ফরিদগঞ্জ উপজেলায় ১নং বালিথুবা পশ্চিম ইউনিয়ন বাংলাদেশের অনেক গুণী মানুষের জন্মস্থান। তাই এই অঞ্চলকে বলা হয়ে থাকে গুণী মানুষের আবাসভূমি। শিল্প-সাহিত্য, ডাক্তার, চিকিৎসক, শিক্ষক এবং সরকারি কর্মকর্তাসহ প্রায় সব বিভাগের লোক রয়েছে এখানে। ইতিহাস-ঐতিহ্য, প্রকৃতি এবং স্থাপনায় মিলে-মিশে বালিথুবা পশ্চিম ইউনিয়ন।

ইউডিসি মিজানুর রহমানের তথ্যানুযায়ী ১নং বালিথুবা পশ্চিম ইউনিয়নের মোট আয়াতন ২৪ বর্গ কিলোমিটার। জন্মনিবন্ধন অনুযায়ী মোট জনসংখ্যা প্রায় ৪০,০০০। এর মধ্যে নারী প্রায় ১৮,০০০ জন, পুরুষ প্রায় ২২,০০০ জন। ইউনিয়নে কাঁচা রাস্তা রয়েছে ১০ কিলোমিটার, পাকা রাস্তা ১৫ কিলোমিটার, সলিং রয়েছে ৮ কিলোমিটার। শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের মধ্যে রয়েছে উচ্চ মাধ্যমিক ১টি, মাধ্যমিক ২টি, নি¤œ মাধ্যমিক ১টি, প্রাথমিক বিদ্যালয় ১টি, ফাযিল মাদ্রাসা ১টি, আলিম মাদ্রাসা ২টি, দাখিল মাদ্রাসা ৪টি, হাফিজিয়া মাদ্রাসা ৭টি, ফোরকানিয়া মাদ্রাসা ৩টি, বালিকা উচ্চ বিদ্যালয় ১টি, মহিলা দাখিল মাদ্রাসা ২টি, এতিমখানা ৫টি, মসজিদ ৫৮টি, মন্দির ৪টি ও প্রবাসী ৪৫২জন।

এই ইউনিয়নের খাল সমূহ হলো- বরাডোল ও ডাকাতিয়া সংলগ্ন খাল। এই ইউনিয়নে রয়েছে ঐতিহাসিক লোহাগড়ের মঠ, যা একটি পুরাকীর্তি হিসেবে কালের সাক্ষী হয়ে এখনো দাঁড়িয়ে আছে। ডাকাতিয়া নদীর পাশে হওয়ায় এই স্থাপনা পেয়েছে বাড়তি সৌন্দর্য। এছাড়াও চান্দ্রা দরবার শরীফ এবং মদনেরগাঁও দরবার শরীফ আলোচিত দুটি স্থান।

এ ইউনিয়নে এমন কয়েকজন গুণী রয়েছেন যাঁরা শুধুমাত্র বাংলাদেশ নয় পৃথিবী বিখ্যাত। এদেরই একজন বিখ্যাত চিত্রশিল্পী হাশেম খান। রয়েছেন বীর মুক্তিযোদ্ধা ৮নং সেক্টর কমান্ডার লে. কর্নেল আবু ওসমান চৌধুরী, সাব সেক্টর কমান্ডার বজলুল গণি পাটওয়ারী, বীর প্রতীক আব্দুল হাকিম, সাবেক সচিব মাকসুদুর রহমান পাটওয়ারী, পরিকল্পনা মন্ত্রণালয়ের সচিব নাছিমা আক্তার, স্থানীয় সরকার মন্ত্রণালয়ের উপ-সচিব হাবিবুর রহমান, চাঁদপুর মেডিকেল কলেজের সহকারী অধ্যাপক ডাঃ সাইফুল ইসলাম, বিএমএর সভাপতি ডাঃ নূরুল হুদা ও সাবেক সভাপতি ডাঃ হারুনুর রশিদ সাগরসহ অনেক গুণী।