রবিবার, ১২ জানুয়ারি, ২০২৫  |   ১৫ °সে
আজকের পত্রিকা জাতীয়আন্তর্জাতিকরাজনীতিখেলাধুলাবিনোদনঅর্থনীতিশিক্ষাস্বাস্থ্যসারাদেশ ফিচার সম্পাদকীয়
ব্রেকিং নিউজ
  •   ফরিদগঞ্জের লক্ষ্মীপুরে কিশোর গ্যাংয়ের হামলায় গুরুতর আহত ৩ : এলাকায় আতঙ্ক
  •   শিক্ষা খাতে নজিরবিহীন রদবদল: একযোগে চার বোর্ড চেয়ারম্যানকে ওএসডি
  •   মধ্যরাতের আতঙ্ক
  •   চীনা সেনাদের ভারতের অরুণাচলে অনুপ্রবেশ: বিতর্কিত অঞ্চল নিয়ে উত্তেজনা তুঙ্গে
  •   আপনার টাকা কোথায় গেল?

প্রকাশ : ০৩ নভেম্বর ২০২১, ০০:০০

আশিকাটি ইউপি নির্বাচনে ভোটারদের মাঝে শঙ্কা

চেয়ারম্যান প্রার্থী হয়েছেন দুই মাস্টারসহ ৩ জন

আশিকাটি ইউপি নির্বাচনে ভোটারদের মাঝে শঙ্কা
হাছান খান মিসু ॥

সারাদেশে আগামী ১১ নভেম্বর অনুষ্ঠিত হতে যাচ্ছে দ্বিতীয় ধাপে ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচন। চাঁদপুর সদর উপজেলার ১০টি ইউনিয়নে এ ধাপে নির্বাচন অনুষ্ঠিত হতে যাচ্ছে। সদর উপজেলার ২নং আশিকাটি ইউনিয়নও রয়েছে এ তালিকায়। নির্বাচনকে ঘিরে ব্যস্ত সময় পার করছেন প্রার্থীরা। চষে বেড়াচ্ছেন ভোটারদের দ্বারে দ্বারে। তাই সর্বত্র বিরাজ করছে নির্বাচনী আমেজ। তবে ভোটারদের মাঝে শঙ্কাও রয়েছে। তারা ভোটাধিকার প্রয়োগ করতে পারবেন কি? তবে উক্ত ইউনিয়নের নতুন ভোটারদের নির্বাচন নিয়ে বেশ উৎফুল্ল থাকতে দেখা গেছে। তরুণ ভোটাররাই প্রচার-প্রচারণায় অংশ নিচ্ছেন ও প্রার্থীদের হয়ে কাজ করছেন।

আশিকাটি ইউনিয়ন পরিষদে চেয়াম্যান পদে শেষ পর্যন্ত প্রার্থী হয়েছেন ২ মাস্টারসহ ৩ জন। এর মধ্যে দলীয় প্রতীকে নির্বাচন করছেন আওয়ামী লীগের নৌকা প্রতীকে বর্তমান চেয়ারম্যান মোঃ বিল্লাল হোসেন মাস্টার, ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ থেকে হাতপাখা প্রতীকে মোঃ মাসুদ গাজী ও স্বতন্ত্র প্রার্থী চশমা প্রতীকে সাবেক চেয়ারম্যান মোঃ দেলোয়ার হোসেন মাস্টার।

আসন্ন নির্বাচনকে কেন্দ্র করে কথা হয় ইউনিয়নের ভোটারদের সাথে। তারা জানায়, নির্বাচনে মূলত প্রতিদ্বন্দ্বিতা হবে দুই মাস্টারের মধ্যে। দুজনই বিগত সময়ে চেয়ারম্যান হিসেবে দায়িত্ব পালন করেছেন। দুজনেই অভিজ্ঞ ও জনপ্রিয়তার শীর্ষে রয়েছেন বলে ভোটাররা অভিমত ব্যক্ত করেন।

নির্বাচনী হালচাল নিয়ে কথা হয় বর্তমান চেয়ারম্যান মোঃ বিল্লাল হোসেন মাস্টারের সাথে। বিগত নির্বাচনে তিনি আওয়ামী লীগ মনোনীত প্রার্থী হিসেবে নৌকা প্রতীকে নির্বাচন করেছেন। এবারও তিনি আওয়ামী লীগের নৌকা প্রতীক পেয়েছেন। তিনি জানান, গত নির্বাচনে জয়ী হয়ে সরকারের ডিজিটাল বাংলাদেশ গড়ার লক্ষ্যে কাজ করে গেছেন। ইউনিয়ন পরিষদকে ডিজিটালাইজেশন করেছেন। গত নির্বাচনে বিজয়ী হয়ে ঘোষিত নির্বাচনী ইশতেহারের ৯০ ভাগ কার্যাদি সম্পন্ন করেছেন বলে তিনি জানান। নির্বাচনের প্রথমদিকে নির্বাচন কমিশনার তার প্রার্থিতা অবৈধ ঘোষণা করেন। পরে জেলা নির্বাচন কমিশনার বরাবর আপিল করার পর তা বৈধ ঘোষণা করা হয়। ফলে বর্তমানে তার অবস্থান আগের চেয়ে আরো শক্ত হয়েছে বলে তিনি জানান।

তিনি বলেন, মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার স্বপ্ন বিনির্মাণে চাঁদপুর-৩ আসনের মাননীয় সংসদ সদস্য শিক্ষামন্ত্রী ডাঃ দীপু মনির মাধ্যমে গত নির্বাচনেও তিনি আমাকে নৌকার প্রার্থী হিসেবে মনোনীত করেছেন। ১১ তারিখের নির্বাচন উপলক্ষে এবারও আমাকে নৌকার প্রার্থী হিসেবে মনোনীত করেছেন। এবারও যদি নির্বাচনে বিজয়ী হতে পারি তাহলে প্রধানমন্ত্রীর ভিশন অনুযায়ী ইউনিয়নের উন্নয়নে কাজ করবো।

এদিকে স্বতন্ত্র প্রার্থী মোঃ দেলোয়ার হোসেন মাস্টার জানান, বিএনপি নির্বাচনে অংশ নিচ্ছে না। আমি বিএনপির কোনো পদে নেই, তবে বিএনপিকে সমর্থন করি। বিগত সময়ে আমি ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান হিসেবে দায়িত্ব পালন করেছি। জনগণের স্বার্থে ও অনুরোধে এবার চেয়ারম্যান পদে প্রার্থী হয়েছি। তিনি জানান, গত নির্বাচনে আওয়ামী লীগের কেন্দ্র দখলের কারণে আমরা নির্বাচনের দিন সকাল ৯টায় নির্বাচন বর্জন করি। তিনি বলেন, নির্বাচনে যিনি জনগণের ভোটের মাধ্যমে নির্বাচিত হবেন তিনিই ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান হিসেবে যোগ্য বলে বিবেচিত হবেন।

তিনি জানান, গত নির্বাচনে আওয়ামী লীগ প্রার্থীর ভোটকেন্দ্র দখলের কারণে জনগণ নির্বাচন থেকে আস্থা হারিয়ে ফেলেছে। তাই আমি প্রশাসনকে অনুরোধ করবো, একটি নিরপেক্ষ সুষ্ঠু নির্বাচন উপহার দেয়ার জন্যে। যাতে নির্বাচন সম্পর্কে জনগণের তাদের আস্থা ফিরে আসে।

বাংলাদেশ ইসলামী আন্দোলনের হাতপাখা প্রতীকে প্রার্থী হয়েছেন মোঃ মাসুদ গাজী। আসন্ন নির্বাচনকে কেন্দ্র করে ইউনিয়নে এ প্রার্থীর তেমন প্রচারণা নেই বললেই চলে। অনেক ভোটারের কাছে তিনি পরিচিতও নন। সাংগঠনিকভাবেও এই দল থেকে ইউনিয়নেও তিনি তেমন সক্রিয় নন বলেও জানা যায়।

এই প্রার্থীর সাথে আলাপকালে তিনি জানান, সাধারণ মানুষের ভোটের অধিকার নিশ্চিতকরণ, মানুষদের ইসলামের পথে চলার ও ইসলামী শাসন কায়েমের জন্যে তিনি এ নির্বাচনে প্রার্থী হয়েছেন।

এদিকে প্রশাসন ও সকল প্রার্থীর কাছে ইউনিয়নের সাধারণ ভোটারগণ আগামী ১১ নভেম্বর একটি সুষ্ঠু ও শান্তিপূর্ণ নির্বাচনের জোর দাবি জানান। ভোটারা যাতে নির্বিঘেœ ভোটকেন্দ্রে যেতে পারেন এজন্যেও সকল প্রার্থী প্রশাসনের হস্তক্ষেপ কামনা করেন।

  • সর্বশেষ
  • পাঠক প্রিয়