প্রকাশ : ০৯ নভেম্বর ২০২১, ০০:০০
চাঁদপুর সদর উপজেলার বালিয়া ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনে দ্বিমুখী লড়াই হওয়ার কথা শোনা যাচ্ছে। নির্বাচনকে কেন্দ্র করে ইউনিয়ন জুড়ে সকল চেয়ারম্যান প্রার্থীর পোস্টার ও ব্যানারে সুসজ্জিত হয়ে গেছে। আনারস মার্কার চেয়ারম্যান প্রার্থী কর্মী ও এজেন্টবিহীন নির্বাচন করছেন।
এ ইউনিয়নে চেয়ারম্যান পদে ৫ জন প্রার্থী প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন। প্রার্থীরা হচ্ছেন : রফিকুল্যা পাটোয়ারী (নৌকা), বীর মুক্তিযোদ্ধা হাফিজুর রহমান হাফেজ ঢালী (টেলিফোন), মুহাম্মদ জাহাঙ্গীর হোসেন তপাদার (আনারস), গাজী মোঃ মাসুদ রায়হান (চশমা) ও মাওঃ নুরুদ্দিন (হাতপাখা)
সকল প্রার্থীই ভোটের জন্যে মাঠে নেমে পড়েছেন। কেউ কাউকে ছাড় দিতে রাজি নন। প্রত্যেক প্রার্থীই চেয়ারম্যান হওয়ার ব্যাপারে আশাবাদ ব্যক্ত করেছেন। তবে নৌকা মার্কার প্রার্থী ও টেলিফোনের সাথে লড়াই হবে হাড্ডাহাড্ডি। টেলিফোনের প্রার্থী সাবেক চেয়ারম্যান, সে হিসেবে তার কিছু ভোট রয়েছে। অন্য প্রার্থীদের মধ্যে আনারস মার্কার প্রার্থী কিছুটা এগিয়ে রয়েছে। তার পরের অবস্থানে রয়েছে চশমা। হাত পাখার নাম নেই বললেই চলে।
নৌকা মার্কার প্রার্থী রফিকুল্যা বলেন, আমি একজন শিক্ষক। দল আমাকে নৌকা মার্কায় মনোনীত করায় আমি চেয়ারম্যান পদে প্রার্থী হয়েছি। আমি সুষ্ঠু নির্বাচন চাই। আমার ইউনিয়নে রাজনৈতিক প্রতিহিংসা নেই। আমি নির্বাচিত হলে মাদক, বাল্য বিয়ে, দারিদ্র্য মুক্ত আধুনিক ইউনিয়ন গড়বো।
টেলিফোন মার্কার প্রার্থী, মুক্তিযোদ্ধা হাফেজ ঢালী বলেন, আমি নির্বাচিত হলে শান্ত সুন্দর সমৃদ্ধ আধুনিকতার ছোঁয়ায় নান্দনিক ইউনিয়ন গড়বো। ১৯৭৫ সালে ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান হিসেবে দায়িত্ব পালন করি। ২০১১ সালে মূল্যবান ভোটে নির্বাচিত হয়ে সেবা ও উন্নয়নমূলক কাজ করার সর্বাত্মক চেষ্টা করেছি। কোনো প্রকার দুর্নীতির সাথে জড়িত হইনি এবং দুর্নীতিমুক্ত পরিষদ গড়ার আপ্রাণ চেষ্টা করি। আমি নির্বাচিত হলে রাস্তা পাকাকরণ, আধাপাকা রাস্তাগুলো সংস্কার ও জনগণের চাওয়া পাওয়া পূরণে সর্বাত্মক চেষ্টা করবো। মাদকমুক্ত ইউনিয়ন গড়বো। আমি সুষ্ঠু নির্বাচন চাই।
আনারস মার্কার প্রার্থী মুহাম্মদ জাহাঙ্গীর হোসেন তপাদার বলেন, আমি চেয়ারম্যান নির্বাচিত হলে মাদক, বাল্যবিবাহ, সন্ত্রাস ও দুর্নীতিমুক্ত মডেল ইউনিয়ন প্রতিষ্ঠা করবো। আমি কর্মীবিহীন নির্বাচন করছি। আমার মূল হাতিয়ার হচ্ছে ভোটার। সুষ্ঠু নির্বাচন হলে আমার বিজয় নিশ্চিত ইনশাল্লাহ।
অন্য ২ জন প্রার্থীর সাথে মোবাইল ফোনে যোগাযোগ করলেও তাদেরকে পাওয়া যায়নি। ইউনিয়ন ঘুরে দেখা যায়, ইউনিয়ন জুড়ে নির্বাচনী হাওয়া বইছে। রাস্তাঘাট, দোকান ও বাজার জুড়ে কানায় কানায় পোস্টারে পোস্টারে ছেয়ে গেছে। চায়ের দোকানগুলোতে নির্বাচনী আলাপ-আলোচনা চলছে। আর কিছু কিছু স্থানে ভোটাররা চা-পান খাওয়ায় ব্যস্ত রয়েছে এবং নির্বাচনী আলাপ-আলোচনা করছে।