহু আগে। ঘরে অসুস্থ প্রৌঢ় বাবা। সংসারের হাল সজিবের হাতে। জীবন যুদ্ধে এমন কঠিন সময় পার করার মধ্য দিয়ে ইতিমধ্যে পার করেছেন এইচএসসির গণ্ডি। এখন পড়ছেন বিবিএসে। সরকারি কোনো পদে অফিসার হওয়ার ইচ্ছে তার। সজিব দাস হাজীগঞ্জ উপজেলার ৯নং গন্ধর্ব্যপুর উত্তর ইউনিয়নের গন্ধর্ব্যপুর গ্রামের রাধেশ্যাম চন্দ্র দাসের ছেলে। ২ ভাই ২ বোনের মধ্যে তিনি সবার ছোট।

সজিবের সাথে কথা বলে জানা যায়, ২০১৮ সালে এসএসসি পাস করেছেন, ২০২০ সালে এইচএসসি পাস করে এখন শাহরাস্তি উপজেলার মেহের ডিগ্রি কলেজে বিবিএস-এর ছাত্র তিনি।

প্রতিদিন সকাল বেলা স্থানীয় আড়ত থেকে পাইকারী মাছ কিনে বাড়ি বাড়ি ফেরি করে বিক্রি করছেন বহুদিন। মাছ ধরা ও বিক্রি তার পারিবারিক পেশা থাকলেও পড়ালেখা ও সংসারের হাল ধরা সজিব নিজেই মাছ ফেরি করার কাজ শুরু করেন। মাছ বিক্রি করে বাড়ি ফিরে গোসল সেরে কলেজে যেতে হয় তাকে। এটি রুটিন মাফিক কাজ সজিবের। মাছ বিক্রি করে প্রতিদিন তার প্রায় ৩শ’ টাকার মতো আয় হয়। তা দিয়ে কোনো রকমে চলছে সংসার। ইচ্ছে একটাই, পড়ালেখা শেষ করে সরকারি অফিসার হওয়া। সেই স্বপ্ন বাস্তবায়নে কাজের পাশাপাশি পড়ালেখা তার মূল উদ্দেশ্য।

সজিব দাস আরো জানান, এ পর্যন্ত তিনি সরকারি কোনো সহায়তা পাননি। কোনো হৃদয়বান ব্যক্তির সহযোগিতা পেলে তার নির্দিষ্ট লক্ষ্যে পৌঁছতে পারবে তিনি।

বাবা রাধেশ্যাম চন্দ্র দাস জানান, ছোটবেলা থেকে তার ইচ্ছা বড় অফিসার হবে। কিন্তু সামর্থ্য না থাকায় ভালো করে পড়াতে পারছি না। সে নিজের চেষ্টায় ডিগ্রি পর্যন্ত গিয়েছে। সরকারেরর বা যে কারো সহায়তা পেলে হয়তো লেখাপড়াটা ভালোভাবে শেষ করতে পারবে।

সজিবের সাবেক কলেজ কাঁকৈরতলা জনতা কলেজের অধ্যক্ষ মনিরুল হক পাটোয়ারী বলেন, সজিব আমাদের ছাত্র ছিলো। সে খুবই অসহায় এবং মেধাবী। আর্থিক অনটনের কারণে বেশিদূর এগুতে পারছে না। আমাদের কলেজে থাকতে যতটুকু সম্ভব সহায়তা করছি।

স্থানীয় গন্ধর্ব্যপুর ইউপি সদস্য ও প্যানেল চেয়ারম্যান ফিরোজ আহমদ হিরা চাঁদপুর কণ্ঠকে জানান, আমি জেনেছি সে কষ্ট করে লেখাপড়া করে। যতদূর সম্ভব সহায়তা করবো।

  • সর্বশেষ
  • পাঠক প্রিয়