প্রকাশ : ২১ সেপ্টেম্বর ২০২১, ০০:০০
চাঁদপুর সদর উপজেলার ঐতিহ্যবাহী বিদ্যাপীঠ বাবুরহাট উচ্চ বিদ্যালয় ও কলেজের সামনে থেকে অটোবাইক স্ট্যান্ড অপসারণে জেলা প্রশাসক ও মেয়র বরাবর অভিযোগ করেছেন বিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা। ১৯ সেপ্টেম্বর রোববার জেলা প্রশাসক ও চাঁদপুর পৌর কার্যালয়ে উপস্থিত হয়ে শিক্ষার্থীরা এ অভিযোগ জমা দিয়েছেন বলে জানা যায়।
উক্ত অভিযোগে উল্লেখ করা হয়, বিদ্যালয়ের সামনে অটোবাইক স্ট্যান্ড বসিয়ে যাত্রী ওঠানামা করা হচ্ছে। এই স্ট্যান্ডকে কেন্দ্র করে প্রতিনিয়ত সেখানে মাদকসেবী ও বখাটেদের আড্ডা জমে এবং এ আড্ডা থেকে বিদ্যালয়ের ছাত্রীরা ইভটিজিংসহ অপহরণের শিকার হচ্ছেন বলে অভিযোগে উল্লেখ করা হয়। বিষয়টি নিয়ে প্রতিদিনই বিব্রতকর পরিস্থিতির মুখে পড়ছে বলে বিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা জানায়।
এর আগে করোনাকালীন সময়ের পূর্বে স্থানীয় কয়েকজন উদ্যোগ নিলেও সরাতে পারেনি এই অটোবাইক স্ট্যান্ডটি।
জানা যায়, এই অটোবাইক স্ট্যান্ডটি ছাত্রলীগের ছত্রছায়ায় পরিচালিত হয়। ছাত্রলীগের নেতা-কর্মীরা প্রতিদিন প্রত্যেকটি অটোবাইক থেকে ৩০ থেকে ৪০ টাকা আদায় করে বলে জানা যায়।
এ বিষয় নিয়ে ২০১৯ সালের ২৯ সেপ্টেম্বর ‘বাবুরহাট স্কুলের সামনে অটোস্ট্যান্ড বসিয়ে ছাত্রলীগের চাঁদাবাজি ॥ ইভটিজিংয়ের শিকার ছাত্রীরা’ এই শিরোনামে দৈনিক চাঁদপুর কণ্ঠে সংবাদও প্রকাশিত হয়।
ওই সংবাদেও এই অটোবাইক স্ট্যান্ডকে কেন্দ্র করে কিশোর গ্যাংসহ বিভিন্ন অপরাধমূলক কর্মকাণ্ড ঘটছে বলে উল্লেখ করা হয়। এই কিশোর গ্যাংয়ের সদস্যরাই বিভিন্ন সময়ে বিভিন্ন জায়গায় নানা রকম বিশৃঙ্খল কাজে জড়িয়ে পড়ছে ও বিদ্যালয় আগত ছাত্রীদের এবং এই সড়কে চলাচলকারী কিশোরীদের উত্ত্যক্ত করছে বলে জানা যায়।
এ বিষয়ে বাবুরহাট উচ্চ বিদ্যালয় এন্ড কলেজের অধ্যক্ষ মোশারফ হোসেন জানান, আমরা পূর্বে বিদ্যালয় ম্যানেজিং কমিটির সদস্যগণ প্রাথমিকভাবে তাদেরকে কয়েকবার নিষেধ করেছি এখানে অটোবাইক স্ট্যান্ড না করার জন্য। তারা আমাদের কথায় কর্ণপাত করেনি, পরবর্তীতে আমরা পুলিশ সুপার মহোদয় এবং মডেল থানার অফিসার বরাবর চিঠি দিয়েছি। রোববার বিদ্যালয়ের কয়েকজন ছাত্র-ছাত্রী এ বিষয়ে আমার কাছে আসে এবং জেলা প্রশাসক ও মেয়র বরাবর দরখাস্ত করবে বলে আমাকে জানায়। বিষয়টি নিয়ে বাবুরহাট এলাকায় সমাজ সচেতন ব্যক্তিবর্গ ও অভিভাবকগণ অনেকটাই উদ্বিগ্ন রয়েছেন।
এদিকে একটি বিশ্বস্ত সূত্র থেকে জানা যায়, এই অটোবাইক স্ট্যান্ডে প্রতিদিন সন্ধ্যা পেরুলেই মাদক কারবারীদের বিকিকিনি চলতে থাকে।