সোমবার, ১৩ জানুয়ারি, ২০২৫  |   ১৭ °সে
আজকের পত্রিকা জাতীয়আন্তর্জাতিকরাজনীতিখেলাধুলাবিনোদনঅর্থনীতিশিক্ষাস্বাস্থ্যসারাদেশ ফিচার সম্পাদকীয়
ব্রেকিং নিউজ
  •   ফরিদগঞ্জের লক্ষ্মীপুরে কিশোর গ্যাংয়ের হামলায় গুরুতর আহত ৩ : এলাকায় আতঙ্ক
  •   শিক্ষা খাতে নজিরবিহীন রদবদল: একযোগে চার বোর্ড চেয়ারম্যানকে ওএসডি
  •   মধ্যরাতের আতঙ্ক
  •   চীনা সেনাদের ভারতের অরুণাচলে অনুপ্রবেশ: বিতর্কিত অঞ্চল নিয়ে উত্তেজনা তুঙ্গে
  •   আপনার টাকা কোথায় গেল?

প্রকাশ : ২৮ নভেম্বর ২০২১, ০০:০০

হাইমচর ইউনিয়নে নৌকার প্রার্থী জুলহাস সরকার রাজাকারের সন্তান!
মিজানুর রহমান ॥

চতুর্থ ধাপে চাঁদপুরের হাইমচর উপজেলার ৫নং হাইমচর ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনে বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের পক্ষ থেকে মনোনীত নৌকা মার্কার প্রার্থী মোঃ জুলফিকার আলী জুলহাস সরকারের পিতা ও চাচা চিহ্নিত রাজাকার এবং মুক্তিযুদ্ধকালীন সময়ে শান্তি কমিটির সদস্য ছিলেন বলে অভিযোগ উঠেছে।

উপজেলা মুক্তিযোদ্ধা সংসদ ইউনিটের কমান্ডার বীর মুক্তিযোদ্ধা সন্তোষ কুমার মজুমদার ও উপজেলা মুক্তিযোদ্ধা যাচাই বাছাই কমিটির আহ্বায়ক বীর মুক্তিযোদ্ধা মুকবুল সরকার নৌকার প্রার্থী জুলহাস সরকারের পিতা মোঃ জলিল সরকার ও চাচা মোঃ হামিদ সরকার রাজাকার ছিলেন বলে চিহ্নিত করেছেন।

গত ২৪ নভেম্বর হাইমচর ইউনিয়নে আওয়ামী লীগ থেকে নৌকার প্রার্থী মনোনীত করার পর বিষয়টি বীর মুক্তিযোদ্ধাদের নজরে আসে। এরপর ২৫ নভেম্বর হাইমচর মুক্তিযোদ্ধা সংসদ ইউনিটের কমান্ডার বীর মুক্তিযোদ্ধা সন্তোষ কুমার মজুমদার প্রধানমন্ত্রী ও আওয়ামী লীগ সভাপতি বরাবর রাজাকারের সন্তান নৌকা মার্কার প্রার্থী বিষয়টি অবগত করে লিখিত দরখাস্ত করেন। প্রধানমন্ত্রীর নিকট প্রেরিত দরখাস্তের কপি দেয়া হয় গণমাধ্যমে।

এই বিষয়ে হাইমচর উপজেলা মুক্তিযোদ্ধা যাচাই-বাছাই কমিটির আহ্বায়ক বীর মুক্তিযোদ্ধা মুকবুল সরকার বলেন, হাইমচর ইউনিয়নে নৌকা মার্কার মনোনীত প্রার্থী জুলহাস সরকারের চাচা হামিদ সরকার শান্তি কমিটির সভাপতি ছিলেন। যুদ্ধকালীন সময় চাঁদপুর শহরের মোলহেডে মুক্তিবাহিনী তাকে গুলি করে হত্যা করে। তার পিতা জলিল সরকার ছিলেন শান্তি কমিটির সদস্য। তৎকালীন সময়ের সকল লোক এই বিষয়ে জানেন। কিন্তু তারা যেহেতু মৃত্যুবরণ করেছেন, সেজন্যে তাদের বিষয়ে আলোচনা আসেনি। এখন রাজাকার ও স্বাধীনতা বিরোধী ব্যক্তির সন্তান নৌকার প্রার্থী হবে-এটি আমরা মুক্তিযোদ্ধা হিসেবে মেনে নিতে পারি না।

হাইমচর উপজেলা মুক্তিযোদ্ধা সংসদ কমান্ডারের প্রধানমন্ত্রী বরাবর প্রেরিত আবেদন থেকে জানা গেছে, জুলহাস সরকারের চাচা হামিদ সরকার শান্তি কমিটির চেয়ারম্যান ও তার পিতা সদস্য ছিলেন। হামিদ সরকার মুক্তিযোদ্ধাদের হাতে নিহত হন এবং তার পিতা জলিল সরকার চাঁদপুর শহরেই থাকতেন। দেশ স্বাধীন হওয়ার পর হাইমচর নিজ বাড়িতে এসে অসুস্থ হয়ে মারা যান। আমার জানা মতে, জলিল সরকার একজন রাজাকার ছিলেন।

প্রধানমন্ত্রী ও বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ সভাপতি শেখ হাসিনার নিকট হাইমচর উপজেলা মুক্তিযোদ্ধা সংসদ কমান্ডার সন্তোষ কুমার মজুমদার জুলহাস সরকারের বিষয়ে ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য আবেদন জানান।

অভিযোগের বিষয়ে নৌকা মার্কার প্রার্থী মোঃ জুলফিকার আলী জুলহাস সরকার গণমাধ্যমকে বলেন, আমার পিতা ও চাচা রাজাকার ছিলেন না। মুক্তিযুদ্ধকালীন সময়ে আমরা ক্ষতিগ্রস্ত পরিবার। তারা কোনো রাজনৈতিক দলের সদস্যও ছিলেন না। আমি নিজে গত ১২ বছর ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সভাপতি। আমার বড় ভাই ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান ছিলেন। এসব অভিযোগ মিথ্যা এবং ষড়যন্ত্র বলে আমি মনে করি।

  • সর্বশেষ
  • পাঠক প্রিয়