প্রকাশ : ১৭ নভেম্বর ২০২১, ০০:০০
আউটসোর্সিংয়ে নিয়োগপ্রাপ্ত পরিচ্ছন্ন কর্মীদের ওপর ঠিকাদার জুলুম করছেন : তত্ত্বাবধায়ক ডাঃ একেএম মাহবুবুর রহমান
আড়াইশ শয্যাবিশিষ্ট চাঁদপুর জেনারেল হাসপাতালে পরিচ্ছন্ন কর্মী এবং চতুর্থ শ্রেণির কর্মচারী নিয়োগ হয় আউটসোর্সিংয়ে ঠিকাদারের মাধ্যমে। তারা স্থায়ী নিয়োগপ্রাপ্ত কোনো কর্মচারী নয়। ঠিকাদারের ইচ্ছা এবং খেয়াল-খুশির ওপর নির্ভর করে তাদের চাকরি। আর এ সুযোগটিই ঠিকাদার সম্পূর্ণ অন্যায়ভাবে নিজের স্বার্থে কাজে লাগাচ্ছেন। ফলে ঠকছেন এবং প্রতারিত হচ্ছেন পরিচ্ছন্ন কর্মী এবং চতুর্থ শ্রেণির কর্মচারী। বলতে গেলে তাদের ওপর জুলুম করা হচ্ছে। তাদের একেকজনের বেতন ১৫ হাজার থেকে ১৬-১৭ হাজার টাকা করে। কিন্তু বাস্তবে তাদেরকে দেয়া হয় সর্বোচ্চ ৩ থেকে ৪ হাজার টাকা করে। বাকি টাকা ঠিকাদার নিয়ে যান। এটি যেনো দাস প্রথা। সে জন্যে চতুর্থ শ্রেণির কর্মচারী স্তরে এসে কাক্সিক্ষত সেবা পাওয়া যাচ্ছে না। এর একটি সমাধান করতে হবে। এতো বড় অনিয়ম কোনোভাবেই মেনে নেয়া যায় না।
|আরো খবর
তত্ত্বাবধায়ক ডাঃ একেএম মাহবুবুর রহমান এভাবেই হাসপাতালের আউটসোর্সিংয়ের মাধ্যমে চতুর্থ শ্রেণির কর্মচারী স্তরের কাজের অবস্থান তুলে ধরে এর প্রতিকার চেয়েছেন হাসপাতাল ব্যবস্থাপনা কমিটির সভাপতি শিক্ষামন্ত্রী ডাঃ দীপু মনিসহ কমিটির সদস্যদের কাছে। তিনি গতকাল মঙ্গলবার অনুষ্ঠিত হাসপাতাল ব্যবস্থাপনা কমিটির সভায় বিষয়টি তুলে ধরেন। এরপর এ বিষয়ে বিস্তারিত আলোচনা হয়। সিদ্ধান্ত হয়, ঠিকাদারকে নিয়ে বসা হবে, তার সাথে এ বিষয়ে কথা বলা হবে। তিনি কত নিবেন আর কর্মচারীদের কত দিবেন তা ঠিক করে দেয়া হবে। অন্যথায় তার লাইসেন্স বাতিল করা হবে।