আসন্ন ইউপি নির্বাচনে হাজীগঞ্জ উপজেলার ১নং রাজারগাঁও ইউনিয়নে নৌকা মার্কার মনোনায়ন প্রত্যাশী পশ্চিম রাজারগাঁয়ের কৃতী সন্তান, বিশিষ্ট সমাজসেবক, সফল রাজনৈতিক সংগঠক, বিশিষ্ট শিক্ষানুরাগী মোঃ কামরুজ্জামান (কামরুল)। যিনি দীর্ঘদিন যাবৎ আওয়ামী লীগ ও সহযোগী সংগঠনের সাথে সম্পৃক্ত রয়েছেন। সেই সুবাদে ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের তৃণমূলের প্রত্যক্ষ সমর্থনের ভিত্তিতে তিনি আসন্ন ইউপি নির্বাচনে বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের প্রতীক নৌকা নিয়ে নির্বাচন করতে চান।

তিনি গত ২৮ অক্টোবর রাজারগাঁও ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের বর্ধিত সভায় ইউনিয়ন আওয়ামী লীগ, যুবলীগ ও ছাত্রলীগের নেতা-কর্মীদেরকে নিয়ে এক বিশাল শোডাউন সহকারে বর্ধিত সভায় যোগদান করেন এবং চেয়ারম্যান পদে প্রার্থিতা ঘোষণা করেন। তিনি বলেন, আমার পিতা মোঃ সফিউল্যাহ মাস্টার মুক্তিযুদ্ধের সময় বিভিন্নভাবে মুক্তিযোদ্ধাদেরকে সাহায্য-সহযোগিতা করেছেন এবং একজন মুক্তিযোদ্ধা সংগঠকও ছিলেন। আমার তিন ভাই আওয়ামী লীগের পরিবারে অন্তর্ভুক্ত। ছাত্রলীগ থেকে শুরু করে বর্তমানে আমি একজন আওয়ামী লীগের কর্মী। ছোট বেলা থেকে পারিবারিকভাবে বঙ্গবন্ধুর আদর্শের সৈনিক এবং আওয়ামী লীগের বিভিন্ন রাজনৈতিক কর্মসূচি বাস্তবায়নে নিজে সক্রিয়ভাবে অংশগ্রহণের মাধ্যমে সহায়ক ভূমিকা পালন করতে চেষ্টা করে আসছি। আমি বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের রাজনৈতিক কর্মকা-ে নিজেকে আজীবন সম্পৃক্ত রাখতে চাই।

তিনি আরও বলেন, আমি ১৯৮৫ সালে ৯ম শ্রেণীতে থাকাবস্থায় রাজারগাঁও উচ্চ বিদ্যালয় ছাত্রলীগের সাংগঠনিক সম্পাদক, ১৯৮৭-১৯৮৯ মতলব ডিগ্রি কলেজ শাখার ছাত্রলীগের কার্যকরী সদস্য, ১৯৯৩-১৯৯৬ মিরপুর বিশ^বিদ্যালয় কলেজ ছাত্রলীগের সহ-সম্পাদক, ১৯৯৪ সালে ১নং রাজারগাঁও ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের আহ্বায়ক, ১৯৯৬ সালে জাতীয় সংসদ নির্বাচনে চীফ এজেন্ট, ১৯৯৭-২০০০ ইসলামের ইতিহাস অনুষদ (নৈশ) সভাপতি, সাবেক জগন্নাথ কলেজ বর্তমান জগন্নাথ বিশ^বিদ্যালয় কলেজের ছাত্রলীগের সদস্য, ২০১২ থেকে বর্তমান ১নং রাজারগাঁও ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের কার্যকারী সদস্য মনোনীত হয়ে দায়িত্বপালন করে আসছি। ১৯৮৭ সালে মতলব ডিগ্রি কলেজে অধ্যয়নকালে এরশাদ বিরোধী আন্দোলনে জননেত্রী শেখ হাসিনার ডাকে হরতালে পিকেটিং করতে গিয়ে গ্রেফতার হই। ১৯৯৪ সালে মিরপুরে উপ-নির্বাচনে বিএনপি ও জামাতের জোটের ভোট কারচুপির প্রতিবাদে আন্দলনের সময় গ্রেফতার হই। ২০০১ থেকে ২০০৮ সাল পর্যন্ত বিএনপি ও জামাত জোটের বিরুদ্ধে বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের সকল আন্দোলনে ঢাকা এবং নিজ এলাকায় সক্রিয় অংশগ্রহণ করি এবং ইউনিয়নের সামাজিক সংগঠনের সাথে সম্পৃক্ত আছি। আমাকে জননেত্রী শেখ হাসিনা নৌকা প্রতীক মনোনায়ন দিলে দল এবং ইউনিয়নের জনগণের সেবা করবো বলে আশাবাদী।